বনাঙ্কুর মুস্তাফা: আমার আগের লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখলাম নানান জায়গায় ঝড় বইছে! ভাল-মন্দ দু’ধরনের মন্তব্যই পাচ্ছি। বেশ! এই লেখাটায় তাই আমি ওই বিষয়টাই আরো একটু খোলাসা করে বলবো।

প্রথমত আমার মূল বক্তব্য ছিল, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘ক্যাটাগরাইজেশান’ করা থেকে বিরত থাকা। এক্ষেত্রে আমি নারীদেরই ফোকাস করেছি বেশি, কারণ, আগেও বলেছি, নারীরাই এতে ভুক্তভোগী বেশি হয়। একজনের মতামত পড়ে মনে হলো, বাংলাদেশে যত নারী সেলিব্রিটি আছেন, সবারই চরিত্র খারাপ, কারণ তারা প্রত্যেকেই সাফল্য পেয়েছেন কারো না কারো সাথে বিছানায় গিয়ে! কত দরিদ্র মানসিকতা!
এই মহাপুরুষটির মতে, “সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার মেয়েরা মিডিয়ায় একবার সুযোগ পেলে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। নিজেকে বিশ্বসুন্দরী ভাবে. বাকি সবাই কুৎসিত। যারা প্রকৃত সুন্দরী তারা কখনোই এটা ভাবে না এবং কুপ্রস্তাব পেলে শুধু মিডিয়া না, যেকোনো পরিবেশ থেকে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু এই অভিযোগগুলো তারাই করে, যারা প্রকৃতপক্ষে ময়দা সুন্দরী আর বিছানার জোরে মিডিয়ায় সুযোগ পেয়েছে”।
“মিডিয়াতে চান্স পেতে গেলে শুতে হবে এই কথাটা অনেক মডেলই স্বীকার করেছেন। আপনার কি ধারণা যারা বর্তমানে মিডিয়ায় কাজ করছে তারা ওই কাজের জন্য খুব পারদর্শী?”
এই জ্ঞানী ব্যক্তিটি এই বলেও আক্ষেপ করেছেন, “যেসব মেয়ের একাধিক বয়ফ্রেন্ড আছে, তাদেরকে আজ প্লে-গার্ল থেকে পর্নস্টার বলা হচ্ছে, ‘তারা মজার মজাও পায়, টাকার টাকাও পায়’! আজ সানি লিওনকে বিয়ে করার জন্য লক্ষ লক্ষ ব্যাচেলর ছেলে রাজি আছে, একজন ছেলে পর্নস্টারকে কোন মেয়ে বিয়ে করবে”? তার দুঃখ, কেনো একটি মেয়ে পর্নোগ্রাফি করে পয়সাও কামাবে, ‘মজাও’ নেবে, আবার বিয়ে করে সংসারও করবে; কিন্তু একজন ছেলে সেই ‘মজা’ নেবে না! আমার আসলে রুচি হয়নি এর উত্তরে কিছু বলার!
তবে খুব সুন্দর মননের একজন পুরুষ এর উত্তরে লিখেছেন যে, কেউই মিডিয়ার মেয়ে হয়ে জন্মায় না; এই শব্দটাকেই মুছে ফেলা উচিত। এতে করে একটা শ্রেণীকে খাটো করে দেখা হচ্ছে। তাই আমাদের উচিত দৃষ্টিভঙ্গি পালটানো। আমার লেখায় কিন্তু আমি এই ম্যাসেজটাই দিতে চেয়েছি…এবং তা শুধু মিডিয়া নয়, বা শুধুই মেয়েদের ক্ষেত্রে নয়, সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
উত্তরদাতা আরো জানতে চেয়েছেন যে, বাধা এলেই কেনো পিছিয়ে যেতে হবে আর প্রকৃত সুন্দরীর সংজ্ঞা কী? এমন উন্নত চেতনা ধারণকারী পুরুষটিকে মন থেকে সাধুবাদ জানাই! এবং এর প্রেক্ষিতে আমি আবারো কিছু উদাহরণে ফিরে যাবো, যা জীবন থেকে নেয়া।
১) অনেক বছর আগে আমার এক কর্মক্ষেত্র থেকে আমার বিদায় নিতে হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের মালিকের ভারবাল সেক্সুয়াল এ্যাসল্ট এর শিকার হয়ে, যিনি আমার লাইফ রীতিমত হেল করে দিয়েছিলেন! সেসময় যে মানুষটি আমার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর নামটি বলতে আমার কোনই দ্বিধা নেই, আমার শ্রদ্ধেয় ভাইয়া নাজমুল আশরাফ! তিনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বদলে চলে যেতে। এমনভাবে তিনি আমার মতো তাঁর আরো অনেক সহকর্মীকে ভালবেসেছেন নিঃস্বার্থভাবে। মিডিয়াতে কিন্তু এই মানুষটার মতো আরো অনেক পুরুষ আছেন যারা তাদের নারী সহকর্মীকে ভালবাসতে জানেন, স্নেহ করতে জানেন; বিছানায় নিতে জানেন না। অর্থাৎ ভাল বা খারাপ তো সবখানেই আছে।
এই ঘটনার কথা যারা জেনেছে পরে, তাদের মাঝে অনেকেই আমাকে বলেছে, আমার মিডিয়া ছেড়ে দেয়া উচিত।
আমার প্রশ্ন ছিল, কেন ছাড়বো? আমার তো অপশন আছে ভালটাকে গ্রহণ করার। আর ছেড়ে চলে গেলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? একই পরিস্থিতি তো আমি অন্যখানেও ফেস করতে পারি!
এবার আসি একটু ভিন্ন এ্যাঙ্গেল বিশ্লেষণে। একজন মেয়ে নানান কারণে দেহ ব্যবসায় যুক্ত হতে পারে। আমরা কি কেউ কখনো বিবেচনা করেছি যে কেনো একজন সানি লিওন পর্নস্টার হয়ে উঠলো? হয়তো বা তার পরিবারের আর্থিক অনটন তাকে বাধ্য করেছে। কত মেয়ে আছে যারা এ্যাক্সিডেন্টালি ট্র্যাপে পড়ে এই পেশায় জড়িয়ে যায়। সার্চ করলে এমন বহু ডকুমেন্টারি পাওয়া যাবে।
কিছুদিন আগে একটি বাংলা নাটক দেখছিলাম। তাতে দেখালো, একটি মেয়ে, খুব বড় সংগীতশিল্পী, সেলিব্রিটি, দারিদ্র যাকে বাধ্য করেছিল ভাই এর জীবন বাঁচাতে এই পেশায় জড়াতে। একজন সহৃদয় ব্যক্তি পরে তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করে এবং সে ওই জীবন থেকে বের হয়ে আসে।
এটা কিন্তু নেহায়েত সাজানো গল্প নয়, এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে। এই মেয়েটাকে কি আমরা খারাপ মেয়ে বলে উপাখ্যান দেব? আর তার কি অধিকার নেই কষ্টময় সেই অতীতকে ভুলে একজন ভাল জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার?
ইংরেজীতে একটা কথা আছে না- “পুট ইওরসেলফ ইন মাই সুজ”। বাস্তবে এটি করতে পারা খুব কঠিন। তাই অমুক প্রখ্যাত অভিনেতা বা অভিনেত্রী কয়টি বিয়ে করলেন বা আমার পাশের বাড়ির মফিজ সাহেব বা মর্জিনা আপা রাত দু’টায় কেনো বাড়ি ফেরেন, সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার কি?
২) আমি যখন বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তখন খুব গল্প শুনতাম যে, ডিপার্টমেন্টের কিছু বড় আপু নাকি ‘অসাধু উপায়ে’ অর্থাৎ নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে টপ স্টুডেন্ট হয়ে পাশ করে বেরিয়েছেন। এমনও শোনা গেছে যে, অমুক ভাইয়া টিচার এর বাসায় বাজার করে দিয়ে হাইয়েস্ট মার্কস পেয়েছেন!
সত্যি বলতে কী, এসব নোংরা ঘটনা যে ঘটে না তা না। ঘটে। কিন্তু আমি এতো বছর পর এসে যখন ভাবি যে ওই ভাই-আপুদের নিয়ে সমালোচনাকারীদের সাথে আমিও সেদিন খুব হেসেছিলাম, তখন খুব লজ্জা হয় নিজের প্রতি! আমি তো নিজ চোখে কিছুই দেখিনি, তাহলে কেন অংশ নিলাম! আমার জীবনে তো তাদের কোনরকম প্রভাব ছিল না। আমি আমার মতো পাশ করে বেরিয়েছি। হ্যাঁ, তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছি আমিও; তবে সে কারণে থেমে যাইনি বা অন্যপথে পা-ও বাড়াই নি এবং আমার মতই আরো শতশত মেয়েকে দেখেছি যারা ঠিকই তাদের নীতিকে দু’হাতে দৃঢ়চিত্তে আঁকড়ে ধরে রেখেছে (সেইসব অভিজ্ঞতার গল্প না হয় আরেকদিন করবো)।
৩) আমার এক বান্ধবী বাংলাদেশে বেশ ভাল একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো, ভাল পজিশানে। হঠাৎ শুনলাম, সে চাকরী ছেড়ে দিয়েছে কারণ প্রতিষ্ঠানটির মালিক গোছের কেউ তার কুপ্রস্তাবে সে সাড়া না দেয়ায় ওর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। আমি খুব রাগ করেছিলাম কারণ সে যে কোন প্রতিবাদ না করে মুখ বুঁজে চলে এলো, ওর পরের মেয়েটাকেও তো একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে! ওকেও দোষ দেই না। আগেও বলেছি, এসব ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করলেই মেয়েদেরই বরং কথা শুনতে হয়, “এতো গলা বাজানোর কি আছে? ওই পরিবেশ/কাজ থেকে সরে আসলেই তো হয়।” ইত্যাদি। কিন্তু সরে যাবোটা কোথায়? হায়েনারা তো সবখানেই ওঁৎ পেতে বসে আছে! গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে বলে কি আমরা পৃথিবী ছেড়ে চাঁদে গিয়ে বাস করা শুরু করবো?!?
সম্প্রতি জেসমিন চৌধুরীর লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। তিনি বলেছেন, “হরিণকে বাঘের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে হরিণকেই শেকল দিয়ে বাঁধবেন, সেটা কেমন কথা? তার চেয়ে বাঘকেই খাঁচাবন্দী করা উচিৎ নয় কি?”
আমার বক্তব্যের সারমর্ম এটাই, শুধু মিডিয়া নয়, সমাজের সর্বস্তরে হরিণ এবং বাঘ – দুই’ই আছে। আছে শেয়াল আর বানরও! কিন্তু হরিণ স্বভাবে শান্ত আর একটু দূর্বল গোছের বলেই আক্রমণের শিকার সবসময় তাকেই হতে হয়!!! আর তাই আমি আমাদের মেয়েদের বলতে চাই, বার বার বলতে চাই, হরিণ হয়ে থাকার দিন আমাদের শেষ হয়েছে।
সব দিক দিয়ে আমাদের প্রমাণ করতে হবে আমাদের শক্তি। পারদর্শীতার গুণে জায়গা করে নিতে হবে উচ্চশিখরে। এবং এই কথা ছেলেদের ক্ষেত্রেও একইভাবে সত্যি। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যোগ্যতার মাপকাঠি হতে হবে সমান। কেন ভর্তি পরীক্ষায় মেয়েদের জন্য আলাদা কোটা থাকবে, কেনো চেহারার গুণে একজন মেয়ে একটা ভাল চাকরী পেয়ে যাবে বা পরীক্ষার খাতায় সবোর্চ্চ মার্ক পেয়ে বসবে, আর কেনই বা সে এয়ারফোর্সে বা আর্মি এভিয়েশানে সমান মেধা থাকা স্বত্ত্বেও পাইলট হতে পারবে না বা পারোদর্শীতা থাকা স্বত্ত্বেও কর্মস্থলে প্রমোশান পাবে না? আমরা আরো অসংখ্য নাজিয়া, শাহরিনা, তামান্না, আর নাঈমা কে দীপ্ত চিত্তে আকাশে উড়াল দিতে দেখতে চাই। ওরা পারে, পারবে।
বাবা-মা যেনো মেয়েদের না বোঝায়। “তুমি পাইলট হতে পারবে না, তুমি রাজনীতিবিদ হতে পারবে না, তুমি সশস্ত্র সেনা হতে পারবে না, তুমি অমুক কাজটা করতে পারবে না কারণ ওতে অনেক শারীরিক পরিশ্রম…কারণ – তুমি মেয়ে”! বস্তুত, ‘ছেলেদের কাজ’ আর ‘মেয়েদের কাজ’ বলে যে একটা বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার ভিত্তি বা জাস্টিফিকেশান আমি শুধু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো ছাড়া আর কোথাও দেখতে পাই না!
এই সব কিছুর পেছনে দুটোই কারণ, ধরেই নেয়া হয় যে নারীমাত্রই দূর্বল, আর আমাদের সমাজের চেতনার দারিদ্র্য। কিন্তু আমরা যে অসহায় আর দূর্বল না তার প্রমাণ ইতিহাসের দিকে তাকালেই তো পাবেন! কোরাজোন এ্যাকুইনো, কোকো শ্যানেল, প্রিন্সেস ডায়ানা, ম্যারী কুরি, ইন্দিরা গান্ধী, এ্যানজেলা মারকেল, মারগারেট থ্যাচার, অপরাহ উইনফ্রে, ভার্জিনিয়া উলফ, মাদার টেরিজা, ওয়াঙ্গারী মাথাই, আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনা…এঁরা সবাই (এবং তাঁদের মতো আরো অনেক কিংবদন্তী) এক একজন জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ নারীর জ্ঞান, মেধা, মনন আর শক্তির।
আমাদের সমাজে মেয়েদের একটু চেহারা ভাল হলে অনেক সময়ই শুনতে হয়, “তোমাকে তো এমনিতেই চাকরী দিয়ে দিবে, চেহারা দেখেই”। এই ধারণা পাল্টাতে হবে। বাংলাদেশে বাসে চলাফেরা করার সময় আমি প্রায়ই পেছনে এসে আমার ছেলেবন্ধুটির পাশে বসতাম। পুরো বাসের প্রত্যেকটা চোখ তখন আমাকে নিরীক্ষণ করতো! কিন্তু ওই ‘মহিলাদের সীট’ লেখা আসনগুলো দেখলে আরো বেশি করে মনে হত, চোখের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে, তুমি মেয়ে!!! এই অবস্থার উন্নতি চাইলে, নারী-পুরুষ একই কাতারে দাঁড়িয়ে সমঅধিকার চাইলে, উভয়কেই চেতনার আর দৃষ্টিভঙ্গীর উন্নতি ঘটাতে হবে।
এই যে নারী আর পুরুষের মাঝে বৈষম্য-বিপরীত বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে, আর নারীকূলকে পণ্য বানিয়ে বাজারে উপস্থাপনের যে ট্রেডিশান চলে আসছে, তার মাঝে আমরা বেমালুম ভুলে যাই, নারী এবং পুরুষ উভয়েরই একই শারীরিক-মানসিক চাহিদা, চিন্তাধারা, জ্ঞান-বুদ্ধি, এমনকি, একই হেলথ ইস্যুজ-ও থাকতে পারে। যেমন, আপনারা কি জানেন, স্তন ক্যান্সার শুধু নারীদের না, পুরুষদেরও হয়?!? আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, এই সংক্রান্ত ডকুমেন্টারী বা তথ্যগুলো দেখবেন, পড়বেন।
মেয়ে মাত্রই স্লাট বা ভোগ্যবস্তু না। আবার ছেলেমাত্রই পিম্প বা ধর্ষক না… আমরা কোন ক্যাটাগরাইজেশান চাই না। সর্বস্তর নির্বিশেষে আমরা একটি সুস্থ-সুন্দর-নিরাপদ পরিবেশ চাই। যেখানে আর কোন পূজা ধর্ষিত হবে না, আর কোন নায়লা নাইমকে দিয়ে স্তন ক্যান্সার এর মতো সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে হাস্যকর এ্যাড বানানো হবে না, কোন মডেল বা অভিনেত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করে তার জীবনটাকে দূর্বিষহ করে তোলা হবে না, আর কোন খাদিজাকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাতে হবে না।
আর, সুস্থ মননের একজন মানুষ হিসেবে আমাদের এও বুঝতে হবে যে প্রতিটি মানুষেরই সোশ্যাল এবং পারসোনাল লাইফের মাঝে একটি দেয়াল আছে। সেটি কারোরই অতিক্রম করা বা করতে চাওয়া উচিত নয়; সে যদি আপনার সবচেয়ে প্রিয় লেখক/লেখিকা, নায়ক/নায়িকা, গায়ক/গায়িকা হয়, এমনকি, নিজের আত্মীয় বা সবচেয়ে কাছের বন্ধুও হয়, তারপরও নয়।
আজ এতোটুকুই! কৃতজ্ঞতায়, সলিল দাদা, তানিম ভাই, কাজী সায়েদ, জেসমিন আপা এবং আরো অনেকে…
আগের লেখাটির লিংক: https://womenchapter.com/views/16788