পুরুষতন্ত্র কী?

ফড়িং ক্যামেলিয়া:

পুরুষতন্ত্র শব্দটা এসেছে ইংরেজি Patriarchy থেকে। যার মানে করলে দাঁড়ায়, Patriarchy বা পুরুষতন্ত্র হচ্ছে একটি সামাজিক তত্ত্ব বা মতবাদ, যা বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থাকে বোঝায়। যেহেতু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষ এখানে সুবিধাভোগী শ্রেণী, আর নারী এখানে দুর্বল, তাই নারীর ওপরে অযৌক্তিক নিয়ম চাপিয়ে এক প্রকার বৈষম্যমূলক কর্তৃত্ব করা হয় এই তত্ত্ব দ্বারা। পুরুষতন্ত্র কোন ব্যক্তি পুরুষ নয়। এই মতবাদে বহু নারীও বিশ্বাসী!মোট কথা, এটা একটি সামাজিক বৈষম্যমূলক প্রথা, যা নারীকে শোষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

গত কদিন ধরে যা বুঝলাম, সেটা হলো আমাদের মধ্যে প্রচুর শিক্ষিত মানুষ (নারী-পুরুষ উভয়-ই) আছে, যারা পুরুষতন্ত্র বলতে এক বাক্যে পুরুষ বোঝে! আর নারীবাদ বলতে বোঝে পুরুষ বিদ্বেষ। আমার অজ্ঞতা এখানে সীমাবদ্ধ থাকলে ভালো হতো, কিন্তু জানার আরও বাকি ছিল।

বিস্মিত হয়ে আবিষ্কার করলাম, এই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুরুষতন্ত্রের বীরপুটুরা রীতিমতো তাদের ঝাণ্ডা উড়িয়ে ম্যাৎকার করেই চলেছে!জনে জনে বোঝাবার উপায় নাই তাই তৃতীয় ভিডিওটা বানিয়ে ফেললাম পুরুষতন্ত্র নিয়ে। যাদের যাদের এই বিষয়ে জানার আগ্রহ আছে, নিজ দায়িত্বে দেখে নেবেন।

এরপর কেউ যদি (সে নারী হোক কিংবা পুরুষ) ভাব নিয়ে বলে, নারীবাদ মানেই পুরুষ বিদ্বেষ কিংবা পুরুষ আর পুরুষতন্ত্র এক, তখন এই ভিডিও ব্লগটা তাকে ধরিয়ে দেবেন।

আর একটা কথা বলা খুব জরুরি, নারীবাদ কোনো ধর্ম না যে, সব নারীবাদীর মতবাদ এক হবে। এখানে ভিন্নতা অবশ্যই আছে, কিন্তু সব নারীবাদী পুরুষতন্ত্রের বিপক্ষে। এবং আমরা প্রত্যেকে নতুন যে কোনো মতবাদ নিয়ে তর্ক করি, আলোচনা করি, সমালোচনা করি, এভাবেই আসলে সঠিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। তাই অমুকে এইটা কইছে তাই নারীবাদ খারাপ, এই সব কথা বলা বাদ দেন। বরং যে ব্যক্তি ঐটা কইছে, এবং আপনার কাছে কেন ঐ যুক্তি পছন্দ না, সেটা নিয়ে লিখে ফেলুন। এভাবেই সভ্যতা এগোয়।

শেয়ার করুন: