‘যাব বহুদূর’ এর প্রথম সম্মিলিত রাইড

আতিকা রোমা:

আজ ২১ জুন, ২০১৯, “যাব বহুদূর” থেকে আজ আমরা প্রথমবারের মতো একটি গ্রুপ রাইড শেয়ার করেছি। মুষলধারে বৃষ্টি ছিল। অনেকেই আমরা ভিজে গেছিলাম। তারপরও একটি গ্রুপ রাইড শেয়ার করি। এখন পর্যন্ত “যাব বহুদূর”-এ স্কুটি চালাতে শিখতে এসেছেন প্রায় ৩২৭ জন, তবে যারা খুব ভালভাবে শিখেছেন তাদের সবাই স্কুটি চালাচ্ছেন না। অনেকেই স্কুটির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কিনতে পারছেন না। যারা কিনেছেন তাদেরও সবাই আজকের রাইডে অংশগ্রহণ করতে পারেননি নানান কারণে। তবে যারা এসেছিলেন, তারা সবাই মিলে ঢাকা শহরের ভেতরে রাইড করেছি একসাথে।

বিকাল ৪টার মধ্যে সবাই জড়ো হয়েছিলাম আমাদের সেন্টারে। সেন্টার থেকে সবাই একসাথে প্রথমে গেছি মানিক মিয়া এভিনিউতে। সংসদ ভবনের সামনে থেকে বিজয় সরণী হয়ে তেজগাঁও ফ্লাইওভার পেড়িয়ে মিন্টু রোড দিয়ে রূপসী বাংলা হোটেলের পাশ দিয়ে পৌঁছেছি শাহবাগের ফুলের দোকানে। সবাই মিলে সেখান থেকে ফুল কিনে নিয়ে সোজা চলে গেছি শহীদ মিনারে। শহীদ মিনারে পৌঁছে সবাই মিলে এক সাথে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছি এদেশের সকল শহীদদের প্রতি। তারপর সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-তে এসে চা খেয়ে যে যার বাসায় ফিরে গেছি। আর এর মাধ্যমেই আমরা গ্রুপ রাইডের সূচনা করলাম আজ থেকে।

একটা পাগলেটে টাইপ স্বপ্ন দেখেছিলাম, একসঙ্গে অনেকগুলো মেয়েকে নিয়ে রাস্তায় রাইড করবো। এই স্বপ্নের মাসুল দিতে হয়েছে অনেকভাবে। খুব কাছের একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে এই কাজটা করতে এসে। মানুষের নোঙরা থেকে নোঙরাতরো চেহারা দেখেছি দিনের পর দিন। টাকা ও ক্যারিয়ারের শ্রাদ্ধ হয়েছে। প্রতিটা মূহুর্ত কেটেছে অস্থিরতায়। কখনও কখনও গভীর হতাশায়। টাকা পয়সা ছাড়া শুধু শখের বশে একটা কাজ দিনের পর দিন করে যাওয়া খুব সহজ না।

আম্মা বলতো, আম্মার জীবদ্দশায় আমার যতো পাগলামি করতে ইচ্ছে করে আমি যেন করি। সেই সাহসেই এখনও করে যাচ্ছি, যদিও আম্মা আর নেই তা সামাল দেবার জন্য।

শেয়ার করুন: