স্বল্পবসনা মানেই দুশ্চরিত্র?

জেসমিন চৌধুরী: কয়েকদিন আগে আমার প্রাক্তন স্বামী আমার মেয়ের ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে তার ভাষ্যমতে কিছু ‘আপত্তিকর ছবি’ ডাউনলোড করে আমাকে পাঠিয়ে দিলেন। সাথে জানালেন, তার অনেক বন্ধু এসব ছবি দেখে আমার মেয়ের চরিত্র এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।

একদিক থেকে দেখলে এগুলো ব্যক্তিগত বিষয়, পাবলিকলি শেয়ার করা বাঞ্ছনীয় নয়। আরেক দিক থেকে দেখলে এটা সামাজিক সমস্যা, এবং আলোচনা করা যেতে পারে। বিভিন্ন সময়ে আরো অনেক শুভাকাঙ্খী বন্ধুরা আমার মেয়ের পোষাক আষাক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আমার তরফ থেকে উৎসাহ না পেয়ে আবার চুপ করে গেছেন।

Jesmine Chow 2
জেসমিন চৌধুরী

অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা কৌতুহলের বশে হোক, বা মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সে হোক, অনেক কিছুই ট্রাই আউট করে। উল্কি, পিয়ার্সিং, চুলে লাল-নীল রং, ছোটখাটো পোষাক কিছুই বাদ যায় না। এবং আমরা এসব দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই এই প্রজন্মের নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। আমরা খুব ভাল ছিলাম, আর আমাদের বাচ্চারা উচ্ছন্নে গেছে।

আসলেই কি তাই? নৈতিকতা মানে কি? তার অবক্ষয়ই বা কিভাবে ঘটে? নৈতিকতা মানেই কি চিরাচরিত ধ্যান-ধারণার রক্ষণাবেক্ষণ? আর তার বিন্দুমাত্র পরিবর্তনই কি অবক্ষয়? আমরা কি বুকে হাত রেখে বলতে পারবো, আমাদের নতুন প্রজন্ম শুধু খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে, আর আমরাই সবসময় ভাল ছিলাম?

জীবন বেঁচেছি ছেচল্লিশ বছর। বেড়ে উঠেছি এক প্রজন্মের অভিভাবকত্বে, নিজের সাথে বেড়ে উঠে বুড়ো হতে দেখেছি আরো এক প্রজন্মকে, এবং ষোল বছর ধরে কাজ করছি দেশে বিদেশে নতুন প্রজন্মের সাথে। এই তিন প্রজন্মকে যতটুকু দেখেছি, তা থেকে হলফ করে বলতে পারি সার্বিক বিচারে নতুন প্রজন্ম অনেক বেশি মানবিক, অনেক বেশি নৈতিক।

হতে পারে তারা দেশীয় সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, ধর্মীয় অনুশাসন মানছেনা, সামাজিক সংস্কারকে বৃদ্ধাংগুষ্ঠি প্রদর্শন করছে। দেশ, জাতি, ধর্ম আর সংস্কারের উর্ধ্বে উঠে যাওয়া নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমি দেখেছি মানুষের প্রতি নিঃশর্ত শ্রদ্ধা পোষণের মানবতা, কৃপা বা সহানুভূতির মানবতা নয়, ভিখারীর থালায় পয়সা ছুঁড়ে দিয়ে বেহেস্তে কামরা বুকিং এর মানবতা নয়।

মাঝে মধ্যে সংক্ষিপ্ত কাপড় পরা আমার মেয়েটি কি এই প্রজন্মের আর দশটা বাচ্চা থেকে অনেক বেশি খারাপ? সব মাবাবাই তাদের সন্তানদের ভালবাসেন, কিন্তু সব মাবাবা ই কি নিজের সন্তানকে পছন্দ করেন? ভালবাসা আর পছন্দের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমি কিন্তু আমার দুই সন্তানকেই ইনসাইড আউট পছন্দ করি।

আমার মেয়ে যখন ছোট ছিল তার মুখের মিষ্টি মিষ্টি কথা, তার নানা সাফল্যের গৌরব ফেইসবুকে শেয়ার করতাম, যখন সে একটু বড় হলো তখন দেখলাম এসব শেয়ারিং সে পছন্দ করে না। তার ব্যক্তিত্বের এই দিকটার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি তার কথা ফেইসবুকে শেয়ার করা ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু আজ অনেকদিন পর আবেগাপ্লুত হয়ে লিখতে বসেছি।

আমার কাছে আমার প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া মেসেজটি একজন বাবার কাছ থেকে পাওয়া মেসেজ নয়, বরং পুরুষ শাসিত সমাজের একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে পাওয়া একটি অশোভন বার্তা। যে ব্যক্তি আমার মেয়েকে চেনে না, মেয়ের কীসে আনন্দ, কীসে কষ্ট, কীসে গৌরব তার খোঁজ কখনো রাখেনি, তার আত্মার মর্যাদা কীসে হয় জানে না, সেই ব্যক্তি যখন তার বন্ধুদের বরাত দিয়ে আমার মেয়ের কাপড় চোপড় নিয়ে কথা বলতে আসে, তখন আমার মনে একটা প্রশ্নই জাগে, এই তথাকথিত বন্ধুগুলি কতটুকু বিকৃত রুচির মানুষ যে একটা কম বয়েসী মেয়ের প্রোফাইল ঘেটে কোন ছবি আপত্তিকর তা বিচার করতে বসে?

আমার মেয়ে অথবা অন্য কারো মেয়ের কাপড়ের সাইজ দেখে যারা তাদের চরিত্র বিচার করেন তাদেরকে কয়েকটি কথা বলতে চাই। জন্মের পরপর আমার মেয়েটাকে আমার কাছে অনেক কিউট লাগত, একটা সুনটু মনটু। তারপর তার বেড়ে উঠার সময়টাতে তার উপরে অনেক বিরক্তি, অনেক রাগ বোধ করতাম বিভিন্ন সময়।

আর এখন? এখন সোজা কথায় তাকে সমীহ করি আমি। এবছর তার বয়স একুশ হবে। এইটুকু জীবনের মধ্যে তার যে মানবিক অর্জন তার কাছে আমার নৈতিকতা বোধ হার মানে। তাকে আমি দেখেছি চ্যারিটির জন্য পয়সা তুলতে একশ’ ষাট ফুট উপর থেকে বাঞ্জি জাম্প দিতে, তাকে দেখেছি দিনের পর দিনে আলজাইমার রোগীর সাথে সময় কাটাতে, তাকে দেখেছি সিরিয়ার জন্য মানব বন্ধনে যেতে, তাকে দেখেছি চোখের সামনে প্রিয় খাবার হালিম রেখে শুকনা রুটি চিবাতে কারণ সে পশুদের কষ্টও সইতে পারে না বলে মাংস খায় না।

এরকম মেয়েদের নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে যারা দুশ্চিন্তা করেন, তাদেরকে বলতে চাই, তাদের আপাদমস্তক ঢাকা গুডি গুডি বাচ্চাদের নিয়েও আমি দুশ্চিন্তা করি- তারা কি নিজের জীবন বাঁচার, নিজের স্বপ্ন দেখার সুযোগ পাচ্ছে? না’কি সমাজের আর সংস্কারের জীবন বাঁচতে গিয়ে, মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে নিজের জীবনকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে? কিন্তু আমি কি কখনো কাউকে কিছু বলেছি? সবার চরকায় দেবার মত অত তেল আমার বোতলে নেই।

আমি কখনোই অসাধারণ মা ছিলাম না। যখন মা হয়েছি তখন আমি নিজেই একটা বাচ্চা। তার উপর দুমড়ানো মোচড়ানো জীবন। এর মধ্যে কীভাবে কী ঘটেছে জানি না, কিন্তু আমার বাচ্চারা চমৎকার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছে। মাবাবার কাছে, শিক্ষকদের কাছে, সমাজের কাছে আমি যা শিখেছি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি শিখেছি আমার ছেলেমেয়ের কাছে। তারা আমার সবচেয়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক, তারা আমার আদর্শ।

বর্তমানে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের নাশকতাবাদে জড়িয়ে পড়ার যে আতঙ্ক চারদিকে, সমাজের একজন মানুষ হিসেবে তা আমাকে স্পর্শ করলেও একজন মা হিসেবে এই আতঙ্কের লেশমাত্রও আমার মনে নেই। রাতের স্বপ্নের খুঁটিনাটি আমাকে না বললে যে মেয়ের দিন কাটে না, দিনের ঘটনার খুঁটিনাটি আমাকে না জানালে যে মেয়ের রাতে ঘুম হয় না, সেই মেয়েকে নিয়ে, তার চরিত্র নিয়ে অন্যরা ভাবুক, তার তথাকথিত বাবার তথাকথিত বন্ধুরা ভাবুক, আমি ভাবি না।

শেয়ার করুন:

জেস্মিন চোধুরি শেসের মন্তব্য টি আপনার লেখার জন্য নয়।” যৌনতার নারীর এক্টিভ রোল ” এর লেখার উপর মন্তব্যটি করার। আপনার ওখানে চলে গিয়েছে। আপনার ব্যাক্তি জীবন জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আপনি জীবনের একটা কঠিন সময় পার করে নিজেকে এবং নিজ বাচ্চাদের একটা অবস্থানে আনতে পেরেছেন তাকে আমরা সেলুট জানাই। তবে বাচ্চা মানুস করার ক্ষেত্রে আমরা জেনো ভুলে না যাই নিজ সংস্ক্রতি কে, নিজ মুল্যবোধ কে,নিজ ধর্ম কে। অন্য কালচারের ভালো দিক গুলো অবস্যই আমরা গ্রহন করবো। অন্যরা যাতে আমার বাচ্চাকে নিয়ে সমালোচনা করার সুজোগ না পায় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা আমাদের মায়েদেরই উচিত।যে পুরুস রা আপনার মেয়ের সল্প পোশাক পরা কে বাহাবা দিবে তারাই সুজোগ পেলে আপনার বাচ্চার দিকে কুদৃস্টি দিতে কুন্ঠবোধ করবে না। ভালো থাকবেন।

এই লেখাটায় আপনি যে আগ্রহ নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করেছেন তার এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর আমি কদর করি। আসলে ছোটখাটো একটা লেখায় একটা মানুষের জীবনের, অভিজ্ঞতার বা ব্যক্তিত্বের খুব অল্পই উঠে আসে। আপনার জন্য, আপনার সন্তানদের জন্য অনেক শুভকামনা। ভাল থাকবেন।

ড.আকাশ,আপনাকে আমি সেলুট না দিয়ে পারছি না। আপনার ভাষায় আমরা যারা সালিন পোশাকের পক্ষে তারা চরিত্রহীন । মেনে নিলাম।
আর যারা সল্প পোসাকের পক্ষে তারা চরিত্রবান। তাও মেনে নিলাম। জানি না আপনি আপনার মা, মাসি,খালাদের সল্প পোসাক পরতে দেখেছেন কিনা। কিন্তু আমরা আমাদের মা,মাসি,খালাদের দেখিনি। university তে শিক্ষকতা করি সেখানেও দেখেছি সবাই কে সালিন পোসাক পরতে। যাক আপনি আপনার মেয়েকে সল্প পোসাক পরাবেন আশা করি। আজকাল অনেক পুরুসেরাই পাশের দেশের স্যাটেলাইটে সল্প পোশাকধারী নারীদের দেখতে দেখতে এ দেশের নারীদের সেই পোশাকে সামনা সামনি দেখতে চায়। কিন্তু ভুলে যায় ওদের কালচার আর আমাদের কালচার এক নয়। যাক বিকিনির পক্ষে সাফাই গেয়ে কিন্তু জেস্মিন চোধুরী আমার একটি মন্তব্যে কথাটি টেনে এনেছে।আমরা বিকিনির কথা বলিনি। আর সে তার ছোট্ট মেয়ের গুনের কথা লিখে একটি লেখা দিতে পারতো। কিন্তু তা না করে তার মেয়ের ব্যক্তিগত সল্প পোসাক কে পাবলিকের সামনে এনে নিজেই নিজের মেয়ে কে ছোট করে ফেলেছে। এক বালতি দুধে যেমন এক চিমটি চুন পরলে নস্ট হয়ে জায় তেমনি তিনি মা হয়ে মেয়ের ১০ টা ভালো গুনের সাথে একটা খারাপ গুন কে মিসিয়ে মেয়ে কে পাবলিকের কাছে ছোট করে ফেলেছে। উনি কি চাচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুস ঝাপিয়ে পরে বলবে আপনার মেয়ে সল্প পোসাক পরে খুব ভালো কাজ করছে, আমাদের কালচার কে ধরে রাখছে। উনি কি বাহাবা পেতে চায়। কিন্তু এটা বাংলাদেশ।

অসাধারন লেখা , সত্যিই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য ।
কিন্ত আপনার প্রাক্তন স্বামী তো ওই মেয়ে দুটার ও বাবা ,
তাই সে আপনার সাথে সম্পর্কে প্রাক্তন হওয়ার জন্য আপনাকে ডিরেক্টরলি না বলে সে তার বন্ধু দের বলেছে । এটা যে খুব বেশী অন্যায় সে করেছে , তা কিন্ত আমার কাছে মনে হয় না ।
তবে হ্যা , আপনি যতটুকু কনসারন আপনার মেয়েদের নিয়ে এবং আত্মবিশ্বাসী ওদের ব্যাপারে , সত্যিই তা অতুলনীয় ।

অদ্ভুত কথা বলছে কেউ কেউ।কে কেমন কাপড় পড়বে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কেউ কেন সেখানে হস্তক্ষেপ করতে যাবে!!!কোন মেয়ের বয়স একুশ মানে সে এখন adult. সে তার পছন্দমত চলতেই পারে।কারও অধিকার নেই কিছু বলার বিশেষ করে বাইরের দেশে। কেউ বাংলাদেশ এ বসে প্রবাসী কাউকে judge করবে কেন!?আর প্রাক্তন স্বামী বলায় দোষের কি হল বুজলাম না।!

প্রিয়ন্তি, বাইরের দেশ বলতে আপনি কাদের বুঝিয়েছেন? বাংলাদেশের মানুস নাকি প্রবাসিদের। যেহেতু জেস্মিন চোধুরি বাংলা ভাষায় জানতে চেয়েছেন সল্প পোসাক চরিত্রহীনা কিনা তাই সভাবত ধরে নেওয়া যায় তিনি বাংালিদের কাছেই জানতে চেয়েছেন। এ দেশের কোন মানুসেরই আগ্রহ নাই জেস্মিন চোধুরির ২১ বছরের মেয়ের ব্যক্তিগত পোশাক নিয়ে। উনি নিজেই তার মেয়ের পোসাকের কথা নিয়ে জানতে চেয়েছেন সল্প পোসাক দুসচরিত্র কিনা। সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মতামত আসাটাই সাভাবিক। আর অন্য দেশের ২য় নাগরিক হয়ে কেও যদি নিজের দেশ কে বাইরের দেশ বলে তাদের কে নিয়ে আমাদের দেশে মানুসের কোন মাথাব্যাথা নাই। সল্প পোশাক আর লম্বা পোশাক এখানে গুরুত্তপুন্য নয়। এখানে অশ্লীল পোসাক আর সালিন পোশাক গুরুত্তপুন্য। কেও ছোট পোশাক পরেও সালিন ভাবে চলতে পারে আবার কেও সাড়ি, কামিজ পরেও অস্লিল ভাবে চলতে পারে। যে পোশাকি পরুক না কেন তা যদি বেশি ভাগ মানুসের চোখে দৃস্টিকটু মনে হয় তখন তাকে আমরা অস্লিল বলি। জেস্মিন চোধুরির মেয়ের জামা কাপর নিয়ে যেহেতু তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা, বাবার বন্ধুরা আপত্তি তুলেছে তাই ধরে নিতে হবে পোসাক গুলোর মধ্যে সালিনতা অভাব ছিলো। আমেরিকাতেও কিন্তু সালিন পোশাক, অস্লিল পোসাক আছে।
হিলারির যখন স্কার্ট পরে তখন তা অস্লিল লাগে না আবার এ পোসাক যদি আমার ৬৩ বছরে মা বাংলাদেশে পরে তখন তাকে অস্লিল বলবে। আবার হিলারি যদি বিকিনি পরে বক্তিতা দেয় তবে ওই সমাজে অস্লিল বলে গন্য হতে পারে।।কোন সমাজের বেশির ভাগ মানুসের চোখে যে পোসাক দৃস্টিকটু তাই অস্লিল।
জেস্মিন চোধুরী কিন্তু ভিন দেশের পোসাক পরেছে কিন্তু কই তাকাতো অস্লিল লাগছে না। তবে বাংলাদেশে বসে এ পোসাক পরলে অনেকে চোখে ভালো লাগতে নাও পারে । কারন এটা আমাদের দেশের পোসাক নয়।তাই আমারা পোসাক পরি যে সমাজে অবস্থা করি সে সমাজের বেশির ভাগ মানুসের চাহিদা অনুসারে।সেটা বিদেশ হোক আর বাংলাদেশ হোক।তার উপর ধর্মেরতো একটা প্রভাব থাকেই। চাইলেই আমরা আমাদের শরির কে মানুসের সামনে বোম্বের নাইকাদের মত দেখাতে পারি না। আর যে দেশেই থাকি না কেনো নিজ দেশের সাথে যেহেতু সব সম্পর্ক ছিন্ন করা জায় না তাই পোশাক নির্বাচনে সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হয়। এই আপনি যেমন বিদেশে থেকেও বাংলা ভাষায়ই কথাগুলো লিখছেন। আমাদের কালচারের বাংলা ভাষাকে কি ভুলে জেতে পেরেছেন। নিজের দেশের সালিন পোষাক কে ভুলে যেয়ে বাইরের অস্লিল পোশাক গ্রহন এত সহজ নয়। জদিও অনেক কাক নিজ সংস্কিতিকে ভুলে ময়ুর হবার চেস্টা করে। ভালো থাকবেন।

কমেন্ট পরে দেখছি অনেকেই ওই হিন মানসিকতায় ভুগছে! কাউকে কাউকে দেখছি মেয়েটার ভালগুন গুলোকেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে পাশ কাটিয়ে তাকে দোশারপ আর অশ্লীল ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে!

আচ্ছা প্রথমত আপনারা অন্যের পোশাকের শ্লীলতা দেখার আগে নিজের দৃষ্টিভংগির শ্লীলতা আগে ঠিক করুন!
দ্বিতীয়ত কেউ পোশাক পরার শ্বাধীনতা মানে সে বিকিনি পরতে চাইছে সেটা নয় বরং সে তার সুবিধা মত পোশাক পরার অধিকার চাইছে মাত্র! বাংলাদেশে অনেক ধর্মান্ধ মুসলিম আছে যারা শাড়ি পরা কে অশ্লীল বলে, অনেক বাংলাদেশী ধর্মান্ধ হিন্দু সালওয়ার কামিজকেও অশ্লীল বলে! so এই topics এ bikini নিয়া চিল্লাচিল্লি করার কারন নেই! যারা bikini/swiming custume বা সানি লিওন কে টেনে আনছে তাদের নিজেদের মানসিকতাই বিকৃত! so আগে নিজের চরিত্র শালীন করেন!

যারা বলছে ১০টা ভাল কাজ করেও পোশাক ঠিক না থাকলে সে চরিত্রহীন, তাদের জিগাই “আপনি নিজে কতটা চরিত্রবান?” এই বাচ্চা মেয়েটা সম্পরকে আপনি কতটুকু জানেন? আর একটা বাচ্চাকে এরকম ভাবে অমানবিক,নিষ্ঠুর আর অশালীন ভাবে তিরষ্কার করাটা কি কোনো ভাল মানুষের কাজ হতে পারে? so নিজের চরকায় আগে তেল দিন!

পরিশেষে selute to sister Jasmine and her daughter! hats off to you both!
✌ peace n respect

আপনাকে ধন্যবাদ। আমার হয়ে অনেক কথারই সুন্দর জবাব দিয়েছেন আপনি। আমি আমার মেয়ের প্রসংগ টেনে এই প্রজন্মের কথাই বলতে চেয়েছিলাম এবং আশা করি তারা তাদের কাজের মাধ্যমে এসব মন্তব্যের দাঁত ভাংগা জবাব দেবে। আপনার মংগল হোক ।

জেসমিন চৌধুরিকে ধন্যবাদ তার সন্তান কে মানবিক ভাবে তৈরী করার জন্য। তবে মা হিসাবে আপনার উচিত ছিলো নিজ সন্তান কে বাংলাদেশের culture এর সাথে আরো পরিচিত করে তোলা। বাংলাদেশি সংস্কৃতি তে সল্প পোশাক গ্রহণ যোগ্য নয়। মার্জিত পোসাকের সাথে মানবিকতার কোন বিরোধ নাই। আপনার বাচ্চা যদি বিদেশে অবস্থান করে সেক্ষেত্রে সে বিদেশি পোশাক পরতেই পারে তবে বিদেশেও কিন্তু মার্জিত পোশাক, সল্প পোসাক রয়েছে। আপনার বাচ্চা কোন পোশাক গ্রহন করবে তা নির্ভর করবে আপনি তাকে কত টুকু নিজ সংস্কৃতির শিক্ষা দিয়েছেন। প্রগতিশীলতা, মানবিকতা আর উশৃংংখলতা এক জিনিস নয়। বেগম রোকেয়া মার্জিত থেকেও নারীদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বর্তমান সময়ে অনেক নারী, নারী সাধীনতা, প্রগতিশীলতা, মানবিকতা আর উশৃংংখলতা কে এক করে ফেলছে।

আপনিও বোধ হয় মানবিকতা, উশৃংখলতা, আর স্বল্প পোষাককে এক করে ফেলছেন। প্রচন্ড গরমের সময় আরামের জন্য একজন নারী বা পুরুষ স্বল্প পোষাক পরতে পারেন, সাঁতার কাটার সময় নিরাপত্তার জন্য স্বল্প পোষাক পরতে পারেন, এতে তাদের মানবিকতা বা সংস্কৃতিবো্ধের অভাব প্রমাণিত হয় না। আপনার কেন মনে হলো আমার মেয়েকে আমি বাংলদেশের কালচারের সাথে পরিচিত করিনি? একটা দেশের কালচারের অনেক দিক রয়েছে, এবং প্রতিটি দেশের কালচারেরই কিছু ভালমন্দ দিক রয়েছে। বর্তমান বিশ্বের মানবিক মানুষরা সব কালচারের ভাল দিকগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করছেন। আরেকটা কথা, স্বল্প পোষাক মানেই উশৃংখলতা নয়। আপাদমস্তক ঢাকা মানুষও আরো নানাভাবে উশৃংখল হতে পারে।

জেসমিন চৌধুরী, সল্প পোশাক মানে উশৃংংখলা নয় সেটা কোন সমাজের জন্য প্রযোজ্য? যে সমাজ সেই পোশাক কে গ্রহন করে। আমাদের বাংলাদেশি সমাজে সেটা গ্রহণীয় নয়। পৃথিবিতে এমন অনেক সমাজ আছে যেখানে মেয়েদের চোখ পযন্ত দেখা যায় না আবার এমন অনেক নৃগোষঠী আছে যেখানে নারীরা উপরের বসন পরে না। এটাই তাদের কালচার। তাই বলে আমরাতো সেই কালচারকে গ্রহন করতে পারি না। আজ যদি সেখানে কিছুদিন আমি বসবাস করি আর আমার মেয়ে সেই বসনা পরে ছবি তুলে, আর আমি তাকে মানবিক বলে সাফাই গেয়ে তার ২০ টা গুনের কথা লিখতাম তাহলে বাঙালি সমাজ তাকে কি গ্রহন করতো? আর মানুস পৃথিবির যে প্রান্তেই থাকুক না কেনো সে তার নিজ আত্তীয়সজন,বন্ধুবান্ধব, নিজ সমাজ,নিজ কালচার কে অসিকার করার ক্ষমতা রাখে না। যদি সব সম্পর্ককে ছিন্ন করে বনে বসবাস করে সেটা আলাদা কথা। আপনি বলেছেন গরমে সল্প পোসাক আর সাতারে বিকিনি পরার কথা। আমরা বাঙালিরা এ সব পোশাক নিজ কক্ষে পরলেও রাস্তায় বা fbতে ছবি তুলে দেই না।আর সল্প পোসাক দু্স্চরিত্র কিনা। আমার বাঙালি সমাজে তাই। কারন এখানে চরিত্রবান বলতে তাকেই আমরা বুঝি যে মানবিক, সৎ, নমনীয়, সালিন পোশাক পরে। আর এক জন আপাদমস্তক ঢাকা নারী যদি অমানবিক হয় তাহলে তাকে যেমন আমরা ভালো, চরিত্রবান, নীতিবান মানুস বলি না তেমনি আবার একজন মানবিক নারী যদি সল্প পোসাক পরে, নাইট ক্লাবে যায় তাকেও আমরা চরিত্রবান বলি না। আর আমাদের কালচারেও অনেক ভালো দিক রয়েছে,যেমন পারিবারিক বন্ধন,সংসার টিকিয়ে রাখা, বড়দের সন্মান দেওয়া, অন্যের বিপদে এগিয়ে যাওয়া,দেশপ্রেম, সালিন পোসাক পরা ইত্যাদি। খারাপ দিক ও অনেক রয়েছে। তাই যে যেখানেই থাকুক না কেনো নিজের দেশের ভালো দিক গুলো রেখেই অন্য দেশের ভালো দিক গুলো গ্রহন করা উচিত। আপনি যদি বাঙালি কালচার আপনার মেয়ে কে শিখাতেন তা হলে আজ আপনাকে আপনার মেয়ের গুনের কথা লিখে এত বড় লেখা লিখতে হতো না। এদেশে অনেক ছেলে মেয়ে আছে অনেক গুনের অধিকারী।

জেসমিন চৌধুরি, আমিও মনে করি সল্প পোশাক আর উচ্ছ্ংখলতা এক জিনিস নয়, কিন্তু সেটা কোন সমাজের ক্ষেত্রে প্রজোয্য? যে সমাজ সল্প পোসাক কে গ্রহন করে, আপনি যদি বাংগালি সমাজের সাথে পরিচিত থাকেন আর আপনার মেয়েকেও শিক্ষা দিয়ে থাকেন তা হলেতো এটা আপনারো জানার কথা, আর বাংালি নারিরা গরমে সল্প পোশাক আর সাতারে বিকিনি পরলেও সেটা অন্দর মহলেই পরবে নিশ্চয়ই রাস্তাঘাটে মানুসের সামনে বা fbতে ছবি তুলে মানুস কে দেখাবে না, আমরা যেমন একজন নারী আপাদমস্তক ঢাকা হবার পর যদি সে মানবিক না হয় তাহলে যেমন তাকে ভালো মানুস বলি না তেমনি একজন নারী সল্পপোশাক পরে যতই মানবিক হোক তাকে চরিত্রবান বলি না কারন আমাদের সমাজে চরিত্রবান বলতে আমরা মানবিকতা গুনটির পাশাপাশি ভদ্রতা,নমনীয়তা,পোশাকের সালিনতাকেও নীয়তা,

আসলে আপনার মনে কোন এক অজানা কারণে আপনার পূর্বের স্বামীর প্রতি রাগ জমে আছে, ফলে আপনি একজন মুসলিম তার পর একজন বাংলাদেশী এটা ভূলে গেছেন । যার জন্য বিভিন্ন কথামালা দিয়ে গল্প লিখে মানুষের সহানুভূতি আদায় করে নিজের দোষ ঢাকতে চাইছেন তাই নয় কি? শুনুন বাংগালী মেয়েদের মূখে প্রাক্তন স্বামী মানেই আপনার চরিত্রের ধারণা ভেসে ওঠে পর্দায় ।সুতরাং মেয়েটা তো আপনারই ।ওকে নিয়ে বড়াই করবেন না ।

তার ( মেয়েটির ) ভবিষ্যত ভালো হোক, অন্য সব পাঠকের মতো আমিও চাই।
যতটুকু পড়ে বোঝা গেল,
মেয়েটিক ২১ বৎসর বয়সের মধ্যে বাবার ছায়া কতদিন পেয়েছে, কিছুটা বোঝা যাচ্ছে !
হয়তো ছোট্টবেলা থেকেই পায়নি।

ব্রোকেন ফ্যামিলির মধ্যে বেড়ে ওঠা ( মেয়েদের / বা ছেলেদের ) কাছে,
(যারা মা এর সাথের সংসারে বড় হয়ে উঠে) তাদের কাছে, বাবা একটা শুক্রাণু দানকারী পুরুষ মানুষ ছাড়া কিছুই না।
আবার একই ভাবে এই (ছেলে/মেয়ে) যদি বাবার সংসারে বড় হয়ে উঠে তখন মা হয়ে যান, চরিত্রহীন ডাইনী…..

আমি নিজেও দুই কন্যার বাবা,
এটুকু চাই যে আমার মেয়েরা যেন একটা সুন্দর সংসারের মধ্যে, মা বাবার সুশাসনের ভিতর বড় হবে।

মা বাবা, দুজনের কাছথেকেই জীবনকে শিখে নিবে।
এটাই সহজ সত্য, যা হওয়া উচিত। এই সমাবেশের সবাই ও একমত হবে হয়তো,

আবার হয়তো হবেও না, কটাক্ষের শিকার হতে হবে হয়তো।

তারপরও, পৃথিবী এখন বড্ড জটিল আবর্তনে ঘুরছে। সাথে জটিল হচ্ছে আমাদের জীবন।
আনন্দোলোকে, মঙ্গলালোকে আমাদের আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠুক, সত্য সুন্দরের মাঝে।

লেখায় যেসব মন্তব্য আসে তার সবগুলোর উত্তর দেয়া হয় না, দিলেও হয়তো তা মন্তব্যকারীরা পড়েন না। আমি আশা করি আপনি পড়বেন। আপনার কথায় মনে হচ্ছে আপনি একজন সুখী বিবাহিত মানুষ, এবং সন্তানদেরকে তাদের মায়ের সাথে হাত মিলিয়ে একসাথে বড় করবার সৌভাগ্যে আপনার জীবন উজ্জ্বল। এটাই সবচেয়ে কাম্য পরিস্থিতি, কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই সৌভাগ্য সবার হয় না। অনেকে বৈবাহিক সম্পর্কের ভেতরে থেকেও সন্তানকে একাই লালন পালন করতে বাধ্য হন, কারণ তার সংগিটি বাচ্চাদের ভাল মন্দ বুঝতে অক্ষম, অনেকে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে সন্তানকে একা মানুষ করতে বাধ্য হন। অনেকে আবার বিবাহ বিচ্ছেদের পরও প্রাক্তন সঙ্গীর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সন্তান পালনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবার সুযোগ পান। কিন্তু সিংগল পেরেন্টের সাথে থাকা সন্তানের ভবিষ্যত যে সবসময় খারাপই হবে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় সংঘাতপূর্ন জীবন থেকে বেরিয়ে আসার পর সন্তানকে একা লালন পালন করা অনেক সহজ হয়। দিন রাত ঝগড়া বিবাদ দেখার চেয়ে মা অথবা বাবার সাথে একা থাকাই একটা সন্তানের জন্য বেশি মংগলজনক। আমার মেয়ের সম্পর্কে আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার মেয়েটি খুব ভাল আছে এবং তার ভবিষ্যতও খুবই উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে।,সে নিজের এবং পৃথিবীর প্রতি যত্নশীল একজন মানুষ। আমার বর্তমান স্বামীর সাথে তার অত্যন্ত সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একজন ভাল, সহনশীল এবং যত্নশীল বাবা। শুধু জন্ম দিলেই ভাল বাবা হওয়া যায় না। ভাল থাকবেন।

kichu chagoler kache dhormo shudhu kapore.. onno shomoy dhormo koi thake ask korle ei chagoler ledagular mukh kotha futena.. amio chai amar meye age manush hok then muslim.. humanity chara dhormo dhuye pani khaoanor ichcha ar jar thak amar nai .. choto choto bachchar hate bonduk tule dei e kemon dhormo … thanks to the writer for echoing our voice.. i believe humanity shikhle ekshomoy she nij thekei dhromo palon kora shikhe jabe ..

অসাধারণ লেখা। এই কথাগুলো এতো সহজভাবে বলতে পারিনি কখনো। এই চমৎকার লেখাটা পড়বার পরেও যখন কেউ এসে এখানে কমেন্ট করে যে “আপনার মেয়ের ১০ টি দিক ভালো। কিন্তু আরো ১০ টা দিক খারাপ।” তখন অসহ্য গা জ্বালা করে ওঠে। এই মানুষগুলোর চোখ কি কখনোই খুলবে না?
এখানে লেখিকা তার মেয়ের যে চমৎকার গুণগুলোর কথা লিখেছেন, তার ঠিক বিপরীত যদি একটা বাচ্চা থাকে, যে বাচ্চার কারোর জন্য ভালোবাসা নেই, যে স্বার্থপর এবং লোভী (এখনকার বেশিরভাগ বাচ্চাদের আমরা যেভাবে বড়ো করছি), তাদের ব্যাপারে এই লোকগুলোর মুখ থেকে একটা শব্দও বেরোবে না। এটাই স্বাভাবিক এদের কাছে। তাদের সব পুলিশগিরি হলো কে কতখানি কাপড় পরলো, কোন ছেলেমেয়েগুলো মেলামেশা করে একে অন্যের সাথে, কে কতটুকু ধর্মের দৃশ্যমাণ দিকগুলো মেনে চলছে, এসব নিয়ে। পৃথিবীর জন্য, মানুষের জন্য কার কত মায়া, কে সত্যিকারে মানুষজাতীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার এরা পরোয়া করে না, তাতে এদের কিছু যায় আসে না।

অসাধারন আপনার লিখা, প্রথমেই সেলুট জানাই আপনাকে, এটা কোন গল্প নয় নিজের মেয়েকে নিয়ে লিখা একজন মা’র সাহসী প্রতিবাদি লিখা।
He is a Biological father indeed but he doesn’t know what is the meaning of daughter.
মেয়ে মানেই” মা ” আর উনি ওনার নিজের মাকেই ভালোবাসতে পারেননি আর তাই উনি বাবা যেমন হয় তা হতে পারেননি।

চোখের জলে আর আবেগ দিয়ে লেখিকা খারাপ কাজগুলোকে ভালো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে । আমি ওনার অনেক কথার সাথে একমত হতে পারলাম না।
আপনার মেয়ের ১০ টি দিক ভালো । কিন্তু আরো ১০ টা দিক খারাপ । আর সমাজের সবার কথাই আপনাকে বিবেচনা করতে হবে । আপনার মেয়ে গোশত কায় না। এটা করে ওটা করে । এগুলো ভালো।
কিন্তু সমাজের একটা মূ্ল্যবোধ আছে । তাকে তা মানতে হবে । সানি লিওনি ড্রেস পড়লে তার দিকে কেউ সম্মানের নজরে না তাকিয়ে অন্য দৃষ্টিতে তাকাবে এটাই স্বাভাবিক ।

বাংলাদেশে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গেলে কেবল চোখ ছাড়া (কখনো তাওনা) মেয়েদের কিছুই দেখা যায়না । একজন মেয়ে হিসেবে আমি তখন খুবই নিঃসঙ্গ বোধকরি । আমি স্বাভাবিক পোষাক পরলেও ওই মেয়েদের পোশাকে সেটাও স্বল্প বসন হয়ে যায়! কারে বলিব দুঃখের কথা গো . . . .

খিজিকিস্থানের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন,‘মিনি স্কাট পরা নারীরা কখনও জঙ্গি হয়না।’ আমার কাছে যা স্বল্প বসানা অন্যর কাছে তা নয়। কোনটা স্বল্প বসন আর কোনটা দীঘ বসন তার মাপকাঠি কে করবে? আমি আমার মেয়েদের বলেছি তোমরা সুইমিং কাস্টিউম পরলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তুু তোমাদের মানুষ হতে হবে, মানবিক মূল্যবোধটুকু থাকতে হবে।

আপু ,
আপনার বক্তব্য একেবারেই নিজস্ব । বাস্তবে ধর্মান্ধতা নয় , ধর্ম ভীরুতা নৈতিকতার পূর্ব শর্ত। তা সে যে ধর্মেরই হউকনা কেন। বিকিনি পড়ার মধ্যে কোন ধর্মের ই স্বীকৃতি নেই ,এটা হল কপি করা। এক দিন হয়ত সমকামিতাও আপনাকে মেনে নিতে হবে।

বক্তব্য সবসময়ই কারো না কারো নিজস্ব হয়ে থাকে। উপরের বক্তব্যটা যেমন আপনার একেবারেই নিজস্ব। এবং বাস্তবতার নিরিখে ভয়াবহ রকমের ভুল। বাস্তবে ধর্মান্ধতা ও ধর্ম ভীরুতার সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক উল্টো।

পৃথিবীর সব ধর্মান্ধ এবং ধর্মভীরু দেশ ও জাতি অন্যদের তুলনায় বেশী অনৈতিক ও করাপ্টেড। আমাদের ইন্ডিয়ান উপমহাদেশ বলেন বা মধ্যপ্রাচ্য বলেন, এসব অঞ্চলের দেশগুলো ধর্ম ভীরুতার নিরিখে প্রথম দিকে থাকবে। এবং এসব দেশের মানুষই সবচেয়ে অসত। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোর দিকে তাকান। ৯০% এরও উপরে মানুষ ধর্মহীন। এবং অনেকে কয়েক জেনারেশন ধরে ধর্মহীন। আর এই স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোর মত স্বচ্ছতা ও সততা অন্য কোথাও দেখা যায় না। গ্লোবাল পিস ইন্ডেক্সে সবসময়ই প্রথম দিকে এবং দুর্নীতিতে সবচেয়ে নীচের দিকে তাদের অবস্থান। অপরাধের অভাবে তাদের জেলখানাগুলো বন্ধ হবার জোগাড়। শুধু স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ না। ধর্মহীন অন্যান্য দেশ যেমন কানাডা, গ্রীন ল্যান্ড এসব দেশেরও একই অবস্থা।

আপনি ধর্ম পালন করেন বলেই ধর্ম ভালো, নৈতিকতার সাথে তার ইতিবাচক কোরিলেশন – এ যুক্তি দিলে কিছু বলার নাই। নিজেকে ধর্মের উর্ধ্বে তুলে দেখলে চোখে পড়ে যুগে যুগে ধর্মের সাথে দুর্নীতি, অনৈতিকতা সবসময় হাতে হাত রেখে চলে।

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.