নারগিস মুন্নী:
আমার ছেলেমেয়েদের চলাফেরা, আচার-আচরণ ও কাজকর্ কোনরকম ভুলত্রুটি হলেই আমার হাজব্যান্ড প্রায়ই আমাকে বলবে, এজন্যই সম্রাট নেপোলিয়ন বলেছিলেন –
“আমাকে একটি মা দাও আমি তোমাদের একটি জাতি দেব।”
‘সন্তানের শুদ্ধ চারিত্রিক গঠনে কেবল কি মায়েদেরই দায়িত্ব’ এমনটা ভেবে কষ্ট পেয়েছি, কষ্ট পেয়ে আরও শুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি। এই দুই মাসের লকডাউনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতায় আরও ঋদ্ধ হলাম। মনন ও মগজে গেঁথে গেছে সন্তানের পারিবারিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা আর এই শিক্ষার উৎকৃষ্ট স্থান হলো যৌথ পরিবার। আর এই যৌথ পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন একমাত্র মায়েদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।
২৪ মার্চ লকডাউনের ঘোষণা শোনার পরই অবচেতন মনেই সিদ্ধান্ত নিলাম করোনাকালে আমরা গ্রামের বাড়িতেই থাকবো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবাই চলেও আসলাম। একমাত্র দেবরের পরিবারও আমাদের সাথে যোগ দিল। আমার তিন ছেলেমেয়ে, সবাই বড় হয়ে গেছে। একমাত্র দেবরের তিন ছেলেমেয়ে এখনও ছোট। ওদের বড় সন্তান জন্ম হওয়ার পরপরই দেবরের কর্মক্ষেত্রে বাসা নিয়ে ওরা আলাদা সংসার পাতে। সেই থেকে আর একত্রে এত দীর্ঘ সময় আমাদের থাকার সুযোগ হয়নি।
শাশুড়িসহ আমরা মোট ১১ জন সদস্য হলাম গ্রামের বাড়িতে। পনের-বিশ দিন বেশ হাশি-খুশিতেই কাটালাম আমরা, যেমন কাটাই প্রতি কোরবানির ঈদে বড়জোর ৪/৫ দিন।
লকডাউনের এই সময়টা আমরা বেশ উপভোগ করছি। মনে হচ্ছে ফিরে গেছি সেই আবহমান বাংলায়! যেখানে জীবন-জীবিকার জন্য ছুটোছুটি নেই, কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতা, হিংসা নেই, লোভ নেই আছে শুধু টানাপোড়নহীন সময়ের অফুরান ভালোবাসা। পানের পাটা নিয়ে যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে নকশি কাঁথায় রঙিন বুনন। বুড়ো দাদুর হাত-পা টিপে দেওয়া, দুপুরে খাবার পর রূপকথার ঝুলি নিয়ে বসা, রাতে ছেলে-বুড়োর চুটিয়ে লুডু খেলা সবকিছুই এখন সহজ সরলীকরণ।
এই প্রাণবন্ত, উপভোগ্য সময়ের সীমা যত বাড়ছে যৌথ পরিবারের নেগেটিভ বিষয়গুলোও ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে। আমার ছেলেমেয়েরা যখন ছোট ছিল তখন একসাথে থাকার সুবাদে দাদা-দাদু, কাকা সবার সান্নিধ্যেই বড় হয়েছে। তাই সংসারের কিছু রুলস বা নিয়ম পরিবারের সবার কাছ থেকে দেখে ওরা অভ্যস্ত, যা কিছুটা হলেও অনেকের সাথে মিলে-মিশে থাকার ক্ষেত্রে কাজে লাগে বা মানিয়ে চলার ক্ষেত্রে সহায়ক। অন্যদিকে দেবরের ছেলেমেয়েরা অনেক কিছু শেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছে শুধুমাত্র এককভাবে ওদের মায়ের সান্নিধ্যে থাকার জন্য। যেমন-
খেতে বসলে ডাইনিং টেবিলের নির্দ্দিষ্ট করা বাসার বয়োজ্যেষ্ঠদের চেয়ারে না বসা।
বাড়ির সবাই উপস্থিত থাকলে একা একা না খেয়ে অপেক্ষা করে একসাথে খাওয়া।
বাবা, চাচারা কিছু নিয়ে এলে তা সবাই মিলেমিশে খাওয়া। পরে খেলেও সবাই খেল কিনা তা জেনে তারপর খাওয়া। বাসার বাইরে কেউ থাকলে তার জন্য যত্ন করে তুলে রাখা।
কোন আত্মীয়-স্বজন কিংবা পড়শি বাসায় কিছু পাঠালে তা বাসার বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখিয়ে তারপর খাওয়া।
সবাই মিলে কিছু খাওয়ার সময় ভাল জিনিসটি বাসার বয়োজ্যেষ্ঠদের দেওয়া।
ইফতারের আগ মুহূর্তে অতি ছোটরাও সবার সামনে ইফতারের কোনো আইটেম না খাওয়া।
ঈদে মামা, চাচা, খালা যে কারোর ঈদ-উপহার বাড়ির কর্তা বা বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে সবাইকে আনন্দচিত্তে দেখানো।
বড়রা কোন বিষয়ে বকা-ঝকা করলে তা তর্ক না করে শুনে থাকা।
এমন অনেক কিছুই আছে যা আমরা ছেলেমেয়েদের পরিবার থেকেই শেখানোর চেষ্টা করি।
আর কাজ? সে তো আছেই-
গৃহকর্মীর অনুপস্থিতিতে খাবার পরিবেশন এবং খাবার শেষে টেবিল গোছানোর কাজে মা, চাচী, বড় বোনটির সাথে ছোটদেরও সাহায্য করা।
খাবার শেষে যার যার প্লেট সে সে নিজ দায়িত্বে ধুয়ে ফেলা।
নিজের জামা-কাপড়গুলো নিজেই গুছিয়ে ফেলা।
গোসল শেষে বাথরুমে ভেজা কাপড় যত্রতত্র ফেলে রেখে না আসা।
এমন অনেক কিছুই সন্তানদের পরিবারেই শিখিয়ে থাকি যা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রয়োজন।
যে নিয়ম এবং কাজের কথা বললাম একক পরিবারে থাকার কারণে এর কোনটাই দেবরের ছেলেমেয়রা শেখার সুযোগ পায়নি। আমরা মায়েরা ছেলেমেয়েদের বেশী স্নেহের চোখে দেখি বলে কিংবা সন্তানরা মায়েদের বেশী আপন ভেবে এই নিয়ম-রীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখায়। যা বুমেরাং হয়ে দেখা দেয় সন্তানরা বড় হওয়ার পর যার লাগাম তখন আর টেনে ধরা যায় না। আমি আমার শাশুড়িকে দেখেছি উপরের সমস্ত নিয়ম-রীতির একটু অন্যথা হলে এখন এই বৃদ্ধ বয়সেও তার কঠোরতা চরম আকার ধারণ করে।
যা বলছিলাম, লকডাউনের সুবাদে এই যৌথ পরিবারে প্রথম বাধ সাধলো ডাইনিং চেয়ারে বয়োজ্যেষ্ঠের চেয়ার নিয়ে। ওরা ভুল করে বার বার বসে যায়, আমরা সবাই বার বার শুধরে দেই। এটা ওদের মানতে খুব কষ্ট হচ্ছিল, চেয়ার তো চেয়ারই, এক চেয়ারে বসলেই তো হলো।
ওদের অনেক কষ্টে বোঝানো হলো এই চেয়ারটাতে কেবলমাত্র ওদের দাদুই বসবে, আর কেউ নয়। ওরা বুঝলো, তবে ওরা বলে আমার নানু হলে বলতো নানুভাই তুমি বসো, তুমি বসো, আমার একটা চেয়ার হলেই হলো। এই আদর মাখানো শিথিলতাই অনেক নিয়ম শেখানোকে বিনষ্ট করে দেয়।
একদিন বাড়ির এক প্রতিবেশী এক বাটি পায়েস দিয়ে গেল। “ও মজা তো” এই বলে একজন এরপর আরেকজন এরপর আরেকজন এভাবে সব খাবার ছোটরাই খেয়ে ফেললো। এ নিয়ে ওদের দাদু বাসায় তুলকালাম কাণ্ড করলেন। ওদের মা খুব অসন্তুষ্ট হলো। একবাটি পায়েসই তো খেয়েছে। খেয়ে ফেলেছে এ নিয়ে এতোকিছু কেন? আমি এবং আমার বড় মেয়ে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলাম এটা সামান্য খাবারের বিষয় নয়, ব্যাপারটা একটা রুলস শেখানো। খাবার ছোটরাই খাবে, কিন্তু বড়দের আগে জানাতে হবে কে দিয়েছে, কী দিয়েছে।
এই দুই মাসে এটা এখন রপ্ত হয়েছে । এখন কেউ কিছু দিলে দাদুকে, জ্যাঠুকে দেখাতে ওরা ভুল করে না।
একা একা খেয়ে ফেলা নিয়ে কয়েকদিন বোঝানোর পর সেটাও ঠিক হচ্ছে। এটা বাচ্চাদের জন্য একটু কঠিন হলেও অভ্যাস করাতে হবে এখন থেকেই। নতুবা এই আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা জীবনের অনেক সুন্দর সম্পর্কের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করবে।
ইফতারের সময় সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য রুহান খুব বায়না করতে লাগলো আমি একটু এটা খাবো, ওটা খাবো। ওর বাবা নিষেধ করছে – “না এখন খাওয়া যাবে না”। ওর মা এর কথা, ছোট মানুষ একটু খেলে কী এমন সমস্যা? বাচ্চাদের খাওয়া নিয়ে এতো কঠোরতা ঠিক না। এমন নিয়ম আমি কখনও কোথাও দেখিনি। ইত্যাদি, ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের মায়েদের আদর দেখানো ঠিক না। যৌথ পরিবার হোক আর একক পরিবার হোক, এই বেসিক রুলসগুলো ছেলেমেয়েদের আমরা মায়েরাই তো শেখাব।
এখন আমের সিজন। কম বেশি কাঁচা-পাকা আম গ্রামের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে। বাড়ির অন্যান্য ছেলেদের নিয়ে একসাথে উঠানে ওদের জ্যাঠু তারাবীর নামায পড়তো। নামাজ শেষে সবাই আম বানিয়ে খেত। প্রথম প্রথম বাচ্চাগুলো কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে সব বানানো আম গোগ্রাসে খেয়ে ফেলতো। ওদেরকে বোঝানো হলো এই বানানো আম তো সবারই খেতে ইচ্ছে করে, তাই সবাইকে একটু দেয়া উচিৎ। এটা বলার উদ্দেশ্য হলো আমরা বড়রা খাই বা না খাই পরিবারের প্রত্যেককে সাধার অনুশীলন করানো। আমি জানি child psychology এটাকে সাপোর্ট করবে না। শিশুর মনের বিরুদ্ধে কিছু করানোটা ঠিক না ভাবলে তাকে এর সুন্দর ও ভাল দিকগুলো বোঝানো উচিৎ। এর ফলাফল একসময় ইতিবাচকও হতে পারে। ঠিক না ভুল হচ্ছে জানি না, এরপর থেকে ওরা সবাইকে সেধে তারপর ওরা খাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমার ছোট ভাই-এর বউ। সম্পর্ক আমাদের ভাল। একদিন আমার এক ফ্রেন্ড নিয়ে ওর বাসায় কোন এক কাজে গেলাম। বাচ্চাদের তখন বিকেলের নাস্তা খাওয়ার সময়। তো ওর ছোট মেয়েকে কিছু নাগেট ভেজে পাশের রুমে পাঠিয়ে দিল। দরজা বন্ধ করে মেয়ে নাশতা খেয়ে তারপর আমাদের সামনে এলো। আমাদেরকে যথারীতি চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করলো। এই কাজের পিছনে অনেক যুক্তি আছে জানি। কিন্তু পারিবারিক শিক্ষা এটাকে কতটুকু সাপোর্ট করবে তা ভাববার বিষয়। আমার মেয়ে হলে তার ফুফুকে অল্প হলেও ভালো জিনিসটি খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠতো। যে শিক্ষাটি আজ ওর মায়ের কাছে পেল, পরবর্তিতে ও যে ওর মায়ের সাথে একই কাজটি করবে না তা কে বলতে পারবে?
ছোট রুহান জ্যোঠুর সাথে তারাবীর নামাজ পড়ায় ফাঁকি দেয়ার জন্য বললো, মা বলেছে আমার পড়া আছে, নামাজ পড়তে হবে না। পরদিন জ্যোঠু নামাজে ওকে ডাকলো না। এরপর মায়ের কাছে বিচার। মা বললো, তুমি একা একা পড়ো। এরপর রুহানের জ্যাঠু একা একা নামাজ পড়তে বলার জন্য ওর মাকে বকাঝকা করলো-আমি ওকে নামাজে ডাকিনি সেটা আমি বুঝবো। তুমি ওকে একা একা নামাজ পড়তে কেন বললে? এটা কি আমাকে অপমান করে ওকে প্রশ্রয় দিলে না? ছেলে কি তোমার একার? ছেলেকে কি কিছু সামাজিক শিক্ষা দিতে হবে না? এখানটায় মনে হয়েছে সন্তানদের পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা দেয়ার জন্য যৌথ পরিবারই উৎকৃষ্ট।
এবার সার কথায় আসি। এতসব রীতি-নীতি ছোটদের শেখাতে গিয়ে বউ-শ্বাশুড়ি, ভাসুর- ছোট বউ, স্বামী-স্ত্রী, জা-য়ে-জা-য়ে দু’চারটি কটু কথা, একটু আধটু মান-অভিমান, মন-কষাকষি যে হবেনা তা নয়। এখানে ও মায়েদের ভূমিকাই অগ্রগণ্য। আমরা মায়েরা যদি বিষয়গুলোকে পজিটিভলি না দেখে সন্তানের ভুলত্রুটি ধরা হচ্ছে এটা ভাবি তাহলে সন্তানদের কিছুই শেখানো যাবেনা। বলা বাহুল্য এই নিয়ম-রীতিগুলো না শেখার কারণে, এই সহনশীলতা, মিলেমিশে চলার অভ্যাস না তৈরি করার জন্য কত মা-বাবারা যে কতশত পারিবারিক অবক্ষয়ের টানাপোড়েনে দিশেহারা তার উদাহরণ তো সমাজের আনাচে-কানাচে বিস্তর।
আমাদের ক্ষেত্রেও যে একটু আধটু হয়নি, তা নয়। আমার জা তার সন্তানদের চলাফেরা, আচার-আচরণ, হাঁটাচলা, খাওয়া-দাওয়া এতসব কিছু নিয়ে বকাঝকার জন্য কষ্ট পেয়েছে,, মন খারাপ করেছে, সংসারের কাজে অবহেলা করেছে। এই অবস্থাকে সামাল দেয়ার জন্যও আমাদের অর্ৎ মায়েদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বড় জা হিসেবে সবকিছু সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে অপেক্ষা করেছি।ওর অবহেলিত কাজগুলো আমি পজিটিভলি করেছি। ভালো ব্যবহার করেছি। ওর ছেলেমেয়েদেরকে বাড়তি যত্ন করেছি, আব্দারগুলো পূরণ করেছি। সুযোগ বুঝে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
গ্রামীণ পরিবেশে সবার সাথে মেলামেশা করার কারণে অনেক শাশুড়ির বুকফাটা কান্না দেখার সুযোগ হয়েছে। অনেক পরিবারে দেখেছি বাচ্চাদের বকাঝকাকে কেন্দ্র করে ছুতোনাতা বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে অন্যত্র বাসা নিয়ে চলে গেছে। এসব ক্ষেত্রে কি মায়েরা সন্তানদের দাদা-দাদুর আদর-শাসন আর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করলো না? মায়েরা ভাবে, সন্তান মানে শুধু আমার, একচ্ছত্র আধিপত্য কেবল আমারই, অন্যে শাসন করার কে? এখানেই আমরা ভুল করি। সন্তান মানেই আমার না, সন্তান মানে গোটা পরিবারের। তাকে আদর করা , শাসন করা, সবকিছুর অধিকার পুরো পরিবারের। কেবল বোঝার দায়িত্বটা মায়েদের।
আজকের এই একবিংশ শতাব্দিতে বসে লকডাউনের সুযোগে ‘পুতুল খেলা’র মতো যৌথ পরিবার-যৌথ পরিবার খেলায় মেতে এর যে সুফল গাইলাম তা সত্যিই হাস্যকর।
কারণে হোক আর অকারণে হোক একক পরিবারে এখন সয়লাব আমাদের সমাজ। সোশ্যাল মিডিয়া, ড্রামা-সিরিয়ালস, পরচর্, পরকীয়া বাচ্চাদের নানাবিধ গেমস নিয়ে আমরা মায়েরা এবং সন্তানেরা যেখানে বুঁদ হয়ে আছি, সেখানে যৌথ পরিবার, তথা পারিবারিক শিক্ষা তো রূপকথার গল্পের মতো।
তবুও স্বপ্ন দেখি রূপকথার ঝুলিকে হাতের মুঠোয় পাওয়ার। স্বপ্ন দেখি শিশুরা দিদিমার কোলে শুয়ে আকাশের তারা দেখে দেখে গল্প শুনবে পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়া রাজপুত্রের, সোনার কাঠি-রূপার কাঠি আর ব্যাঙমা-ব্যাঙমীর। সুস্থ পারিবারিক চর্চায় বিকাশমান পরিবারের। সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত আমাদের আগামী প্রজন্মের। যারা বেঁচে থাকবে কেবল মাছে-ভাতে বাঙালি হয়ে। প্রয়োজন শুধু আমাদের মায়েদের একটু প্রচেষ্টা, সহনশীলতা আর সহিষ্ণুতা।
তবেই আমরা নেপোলিয়নের সেই কাঙ্খিত জাতি সমাজকে উপহার দিতে পারবো। পরিশেষে বলি-
পরিবার ভালো তো সমাজ ভালো,
সমাজ ভালো তো জাতি ভালো।
ভাবসম্প্রসারণের একটি চমৎকার এবং পরিচিত বাণী। যা আমরা অনেক কথার মালা দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে বিষদ ব্যাখ্যা করে শিক্ষকদের চমৎকৃত করি। তবে এর বাস্তবজ্ঞান অনেকেই অর্জন করলেও অনেকেই হয়তো এর স্বাদ নেয়নি, তাই বাস্তবতার নিরিখে কিছু সহজলভ্য অভিজ্ঞতার বলবো যদি অনুজদের কিছুটা অনুপ্রাণিত করে।