খালাস পেলেন তারেক, ৭ বছরের দণ্ড মামুনের

Tarke-Mamunউইমেন চ্যাপ্টার: প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অর্থপাচার মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে একই মামলায় তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দায়ের দুদকের এই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও আসামি।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলা দায়েরের চার বছর ২১ দিন পর এই রায় হলো। গত বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে তিনি রায় ঘোষণার নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে মানি লন্ডারিংয়ের পৃথক মামলায় তারেকের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর ছয় বছর সাজা হয়েছিল।

রায়ে মামুনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন -২০০২ এর ২(ঠ), (অ), (আ) ও ১৩ ধারায় এ সাজা দেওয়া হয়। এদিকে খালাস পাওয়া তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়েই রায় ঘোষণা করা হয়। মামুনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী জানান, ৭ নভেম্বর দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আসামি মামুন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের প্রভাব খাটিয়ে টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ঘুষ নেন। সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন হয়। ওই অবৈধ টাকার কিছু অংশ তারেক রহমান ভিসা কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন। কিন্তু ওই টাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় দেখানো হয়নি। তিনি বলেন, ওই টাকাটা যদি বৈধভাবেও নেওয়া হতো, তবু ঘোষণা না করায় তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী অপরাধ বলেই গণ্য হতো।

গত ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। চিকিতৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দেশে যান। পরে তাঁর জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। তিনি না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

শেয়ার করুন: