হরতালে সংঘর্ষ, সহিংসতায় নিহত ৫

Hartal 28 Octউইমেন চ্যাপ্টার: বিরোধী জোটের ডাকা টানা তিনদিনের হরতালের প্রথমদিনে যশোর, ফরিদপুর, পাবনা, বগুড়া ও পিরোজপুরে মোট পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এপর্যন্ত নিশ্চিত করা গেছে। বেসরকারি সূত্রে নারায়ণগঞ্জেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ খবরের সত্যতা জানা যায়নি।

এছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। রোববারও প্রধান বিচারপতির বাসা, আওয়ামী লীগ নেতার বাসাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাসা লক্ষ্য করে বোমা ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রয়েছে।

যশোরের অভয়নগরে পিকেটারদের সাথে সংঘর্ষে মারা গেছে এক যুবলীগ নেতা। জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, অভয়নগর উপজেলায় হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়ার পর স্থানীয় যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।  রোববার সকালে ১৮ দলীয় জোটের হরতালের মধ্যে অভয়নগরের নওয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর হোসেন শিমুল উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

অপরদিকে, ফরিদপুরের নগরকান্দা থানাতেও একজন নিহত হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলা সদরের মিনার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারুফ শেখ (২২) ওই গ্রামেরই রাজু শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মারুফ একজন যুবদলকর্মী।

এ ঘটনায় পুলিশের এসআই খলিলসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাতেমা ও বদুল নামের দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, বিএনপি ও যুবদল কর্মীরা ফরিদপুর-নগরকান্দা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।  এ সময় হরতাল সমর্থকরা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই খলিলসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

পুলিশের গুলিতে মারুফ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপি দাবি করলেও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার তা নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেছেন, নিহতের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে কিনা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

পাবনার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঈশ্বরদীতে হরতালের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরেকজনকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।  নিহত জুলহাস উদ্দিন মুন্না উপজেলা জামায়াতের কর্মী বলে স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন।

এদিকে আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের কোয়ার্টার থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। লালবাগ থানার পরিদর্শক নুরুল মোস্তাকিন উইমেন চ্রাপ্টারকে জানান, উদ্ধার করা বিস্ফোরকের মধ্যে ১৭টি হাতবোমা, আধা কেজি গান পাউডার রয়েছে। কোয়ার্টারের ওই ফ্ল্যাটে বর্তমানে কেউ থাকতো না, ওটা পরিত্যক্ত ছিল। এ ঘটনায় এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।

শেয়ার করুন: