টার্গেট রবীন্দ্রনাথ, না জাতীয় সংগীত?

মোজাফফর হোসেন:

একটা শ্রেণি অনেক আগে থেকেই জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘সোনার বাংলা’র বিরোধিতা করে আসছে। জাতীয় সংগীত প্রথম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় খুনি মোশতাক সরকার।
মন্ত্রিপরিষদের নথি থেকে জানা যায়, ৭৫-এর ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে ‘এক মাসের মধ্যে পরিবর্তিত জাতীয় সংগীত’ প্রস্তাব করতে বলা হয়। দ্বীন মুহাম্মদ-এর নেতৃত্বে কমিটি তিনটি বৈঠক করে কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ এবং ফররুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ থেকে যেকোনো একটি জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব করে। কিন্তু সেটি সফল হয়নি।
পরে মেজর জিয়াও একই চেষ্টা করেন। ১৯৭৯ সালের ৩০ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান এক গোপন চিঠিতে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গান ভারতীয় জাতীয় সংগীত। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকও নন। হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন কবির লেখা গান জাতীয় সংগীত হওয়ায় মুসলিম উম্মাহ উদ্বিগ্ন। এই গান আমাদের সংস্কৃতির চেতনার পরিপন্থী বিধায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন আবশ্যক।’
প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠিতে ‘আমার সোনার বাংলা’র পরিবর্তে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’কে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি পেয়ে মন্ত্রিপরিষদ রেডিও, টেলিভিশন ও সব সরকারি অনুষ্ঠানে প্রথম বাংলাদেশ গানটি প্রচারের নির্দেশনা জারি করে। এ সময় রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশ গাওয়া শুরু হয়। কিন্তু ১৯৮১ সালে জিয়ার মৃত্যুর পর এই উদ্যোগ থেমে যায়।

এরপর তৃতীয় দফায় ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় একই উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০২ সালে শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে একটি যৌথ ডিও প্রধামন্ত্রীর বরাবরে জমা দেন। এরা দুজনই যুদ্ধাপরাধী এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। ২০০২ সালের ১৯ মার্চ স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে তারা বলেন, ‘সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ ও চেতনার আলোকে জাতীয় সংগীত সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন।’ এই অনুরোধপত্রটি ‘অতি গুরত্বপূর্ণ’ বলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর নথিতে আর কোনো তৎপরতা পাওয়া যায়নি।

কিন্তু নথিপত্রের বাইরেও রবীন্দ্রবিরোধী নানা তৎপরতা ছিল। ছোটবেলায় শুনে শুনে বড় হয়েছি, রবীন্দ্রনাথ নজরুলের লেখা চুরি করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কাজী নজরুলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে গাছপড়া খাইয়ে পাগল করে দিয়েছেন যাতে তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে না পারেন। তিনি লালনের গানের খাতা মেরে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ মুসলিম বিরোধী, অত্যাচারী জমিদার ছিলেন। শিক্ষিতরা ছড়িয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছেন। রবীন্দ্রবিদ্বেষের এরকম অনেক মিথ আমাদের জানা আছে।

বিএনপি শাসনামলের এই অপতৎপরতা এখনও থেমে নেই। যারা এসব বলছেন তারা দেশের স্বীকৃতি বুদ্ধিজীবী নন বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে বলে মনে করেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ওদের পাত্তা না দিলেও একেবারে চুপ থাকা ঠিক হবে না। কারণ আজ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সরকার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। কাল যে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে না, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন চেপে গেলে, তখন এরা ফাল হয়ে দেখা দেবে।

লক্ষ্য করে দেখবেন, কেউ জাতীয় ফুল শাপলার পরিবর্তে কদম হোক, জাতীয় পাখি হিসেবে দোয়েলের চেয়ে ঘুঘু উপযুক্ত—এরকম কথা বলছে না। তাদের টার্গেট জাতীয় সংগীত। কারণ এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাদের কাছে ভারতীয় লেখক। তার চেয়ে বড় কথা ধর্মীয় পরিচয়ে তিনি হিন্দু। এটা অনেকে প্রকাশ্যে বলেন, অনেকে অন্যভাবে বলেন।

এই বাংলাকে সামগ্রিকভাবে ধারণ করে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি। বাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও বাংলার মানুষের আবেগ দ্বারা প্রাণিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটা রচনা করেন। তিনি এর সুর হিসেবে গ্রহণ করেন বাংলার বাউল গানের সুর। গানটি ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত হয়। এবং ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এ গানটির প্রথম দশ লাইন সদ্যগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়। এর আগে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হওয়ার পর ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা শেষে উপস্থাপিত ইশতেহারে এই গানকে ‘জাতীয় সংগীত’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধের এমন কিছু ভিডিও দেখেছি যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা সমবেত কণ্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাইছেন, আর তাঁদের চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।

১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গানটি যে প্রথম জাতীয় সংগীত হিসাবে গাওয়া হয়, তার পেছনে একটা ঐতিহাসিক কারণ ছিল। রবীন্দ্রনাথকে জাতীয় সংগীতের রচয়িতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনাটিও ছিল পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিরাট প্রতিবাদ। অর্থাৎ যুদ্ধটা কেবল আমরা অস্ত্র দিয়ে করিনি। সংস্কৃতি দিয়েও করেছি। সেখানেও পাকিস্তান সরকার পরাজিত হয়েছে। প্রথমত তারা আমাদের ভাষার অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারেনি; ভাষা আন্দোলনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। দ্বিতীয়ত, তারা আমাদের কাছ থেকে বাংলা ভাষার প্রধান লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও কেড়ে নিতে পারেনি। এখানেও তারা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুসহ পাকিস্তান শাসনামলে আমাদের লেখক বুদ্ধিজীবীরা অনুধাবন করেছিলেন, বাঙালি জাতীয়তা হবে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তা নয়, বাঙালি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভিত্তিক জাতীয়তা। এই কারণে ১৯৬১ সালে তৎকালিন পাকিস্তান সরকার যে, পূর্ববাংলায় রবীন্দ্রচর্চার বিরোধিতা করে ঘোষণা দেয়: পাকিস্তান জাতীয়তাবাদ-পরিপন্থী হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসৃষ্টি সর্বতোভাবে বর্জনীয় ও পরিত্যাজ্য। এর বিপরীত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে শরিক হতে সময় নেননি আমাদের লেখক-শিল্পীরা।
রবীন্দ্রবিরোধিতার প্রতিবাদস্বরূপ রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী আরো ধুমধাম করে উদযাপনের আয়োজন করেন তারা। এতে দেশে অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনের ধারা উজ্জ্বীবিত হয়ে ওঠে।
১৯৬৭ সালে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তানের তথ্য ও বেতার মন্ত্রী যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তার প্রতিবাদ করে বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দেন। অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের বর্ণাঢ্য বিচিত্রমুখী অবদান বাঙালিসত্তাকে ঋদ্ধ করেছে। পাকিস্তানী (তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান) হয়েও আমরা তাঁর অংশীদার। সুতরাং সে মহৎ সাহিত্য আমার এবং আমার উত্তরাধিকারীকে আমি তা থেকে বঞ্চিত হতে দেব কেন?’

বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বলেন, ‘আমরা মির্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকসপিয়ার, অ্যারিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাও সেতুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য, আর সরকার আমাদের পাঠে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে বিশ্বকবি হয়েছেন। আমরা এ ব্যবস্থা মানি না। আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এ দেশে গীত হবেই।’ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকারের বাধার মধ্যে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, “Tagore had reflected the hopes and aspiration of the Bangalees through his works and without Tagore the bengali Language was incomplete.”

ফলে বলতে পারি, কলকাতার মানুষের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা অনায়াসে পাইনি, তাঁকে আমাদের অর্জন করে নিতে হয়েছে। বাংলা ভাষা যেমন আমাদের অর্জন করা সংগ্রামের ভেতর দিয়ে, তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা অর্জন করেছি প্রতিবাদের ভেতর দিয়ে। তাই আমরা বাংলা ভাষা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমাদের লেখক হিসেবে কলকাতার মানুষের চেয়ে বেশি করে দাবি করতে পারি। এদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়াতে, অদূর ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উত্তরাধিকার হবে বাংলাদেশই।

কিন্তু এদেশেরই কিছু মানুষ হিন্দু-মুসলমান বলে সবকিছু আলাদা করে ফেলে। পারলে ভাষাকেও তারা আলাদা করে। আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প মিশিয়ে দিতে চায়। এটা বোকা বা মূর্খদের কাজ বলে আর উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এর মধ্যে রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় কূটচাল আছে।

জাতীয় সংগীত জাতীয় পতাকার মতোই আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের (৪৭-৭১) মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার অমূল্য স্মারক। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা নির্ধারণ করে গেছেন। জাতীয় পতাকার মতো জাতীয় সংগীত নির্বাচনের পেছনে একটা ইতিহাস আছে, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। এটা কখনোই পরিবর্তন বা রক্ষা করার প্রশ্ন না। কারণ যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমাদের যা কিছু জাতীয় স্মারক (জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, জাতীয় দিবসসমূহ) তা অপরিবর্তনীয় থাকবে। আজ জাতীয় সংগীতের পেছনে যারা লেগেছে, কাল প্রশ্রয় পেলে জাতীয় পতাকার পেছনে লাগবে না, এ কথা বলা যাচ্ছে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আরও কিছু কথা বলা প্রয়োজন। নতুন কথা নয়, তাও স্মরণ করা যেতে পারে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও তাঁর প্রাণের আশ্রয় হিসেবে এই বাংলাকে বিবেচনা করেছেন।
তাঁর পূর্বপুরুষের নিবাসও ছিল এই পূর্ববঙ্গেই। তখনও তো এদেশ-ওদেশ আলাদা ছিল না। দেশভাগ যেভাবে করা হয়েছে সেটা ভুলভাবে হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তা দেখে যাননি। তিনি স্বাধীন ভারতের নাগরিক নন। অর্থাৎ পার্টিশনের ভিত্তিতে দিয়ে তাঁকে ভাগ করা সম্ভব নয়। মানুষ বেঁচে না থাকলে তার আত্মাকে, কর্মকে, সৃষ্টিকে ও স্মৃতিকে ভাগ করা যায় না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই কোনো একক দেশের সম্পদ নন। তিনি বাংলা ভাষার সম্পদ। আর বাংলা ভাষা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। তিনি আমাদের রাষ্ট্রভাষার প্রধান লেখক। এই বাংলার মাটিতে বসে এই বাংলার জল হাওয়াতে তিনি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনাগুলো লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর স্মৃতিচর্চায় বলেছেন যে, শিলাইদহে এসেই রবীন্দ্রনাথের গদ্যপদ্য দুই ধরনের লেখার হাতই যেন খুলে গিয়েছিল, এমন আর কোথাও হয়নি।

লেখক: মোজাফফর হোসেন

ভারততত্ত্বের অধ্যাপক ড. দুসান জাভিটেল বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ যদি পূর্ববঙ্গে না আসতেন তাহলে তিনি মানুষ এবং কবি হিসেবে যা হয়ে উঠেছিলেন তা হয়ে উঠতে পারতেন না। এগুলো ফেলনা কথা না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি এই বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এই বাংলার চাষিকে আত্মশক্তিতে দৃঢ় করে তুলতে তিনি সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নতির জন্য সমবায় ব্যাংক, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি চালু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন হেলথ্ কোঅপারেটিভ্ সোসাইটি ও কৃষি ল্যাবরেটরি। কৃষিউন্নয়নের জন্য নিজ পুত্র ও জামাতাকে কৃষিবিদ্যা বিষয়ে পড়তে বিদেশে পাঠান। বাংলার কুটিরশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করেছেন। এগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশাল কর্মযজ্ঞের খুব সামান্য নমুনা।

আমরা আমাদের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ নিয়ে গর্ববোধ করি। আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা প্রশ্নাতীতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে আমাদের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’র সম্মান সমুন্নত থাকবে।

শেয়ার করুন: