বৈতরণী হক:
মিসেস রেবা রহমান। পেশায় একজন গৃহিণী। বয়স ষাট বা তার চেয়ে একটু কম। স্বামী আশরাফ রহমান ছিলেন একজন স্হপতি। গত হয়েছেন ছয় বছর হয়। রেবা রহমানের দুই ছেলে আর এক মেয়ে। মেয়ে বড় আর তারপর দুই ছেলে। রেবার স্বামী ঢাকা শহরে অভিজাত এলাকায় দুইটি বাড়ি আর অনেক সম্পত্তি রেখে গিয়েছে। বলা যেতে পেরে তারা বেশ উচ্চবিত্ত।
রেবা থাকে তার বড় ছেলে আশফাক রহমানের সাথে। আশফাক পেশায় ব্যারিস্টার। তার স্ত্রী মিনারা রহমান সরকারী কলেজের অধ্যাপক। তাদের একমাত্র ছেলে রিজভি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসিতে অনার্স করছে। রেবা রহমানের বড় মেয়ে আফসানা রহমান পেশায় ডাক্তার আর তার স্বামী মেজবাহ খান ও ডাক্তার। তাদের মেয়ে সারাহ খান কমার্শিয়াল পাইলট হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রেবার ছোট ছেলে মুশফিক রহমান থাকে সপরিবারে অস্ট্রেলিয়াতে। তার পরিবার বলতে স্ত্রী শোভা আর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে অধরা। তার সবাই মিলে বছরে একবার আসে দেশে।
এই হলো রেবার পরিবার। রেবার বিয়ে হয়েছে ঠিক ষোল বছর বয়সে। বিশ-বাইশ বছরের মধ্যে তিন সন্তানের মা। তাই অদম্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সে পড়ালেখা করতে পারেনি, গান শিখতে পারেনি। রেবা আর আশরাফ সাহেবের আদি নিবাস রংপুর শহরে। কিন্তু তারা পাকাপাকি ভাবে রংপুর ছেড়েছে বহু আগে। ঢাকা শহরে তাদের কেটেছে অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, যার ফলশ্রুতিতে আজ তাদের এই অবস্হান।
স্বামী মারা যাওয়ার াগ থেকেই রেবা ব্যস্ত। সারা জীবন নিজের সন্তান পালন আর সংসার দেখা সব করেছে এক হাতে। আশরাফ সাহেব টাকার পিছনে ছুটেছেন পাগলের মত। তারপর ছেলে মেয়েরা বড় হলে নাতি নাতনীদের দায়িত্ব এসে পড়ে তার উপর। সে বেশ আনন্দ নিয়েই কাজ গুলো করেছে। সংসারের নিয়ম এমনি। চাইলেও দায়িত্ব এড়ানো যায় না। এখন সবাই বড় হয়ে গিয়েছে। যার যার মতো থাকে। একাই লাগে রেবার। কিন্তু কেউ তাকে অবহেলা করে না। সবার মনে তাঁর জন্য ভালোবাসা আর সম্মানের কমতি নাই। দেশে বিদেশে বেড়াতে গেলে রেবাকে তারা নিতে চায়। রেবা বুঝে দুনিয়া বদলেছে, সবার লাইফে আলাদা স্পেস দরকার ওদের সাথে তাই যেতে তার ভালো লাগে না। দুইবার মুশফিকের কাছে সিডনি গিয়েছিল রেবা। দিন কয়েক ভালো লেগেছিল, তারপর আর ভালো লাগেনি।
রেবার জন্মদিনে এবার তার সব নাতি-নাতনি মিলে তাকে একটা ল্যাপটপ কিনে দিয়েছে। রিজভি সোশাল সাইট ব্যবহার থেকে শুরু করে মুভি দেখা সব শিখিয়ে দিয়েছে। ভালো লেগেছে তার।
মুশফিক দেশে এসেছে সপরিবারে। তারা সবাই রেবার জন্মদিনে গেট টুগেদার করলো। রেবা তার সেই পুরানো কাজের মানুষ মালাকে নিয়ে ছেলেমেয়ে আর নাতি-নাতনীদের পছন্দের অনেক কিছু রান্না করেছে।
খাওয়া দাওয়া শেষে রেবা খুব উত্ফুল্ল হয়ে ছেলে মেয়েদের বললো, তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা আছে।
রেবা: দেখো প্রতিটা মানুষ চায় নিজের শখ আশা পূরণ করতে কিন্তু বেশিরভাগ সময় মায়েরা তা পারেনা। কারণ মায়েদের কাছে তার সন্তান নাতি-নাতনির চাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি চেষ্টা করেছি তোমাদেরকে তোমাদের প্রয়োজনে সাহায্য করতে। এখন তোমরা সবাই বড় তোমাদের নিজস্ব ভুবন আছে। আমার আর তোমাদের মাঝে না থাকলেও চলবে। আমার নিজেরও তো একটা জগত চাই। আমি চাই আমার আশা পূরণে তোমরা আমাকে সহযোগিতা করো।
ছেলেমেয়েরা একটু উদ্বিগ্ন হয়ে পরস্পরের দিকে তাকাতে লাগলো।
রেবা আবার বলা শুরু করলো: আমি চাই আমার শৈশবের স্হানে ফিরে যেতে। আমি রংপুরে গিয়ে থাকতে চাই একা। আমি মাঝে মাঝে আসবো দেখা করতে, আর তোমরা সুযোগ পেলে যাবে। প্লেনে তে খুব কম সময় লাগবে। ওখানে আমার একমাত্র বোন থাকে, ছোটবেলার বান্ধবীরা আছে, আত্মীয়রা আছে, আমি তাদের সাথে সময় কাটিয়ে থাকতে চাই। তোমরা আমাকে না করো না, এটা তোমাদের কাছে আমার আবদার।
আশফাক: মা বলো, কেন তুমি এমনটা চাইছো, কে তোমাকে অসম্মান করেছে যে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো। মা তোমার রাগের কারণ বলো?
আফসানা: মা তোমার যদি ওদের সাথে থাকতে সমস্যা হয়, তুমি আমার সাথে থাকো।
এক পর্যায়ে আফসানা আর আশফাক বাক বিতণ্ডায় চলে যায়।
রেবা খুব সহজভাবে বলে: কেন তোমরা ব্যাপারটাকে জটিল করে দেখছো? মুশফিক চেয়েছে বাইরে সেটেল করতে, আমরা তা দিয়েছি। সারাহ পাইলট হতে চেয়েছে, আমরা ওর কথা শুনেছি। আমি নিজের মতো করে থাকতে চাইছি, তোমরা কেন রাজি হচ্ছো না? বাইরের দেশে এমনটা তো হয়। তোমরা তো প্রগতিতে বিশ্বাস করো, নাকি তোমরা সমাজকে ভয় পাচ্ছো? আমাকে তো আর তোমরা জোর করে আশ্রমে পাঠাচ্ছো না। আমি আমার আসল ঠিকানাতে যেতে চাচ্ছি।
অতঃপর তারা রাজি হলো। মালার বাড়িও রংপুরের পাটগ্রামে। মালা হবে রেবার সাথী। আশফাক আর মুশফিক গিয়ে রেবার কথা মতো রংপুরে সব ঠিকঠাক করে আসলো। রেবার এটা বাবার বাড়ি। এখন কেউ থাকে না। রেবার একজন বড়বোন আছে রংপুরে, থাকে স্বামীর বাড়িতে, তার সাথে কথা বলেই সব ঠিক করেছে রেবা। বোনের নাম জবা।
নাতি নাতনিরা সব এসেছিলো রংপুর শহরের এই একতলা বাড়িতে রেবাকে রেখে যেতে। রিজভি ইন্টারনেটের সব ব্যবস্হা করে দিলো। তারপর সবাই চলে গেলে রেবার মন খারাপ একটু হলো।
কিন্তু শুরু হলো তার নতুন জীবন। মালার এক ভাইপো সোলেমানকে রাখা হলো। আফসানারা তিন ভাইবোন মিলে মাকে ছোট একটা গাড়ি কিনে দিয়েছে এদিক-সেদিক যাওয়ার জন্য রংপুরের আশেপাশে। সোলেমান ড্রাইভার আর কেয়ারটেকারের কাজ পেল।
এখন শুরু হলো রেবার জীবনের পরিবর্তন। রেবা একজন গানের টিচার রাখলো। একটা মেয়ে একটা গানের স্কুলে টিচার, সে বাসায় এসে নিয়ম করে রেবাকে গান শিখায়। লতা মুংগেশকার আর সন্ধ্যা মুখার্জির গানগুলো সবসময় ভালো লাগে রেবার।
সকালে উঠে ফজরের নামায পড়ে কুরান পড়ে রেবা। তারপর বাসার বাইরে হাঁটে। তারপর নাস্তা করে খবরের কাগজ নিয়ে বসে। নিজের মতো করে টিভি দেখে, সিনেমা দেখে। রংপুর শহরে তার বান্ধবীরা থাকে। তাদের সাথে গিয়ে আড্ডা দেয়, লুডু খেলে, রেবার বাসাতে মাঝে মাঝে তারা আসে। সেই ছোটবেলাতে ফিরে যায় তারা। একসাথে সিনেমা দেখে, খাওয়া-দাওয়া করে। শহরের ফাস্টফুডের দোকানে গিয়ে খায়। প্রায়ই চটপটি, ফুচকা খায়। ফেসবুকে মাঝে মাঝে ছবি দেয়। রেবার বয়স কমে মনে হয় বিশ হয়ে গিয়েছে। অথচ এই বিশ বছরের মধ্যে দুটো সন্তান ছিলো আর জীবনের কঠোর সংগ্রামে সে হারিয়ে গিয়েছিল। জবা বলতে গেলে রেবার সাথেই থাকে। জবার অর্থনৈতিক অবস্হা আগের থেকেই খারাপ। রেবা বোনকে বরাবরই সাহায্য করতো।
রেবা ভাবে, তার ছেলেমেয়েরা, নাতি-নাতনিরা কতোটা সময় পায় একসাথে থাকার, অথচ জীবনের মাত্র পনেরো বছর সে থাকতে পেরেছিলো তার মা-বাবা আর বোনের সাথে। রেবা খুঁজে বের করেছে তার ছোটবেলার বান্ধবীদের। কারও শারীরিক অবস্হা ভালো না, কারও কারও অর্থনৈতিক। রেবা চেষ্টা করে তাদের আনন্দ দিতে, বিনোদন দিতে, কারণ তাতে তার নিজেরও ভালো লাগে।
রংপুরে আসার পর অনেকেই তাকে বলেছে যে, ছেলেমেয়েদের সাথে বনিবনা না হওয়াতে সে এসেছে কিনা! রেবার সহজ উত্তর, ছেলেমেয়ে, নাতি নাতনিদের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে বলেই সে সাহস করেছে দূরে আসার, কারণ সে জানে, ছেলেমেয়েরা তাকে খুশি দেখতে চায়। মাসের মধ্যে ছেলেমেয়ে বা নাতি-নাতনিদের কেউ না কেউ আসে তাকে দেখতে। সেও ঢাকা যায় মাঝে মাঝে ডাক্তার দেখাতে, সবার সাথে ঈদ করতে, বা অন্য কোনো অকেশনে।
রেবা বলে যে, সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত মা-বাবার। মা-বাবার দায়িত্ব সন্তানদের প্রতিপালন করে বড় করার। এটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সেখানে প্রতিদানের আশা করা ভুল। রেবার চিন্তাধারা আসলেই আলাদা, সবার থেকে অন্যরকম।
রেবা প্রগতিতে বিশ্বাসী। সে বাকিদের বলে, জোর করে ছেলেমেয়েদের সাথে থেকে, অনিচ্ছাসত্ত্বে তাদের সংসারের কাজ করার থেকে নিজের মতো থাকা ভালো। বাইরের কালচারের আমরা অনেকটাই নিয়েছি। বিদেশে ওল্ডহোম মানে বেশির ভাগ সময় তাদের বিনোদন। তারা তাদের পরিবারের কাজ করে খুশি হয়ে। আমাদের দেশে করতে হয়, কারণ মা-বাবা বুড়ো বয়সে বোঝা হয়ে যায় বলে মনে করে, তাই নাতি-নাতনির দায়িত্ব পালনটা একধরনের জীবিকার মতো ভাবে।
মা-বাবার যদি মনে হয় ছেলেমেয়েদের সাহায্য করবে আনন্দ থেকে, সেটা আলাদা। আর তা না হলে আগের থেকেই নিজের কথা, ইচ্ছার কথা ভাবা উচিত, আলাদা জগত গড়ে তোলা উচিত। যুগ বদলাচ্ছে, মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে। নিজের সুখ নিজেকে খুঁজে বের করতে হবে। আর তাই রেবা সে সন্ধানেই বের হয়েছে।
রেবার কাছে সারাহর জীবনটা অনেক মজার। সে স্বাধীন, নিজের ইচ্ছা মতো চলতে পারে। যুগ বদলে গিয়েছে। রেবার মেয়ে আফসানা এতো স্বাধীন ছিলো না। আশরাফ বেশ কড়া ছিলো। তার চাওয়াতেই আফসানা ডাক্তার হয়েছে, অথচ মেয়েটা চমৎকার ছবি আঁকতো, চেয়েছিলো আাঁকাআঁকি নিয়ে পড়তে, তা কি আর হয় নাকি! কী সাহস সারাহটার, প্লেন চালাবে ভাবতেই কেমন লাগে। রেবা ভাবে, কেন সে এ যুগে জন্মালো না! রেবা সোলেমানের পাশে বসে এখন একটু একটু করে গাড়ি চালানো শিখছে। একটু করে চালাতে পারেও সে।
এর মধ্যে সুইডেন থেকে দেশে তার রংপুরের বাড়িতে বেড়াতে আসলো রেবার বান্ধবী জোহরার নাতি, নাম অন্তু। অন্তুর বয়স হবে সাতাশ-আটাশের মতো। অন্তুর বেড়ানো বলতে গেলে ভুল, সে দেশে এসেছে একটা কাজে। সে ফটোগ্রাফির কাজ করে। জোহরা অন্তুকে একদিন বেড়াতে আনলো রেবার বাড়িতে। রেবা গল্প-গুজব আর খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি অন্তুর ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিল।
অন্তু রেবার আগ্রহটা বুঝে রেবাকে বললো: দাদু, তুমি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা শিখবে? আশেপাশে যা ভালো লাগবে তার ছবি তুলবে।
রেবা বললো: আমার তো ক্যামেরা নেই। আমি কীভাবে তুলবো?
অন্তু: কেন তুমি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করো, ফেসবুকে পিক দাও, তাই না? মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তুলতে থাকো, তারপর না হয় ক্যামেরা কিনে করো। আজকাল মোবাইল ফটোগ্রাফিও তো চলছে।
রেবার আইডিয়াটা খুব ভালো লাগলো। অন্তু মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে কেমন করে সুন্দর ছবি তুলতে হয়, তার কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিলো রেবাকে।
রেবার মেধা ভালো, কেউ কিছু শেখালে দ্রুত শিখে নেয়। মাঝে মাঝে অন্তু আসে রেবার সাথে দেখা করতে। রেবার বেশ লাগে অন্তুর তোলা ছবি দেখতে, আর দেশ বিদেশের ছবি তোলা নিয়ে গল্প শুনতে। অন্তু একসময় সুইডেনে চলে গেলো, কিন্তু রেবার সাথে ফেসবুক আর স্কাইপেতে তার যোগাযোগ থাকলো।
রেবার ফেসবুক ফ্রেন্ড সারাহ আর রিজভি। অন্তুর সাথে তাই ওদের ফেসবুকের মাধ্যমে বেশ জানাশোনা হলো। অন্তু আর সারাহর সখ্যতাও বেশ গড়ে উঠেছে। সারাহ তার নানুর তোলা কিছু ছবি পাঠিয়ে দিলো অন্তুকে। তবে রেবা সেটা জানতো না।
এদিকে অন্তু একটা মোবাইল ফটো ফেস্টিভ্যালে রেবাকে না জানিয়ে ছবিগুলো দিলো। আশ্চর্যজনকভাবে রেবা সেখানে তৃতীয় স্হান পেয়ে গেলো, অথচ সে নিজেই জানে না। এক সদ্য বিবাহিত গ্রাম্য হিন্দু মেয়ের কিছু অন্যরকম সুন্দর ছবি তাকে বেশ প্রশংসিত করলো। রেবার ডাক পড়লো স্টকহোমে। রেবাকে নিয়ে দেশের শীর্ষস্হানীয় দৈনিকে খবরও হলো। রেবা জার্নি করে অতদূর যেতে না পারায় তাকে পুরস্কার পাঠানো হলে দেশে।
রেবা একজন পরিচিত মুখ এখন। তার অনেক ফলোয়ার। তার আত্মবিশ্বাস তাকে এতো সাফল্য এনে দিয়েছে। রেবা ঢাকাতে সবার সাথে অসুখী ছিলো না। কিন্তু সে এই রংপুরে এসে যা করতে পেরেছে ঢাকাতে পারতো না।
আমাদের মাঝে চিন্তায় পরিবর্তন আর প্রগতি এসেছে, কিন্তু রেবার এমন ইচ্ছাগুলোকে কি তার পরিবার প্রশ্রয় দিতো, নিজের ভিতরের সুপ্ত অনুভূতিগুলো প্রকাশের স্বাধীনতা কি তাকে দেয়া হতো? হয়তো দিতো বা দিতো না! ছকে বাধা বার্ধক্য নিয়ে পড়ে থাকতো হতো তাকে বাকি জীবনটা নিয়ে!
নিজেকে সুখি দেখাটা অনেক আনন্দের। সংসারের মায়া বড়। মায়ার টান আর ত্যাগ এক সুরে বাঁধা। রেবা সেই মায়াটা ত্যাগ করতে পেরেছিলো বলেই জীবনের দ্বারপ্রান্তে এসে একজন প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে। রেবা আজ শুধু দায়িত্ববান নারী নন, একজন স্বপ্রতিভায় উদ্ভাসিত মানুষ!
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে রেবা রহমানের মতো স্বপ্নবাজ নারীদের অভাব নেই। তারা জীবনের দ্বারপ্রান্তে এসেও নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করে, কারণ তারা নিজেকে ভালোবাসতে জানে।
রেবা রহমান কোনো দায়িত্বহীন মহিলা নন। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সংসার করেছেন, ছেলেমেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, ভালো মানুষ করে গড়ে তুলেছেন। দায়িত্বের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে তিনি পেরেছেন নিজেকে ভালোবাসতে, নিজের মনের কথা শুনে চলতে। আজ তাই রেবা রহমান একটা নাম যে নামের মাঝে লুকিয়ে আছে অদম্য আত্মবিশ্বাস। রেবা রহমানরা বেঁচে থাকুক আমাদের মাঝে অনুকরণীয় হয়ে আরও অনেক বছর।