নারীর মেনোপজ এবং তার প্রশ্নবিদ্ধ যৌন ক্ষমতা

শেখ তাসলিমা মুন:

নারীদেহ জ্বললেও বিপদ, নিভলেও বিপদ। নারীদেহ বাজলে সুর, না বাজলে ভাঙ্গা খোল। নারী দেহ চাইলে রাক্ষুসি, না চাইলে ঢোঁড়া সাপ। বলছিলাম আমাদের মানস এবং নারীর দেহের কিছু দরকারি খুঁটিনাটি বিষয়ে।

যদি বলি যৌনতা, প্রজনন, সন্তান, এবং শরীরের চাওয়া বিষয়ের ‘সময় নির্ধারণ’ যতটা জৈবিক সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত, তার থেকে বেশি সামাজিক সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তটি আগে থেকেই সামাজিকভাবে রেডি করা। চাপিয়ে দেওয়া। সবই নির্ধারণ করছে সমাজ। আমাদের মানস।
বলছিলাম নারীর রজ:বিরতি বা মেনোপজ এবং তার যৌনসক্ষমতা বিষয়ে। মজার বিষয় নারীর দেহ নিয়ে যেভাবে ব্যাখ্যা দিতে বসতে হয়, পুরুষ দেহের বিষয়ে সে প্রশ্নগুলো ওঠে না।

মেনোপজ বা রজ:বিরতি নারীর তেমন আর একটি অধ্যায়। এ অধ্যায়ের নারীকে সামাজিকভাবে মোটামুটি বাতিলের খাতায়ই ফেলে দেওয়া হয়। এ সময়টিকে নারীকে একটা ‘সমস্যা প্রাণী’ বলে দণ্ডিত করে করুণার পাত্র করে আবর্জনার স্তুপে ফেলে তাঁর যৌন জীবনের মোটামুটি দাফন পর্ব সম্পন্ন করে ফেলা হয়। যদ্দিন বাঁচো, দাদী-নানী হও, ধাত্রী- আয়া ম্যানেজার- হাউজকিপার জীবন যাপন করো। তোমার জীবন খতম।

অনেক অল্প বয়সীদের ভেতর মেনোপজ নিয়ে প্রায়শই ট্রল করতে শোনা যায়। কারো মেজাজ কোনো কারণে খিটখিটে হলে আমরা বলতে শুনি, কীরে তোর কি মেনোপজ চলছে নাকি? হাসির তুবড়ি ওঠে।
অথচ কী ঘটে আসলে এ সময়ে সে বিষয়ে কোনো আগ্রোহ বা অনুসন্ধিৎসা এ ক্ষেত্রে দেখা যায় না। নারীর মেনোপজের সময় তাঁদেরকে বোঝা জরুরি, তাঁদের প্রতি ভালবাসা যত্ন দরকারি, কিন্তু সেটি কী, তা জেনেই করা জরুরি। জানতে হবে এ অবস্থা একটি বিশেষ অবস্থা এবং সাময়িক। এটি সে ওভারকাম করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
একটি ১২ বছরের শিশু মেয়ে যখন প্রথম ঋতুমতী হয়, তার যেমন সকলের থেকে যত্ন এবং আন্ডারস্টান্ডিং দরকার ঠিক মেনোপজের সময়ও নারীর এ ট্রাঞ্জিওশন পিরিয়ডে তাঁদের সহযোগিতা সাপোর্ট দরকার।

সত্যি বলতে প্রাচীনকাল থেকেই নারী দেহকে এক বিড়াম্বনাপূর্ণ ‘মিস্ট্রি’ বা রহস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। বেশিরভাগ বিষয়ে এটাকে ট্যাবু এবং শালীন-অশালিনতার অন্ধতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। অপ্রকাশিতব্য বিষয়ে পরিণত করে রাখা হয়েছে। বিশ্বাস করানো হয়েছে নারী এবং তাঁর যোনি একটি অভিশাপ। এটা শুধু বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হবার জন্য। সন্তান উৎপাদন এবং পুরুষের যৌন ভোগের বিষয়ে গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু ততটুকুনই, যতটুকুন তাদের দরকার। তাদের দরকার শেষে তাদের মতো করে ব্যাখ্যা করে নারীর প্রয়োজন নিঃশেষ করাও হয়েছে। এখানে তাঁর নিজের অনুভবের কোনো মূল্য দেওয়া হয়নি। এমনকি নারীর নিজের অনুভব ডিজায়ারও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তাকে ফর্ম করা হয়েছে।

নারী নিজেও অন্যের চাপিয়ে দেওয়া থিওরিকে নিজের বলে মেনে নিয়েছে। মনস্তাত্বিকভাবে সে মনেও করেছে, যে আমার জীবন এ পর্যন্ত এবং এখানেই আমার চলার সমাপ্তি। সে নিজে কী অনুভব করে, সেটি আর গুরুত্ব অনুভব করেনি, করে না।
নারীর শরীর, সেক্সুয়ালিটি তাঁর নিজের থেকে প্রজনন প্রক্রিয়ার জন্য উৎসর্গকৃত। নিজের শরীরকে জেনে তাকে উপভোগ করার ভাবনা এমনকি আজকের নারীও ভাবতে পারে না। ৫০ এর পরে তার শারীরিক চাহিদা থাকে, এমন ভাবনাও তাকে পাপবিদ্ধ করে। কবে তাঁর মাথায় এঁটে দিয়েছিল, ঋতুমতি নারীর ’নারী জীবনের’ শুরু। এবং মাসিকের সমাপ্তি তাঁর ’নারী জীবনের’ সমাপ্তি। যে দেহ তাঁর নিজের নয়, অন্যের সেবায় অন্যের প্রয়োজনে নিবেদিত।

মূলত এ বিষয়টি নিয়ে লিখতে গেলে আসলে আমাকে আমাদের নারীদেহ নিয়ে খানিকটা লিখতে হবে। নারী দেহকে আমরা কতোটা জানি? কী জানি এ দেহের ভাষা! মানচিত্র! আমরা যদি আরোপিত লৈঙ্গিক পরিচয়কে বাদ দিয়ে নারীর দেহকে বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে মুক্তভাবে এ আলোচনা এবং বিশ্লেষণ করতে পারবো এবং তারপরই আমরা নারীর শারীরিক ক্ষমতা, কার্যাবলী এবং চাওয়াকে নির্মোহভাবে দেখতে সক্ষম হবো, তার আগে নয়।

নারী তাঁর দেহটি ধারন করে প্রাকৃতিকভাবে। সেখানে কোন ঔচিত্য অনৌচিত্যবোধ তাকে সীমাবদ্ধ করে না। সেভাবে দেখলেই আমরা নারীর দেহ খুব বেশি কাছে থেকে দেখতে পারবো। এ প্রসঙ্গে আমাদের দরকার নারীর সামাজিক লিঙ্গ থেকে জৈবিক দেহটি আলাদা করা।
নারী ঋতুমতী হয় মূলত ১১ বছর বয়সে এবং এটি চলমান থাকতে পারে তাঁর ৫৩ বছর পর্যন্ত। এটি অনেক সময় আবহাওয়া জলবায়ুর উপর নির্ভর করে পার্থক্য হতে পারে। শারীরিক বা বংশগত কারণেও কিছুটা আলাদা হতে পারে। ঋতুচক্র সাধারণভাবে ২৮ দিন পর পর হয়। এটি চার দিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এটির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নারীর শরীরের প্রজনন সক্ষমতার প্রথম পর্ব রচিত হয়।
ঋতু বা প্রজননে জরায়ুর সম্পর্কটি আমি অতি সাধারণ ধারণাতেই সরলভাবে উল্লেখ করে যাবো, যেহেতু আমি এ বিষয়ে এক্সপার্ট নই। জরায়ুর উপরের অংশ ডিম্বনালির সাথে সংযোজিত থাকে। যার দুটি নালী থাকে এবং নালী দুটি ডিম্বাশয়কে সংযুক্ত করে জরায়ুকে ধরে রাখে। ডিম্বাশয়ে থাকে লক্ষাধিক ডিম্বাণু। ডিম্বাশয়ে ডিম্বস্ফোটন ঘটে, তা নালী বেয়ে জরায়ুতে এসে দু-তিন দিন অপেক্ষা করে পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হবার জন্য। যৌন মিলনের মাধ্যমে নারীর ডিম্বাণু এবং পুরুষের শুক্রাণুর মিলন ঘটে। কিন্তু যৌন মিলন না ঘটলে বা কৃত্রিমভাবে মিলন রোধ করলে ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়ে তা ভেঙ্গে পড়ে। অপেক্ষার প্রহর শেষে তারা কেঁদে কেটে চারপাশের সব নিয়ে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। রক্তবাহন দিয়ে বের হয়ে আসার সময় তা রক্তাকারে বেরিয়ে আসে। সরলভাবে বললে এটিই ঋতুস্রাব।
উল্লেখ্য, কোন তথ্য ভুল বুঝে দিয়ে থাকলে আমি সেজন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞও নই। আমি এখানে যেটি বলতে চাই সেটি হলো, মেনোপজের সাথে ডিম্বাশয়ের যতটুকুন সম্পর্ক, ততটা তার যৌন জীবনের নয়। যে নারী কোনোদিন সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হয়নি, তার যৌন জীবন যে অসুখী, সেটি কেউ বলবে না। এখানে একটি বিশেষ অবস্থাকে অতিক্রম করে নারীর একটি চমৎকার যৌন জীবনকে চাপা দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

নারীর মেনোপজ সংক্রান্ত কার্যক্রম আর তার যৌন প্রত্যঙ্গগুলোর যৌন কার্যক্রম আলাদা। যৌন প্রত্যঙ্গের ক্ষেত্রেও নারীর ইউনিক কিছু প্রত্যঙ্গ রয়েছে, যার ফাংশন কেবল সেক্স উপভোগ করার জন্য। যা পুরুষের নেই। আরব এবং আফ্রিকায় যে অংশ শিশু অবস্থায় কেটে ফেলা হয় শুধু নারী যাতে এ বিষয়টি অবগত না হতে পারে।

নারীর যৌনসুখকে পুরুষতন্ত্রিক সমাজ বরাবরই ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েছে এ কারণে যে, নারীর যৌন সুখ ক্ষমতা অনেক নিবিড় এবং মাল্টিপল। একজন পুরুষের থেকে একজন নারীর যৌন ক্ষমতাও অনেক বেশি। নারীর সঙ্গমের সময়কালও পুরুষের থেকে দীর্ঘ। নারীর যৌন স্পৃহা ও স্থায়িত্ব পরুষের তুলনায় অনেক বেশি। পুরুষের থেকে অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত নারীর যৌন ক্ষমতা থাকে। আর মেনোপজ তার সে ক্ষমতাকে ধবংস করে না।

শরীরের হরমোন, এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন ফুরিয়ে আসে এবং সে কারণে শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে, আর এই হরমোনই নিয়ন্ত্রণ করে তাঁর মানসিক অবস্থা। হরমোন থেরাপি, ডাক্তারি পরামর্শ এবং কাছের মানুষের ভালবাসা তাঁর এ অবস্থাকে পেছনে ফেলে বরং তাঁকে একটি নতুন জীবনে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। অনেক নারী মেনোপজের পর তাদের যৌন জীবনের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবেও দেখে। তারা এটাকে শেষ নয়, অন্য একটি পর্ব হিসেবে বরং নির্ঝঞ্ঝাট উপভোগ করেন।

মেনোপজের পর যে যে কারণে সেক্স লাইফ আরও মধুর হয়, সেগুলো দেখা যাক।

পাশ্চাত্যের অনেক নারী মনে করেন এ সময় সেক্স মধুর, কারণ মাসের পিরিয়ড সময়টি তাদের বদার করে না। এ সময় গর্ভধারণের ভয় থাকে না। তাঁদের সেক্স জীবন অনেক দুর্ভাবনাহীন। ছোটো শিশু ঘরে থাকে না জন্য তাঁদের সেক্স জীবন হয় অনেক বেশি ব্যাঘাতহীন।
অনেক নারী বলেন, এ সময়টিতে জন্ম নিরোধক কোন কিছু ব্যবহার করতে হয় না। যারা জন্মনিরোধক ব্যবহার না করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাঁদের পিরিয়ড সময়টি মাথায় রেখে মিলনের এবং গর্ভধারণ রোধের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ফলে সেক্স একটি এক্সট্রা দুশ্চিন্তা নিয়ে আসে, যা সেক্স জীবনকে নিরবিচ্ছিন্ন করে না। দুশ্চিন্তা না থাকলে সেক্স অনেক বেশি স্বাধীনভাবে উপভোগ করা যায়। তারা এটাও মনে করে এ পর্বটি সব থেকে চমৎকার এ কারণেও, নো প্যাড, নো পিরিয়ড।

ছোট বাচ্চা বিষয়ে উপরে উল্লেখ করেছি। ছোট বাচ্চার বাবা-মায়েদের সেক্স জীবন অনেক কঠিন হয়, তার আরও একটি কারণ তারা ফিজিক্যালি ক্লান্ত থাকে। ক্লান্ত অবসাদগ্রস্ততা তাঁদের সেক্সবিমুখ করে। ৫০ এর পরে তাঁদের স্বাধীন সেক্স জীবনে ফিরে আসে।
এ সময় পেশাগত স্ট্রেস থাকে না। স্ট্রেস সেক্স ডিজায়ার কমিয়ে ফেলে। এজন্য অল্প বয়সী নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যাড সেক্স লাইফের জন্য স্ট্রেসকে দায়ী করা হয়। ৫০ এর পরের নারীদের এ স্ট্রেস থাকে না। তারা অনেক বেশি কন্সেন্ট্রেটেড থাকে।
এ সময় তাঁদের ভেতর নিজের একটি প্রশান্তি ফিরে আসে। ছেলেমেয়ে বড় হয়ে যায়। পেশাগত জীবনে স্থিতিশীলতা আসে। সে তাঁর আইডেন্টিটি খুঁজে পায় নিজ পরিচয়ে। নিজের প্রতি সে তখন অনেক বেশি আগ্রহী হয়। তাঁর অবসর হয় নিজেকে নিয়ে ভাবার। এ সময় তাঁর নিজের সাথে সম্পর্ক অনেক নিবিড় এবং কোয়ালিটিটিভ হয়, যা তাকে জীবনাগ্রহী করে এবং অবশ্যই সে তাঁর সেক্সুয়াল জীবন বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভাবার অবসর পায়।

সে বুঝতে পারে সেক্স তাঁর নিজের জন্য। কারো বা কিছুর জন্য নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এ সময়ে তাঁর সেক্সুয়াল পারফ্রম্যান্সও অনেক বেশি স্বাধীন হয়।

মেনোপজের পর একটি সমস্যা দেখা যায় সেটি হলো ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস। এটাকে নারীর সেক্স জীবনের বাধা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। অথচ পশ্চিমের অনেক বিশেষজ্ঞ বিষয়টিকে অনেক ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস মোকাবেলা করতে তাঁদেরকে lubricant সাজেস্ট করা হয়ে থাকে। দেখা যায় এটি নর্মাল অবস্থায় ব্যবহার করা হয় না। lubricant অনেক নারীর জন্য এক নতুন সেক্সুয়াল এক্সপেরিয়েন্স উন্মোচন করে। যা বরং এক নতুন আনন্দময় অভিজ্ঞতা হয়ে আসে।

এগুলো পশ্চিমে অনেক নারী তাঁদের অভিজ্ঞতায় বর্ণনা করেছেন। আমাদের দেশের নারীর দেহ আলাদা নয়। তাঁদের উপর আরোপিত মূল্যবোধের জন্য আমাদের দেশের নারীরা ৫০ এ তাঁদের যৌন জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা করে মোটামুটি ‘নান’ বা সন্ন্যাসী হয়ে যান। নিজের শরীরের মালিকানা তিনি নিজে কখনই হননি। অন্যে যে নির্দেশনামা চাপিয়ে দিয়ে গেছে তাকে আঁকড়ে ধরে সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়াকেই তিনি নিয়তি হিসেবে মেনে নেন।

শুধু ৫০ কেন, কোনো বয়সেই আমাদের নারীদের তাঁদের নিজেদের শরীরের সাথে কোন পরিচয় হয় না। স্নান ঘরে গিয়েও তাঁর নিজেদের কাছেই লাগে লম্বা চওড়া পর্দা। কাপড় পরা অবস্থাতেই জল ঢালি আমরা শরীরে। তা পরিচ্ছন্ন যেমন হয় না, ভেজা চপচপে শরীরে কাপড় এঁটে গেলে তা খুলতে যে কসরত তাকে করতে হয়, সেটি নিতান্তই অল্প যদি তাঁর নিজের শরীর সম্পর্কে তার অজ্ঞতাকে বলতে যাই। তার শরীর তার কাছেই থাকে অপরিচিত স্ট্রেঞ্জার হয়ে। নিজের শরীরের সাথে বাস করেও শরীরটাকে করে রাখে দূরের গ্রহের আঁধারপুরি।

নিজেকে ভালবাসতে হলে নিজের শরীর এবং মন জানতে হবে, চিনতে হবে। নিজের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে না জানলে নিজেকে ভালবাসবো কীভাবে? জানবো কীভাবে এ জীবন আমার! এর প্রতিটি স্পন্দন আমার আপন শরীর এবং প্রাণ।
প্রসঙ্গ হারাবো না। আমি লিখতে শুরু করেছিলাম নারীর মেনোপজ এবং তার প্রশ্নবিদ্ধ যৌন ক্ষমতা। অতি সামান্যই তা হলো আজ।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.