নিকষ আঁধার পথে আলো হাতে এলো যাঁরা-৭

মলি জেনান:

“একজন নারীবাদীর জন্ম সেদিন, যেদিন পিতৃতন্ত্রের উৎপত্তি হয়, তোমার আমার ব্যক্তিগত জীবন না বদলালে পিতৃতন্ত্র চলে যাবে না। সুতরাং আমি নিজের দিকে আঙুল রাখছি, তোমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিজের দিকে আঙুল রাখো।”

“আমি যদি না বদলাই পৃথিবী বদলাবে না, আমি-পরিবার এ সব নিয়েই পৃথিবী। যদি ঘরে বাস করা ব্যক্তি না বদলায়, তাহলে ঘরও বদলাবে না। এই ঘর পুরুষতান্ত্রিক। আমরা এখানে যারা আছি, আমরাই এই ঘর বানিয়েছি। সবাই এই অভিযোগে অভিযুক্ত।”

“জেন্ডার ধারণা শুধু নারীদের বিষয় নয়, এটি সবার বিষয়”।

এই কথাগুলো দৃঢতার সাথে যিনি বলে থাকেন তিনি কমলা ভাসিন। যিনি একাধারে জেন্ডার প্রশিক্ষক, সংগঠক, লেখক, মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী। নিজেকে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন এভাবে- আমি একজন নারীবাদী, আমি একজন মানবাধিকার কর্মী, আমি একজন কবি, সমাজ সচেতন মানুষ, আমি কমলা।

নারীবাদী তত্ত্বের সক্রিয় কর্মী কমলা ভাসিন সাউথ এশিয়ার খ্যাতিমান একজন জেন্ডার প্রশিক্ষক। জৈবিক বা শারীরিক গঠনের জন্যই ছেলেরা পুরুষ লিঙ্গে আর মেয়েরা নারী লিঙ্গে অবস্থান করে। আর নারী ও পুরুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি বা সংজ্ঞাকে বলে জেন্ডার, কেউ কেউ বাংলায় একে ‘সামাজিক লিঙ্গ’ বলে থাকেন। নারী ও পুরুষের সমান অধিকারেই জেন্ডার সমতা।

অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কিৃতিক, রাজনৈতিকসহ জীবনের সব পর্যায়ে যখন নারীর সমান অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা হয় , তখনই সমাজ সমতার দিকে এগিয়ে যায়। পিছিয়ে পড়া সমাজে নারীর উন্নয়নে সক্রিয় মনোযোগের মাধ্যমেই সমতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সমাজে দিন দিন বেড়েই চলেছে জেন্ডার বৈশম্য অথচ এই বৈষম্য প্রকৃতির তৈরী নয়। আঁতুড় ঘর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমাজই বেঁধে দেয় মেয়েলি ও পুরুষালি বৈশিষ্ট্য, যা মানব জাতিকে বিভক্ত করে তুলে নারী ও পুরুষে।

পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কেবল নারীকে অবদমনই করে না বরং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় নীতি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিবর্তন জরুরি।

একই কথাগুলোকে সবার মননে-মগজে ছড়িয়ে দিতেই কাজ করেন দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব কমলা ভাসিন। তিনি ‍দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রায় দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। নারী অধিকারের পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, সামাজিক জাগরণ ঘটানো, এই উপমহাদেশে নারীবাদী চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের কথা এলে কমলার নাম স্মরণ করতেই হবে।

১৯৪৬ সালে ২৪ এপ্রিল  জন্ম নেওয়া কমলা বড় হয়েছেন ভারতের রাজস্থানে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। জেন্ডার সমতা, মানবাধিকার, শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বেশিকিছু বিষয় নিয়ে তার শক্তিশালী লেখালেখি আছে। তিনি নিজেকে একজন গীতিকার হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। বিভিন্ন গণআন্দোলনের সময় তিনি গান লিখেছেন। শিশুদের জন্য, নারীদের হয়ে নানা সময় তিনি কবিতা লিখেছেন। এছাড়া বিখ্যাত অনেক স্লোগান আছে তাঁর।  

নারীর প্রতি সহিংসতাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ আখ্যা দিয়ে এই অবস্থার পরিবর্তনে ভয়মুক্ত হয়ে নিজেদের বদলে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট নারী অধিকার নেত্রী কমলা ভাসিন।

তিনি আন্দোলনের প্রথাগত রূপ ভেঙ্গে দিয়েছেন। নাচ-গান-আমোদ-আহলাদের সঙ্গে নারীর এক্টিভিজমকে মেলানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি নারীকে, প্রতিবাদকারীকে দেখেন একজন সারভাইবারস হিসেবে, ভিকটিম হিসেবে নয়। যারা হাসবে, নাচবে, গাইবে। তিনি বলেন-

‘নাচ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, পুরুষতন্ত্র আমাদের শরীর নিয়ন্ত্রণ করে। এভাবে দাঁড়িয়ে থাকো, এভাবে ঢেকে রাখো, শরীরের কোনো অংশ দেখিও না, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায়। সেদিক বিবেচনায় পুরুষতন্ত্রের আমাদের শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে নাচ আমাদের জন্য খুব শক্তিশালী অস্ত্র।’

এ ছাড়া নাচ-গান তিনটি বিষয়কে সম্পৃক্ত করে-শরীর, হৃদয়, মন। নাচ ও গান ইমোশনকে ছুঁতে পারে। তাই প্রতিবাদ-আন্দোলন বা ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে শুধু বিরক্তিকর বক্তৃতা নয়, নাচ-গানকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এর মাধ্যমে একটা শক্তি, আগ্রহ ও উদ্যমের সৃষ্টি হয়। তিনি পুরুষতান্ত্রিক ভাষা ও মূল্যবোধ পরিবর্তনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। যার সঙ্গে থাকবেন সেই পুরুষকে স্বামী, পতি হিসেবে সম্বোধন করা না। কেন যাবে না? কারণ পুরুষরা নারীর ‘ঈশ্বর’ নয়, সঙ্গী, সহযাত্রী।

স্বামী শব্দটিতে আপত্তি জানিয়ে এই নারীনেত্রী বলেন,

“হাজবেন্ড শব্দ আমরা ত্যাগ করেছি। কারণ এই শব্দও সমতার কথা বলে না। হাজবেন্ড সেই ব্যক্তি যে নিয়ন্ত্রণ করে।”

“তোমরা এনিমেল হাজবেন্ড্রি শব্দের সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত। এখানে অনেক তরুণী রয়েছে, যাদের বলা উচিৎ, আমরা কোনো স্বামী চাই না। আমি একজন জীবনসঙ্গী চাই। সুতরাং স্বামী বাদ, সাথী চাই,”

গত বছর ভারতে ধর্মীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে নারীদের প্রবেশাধিকারের জন্য আন্দোলনের কথাও বলেন কমলা ভাসিন।

“কেন তারা আমাদের ঢুকতে দেবে না। কারণ আমাদের রজঃস্রাব হয়। এ কারণে আমরা নাপাক ডার্টি। বিশ্বজুড়ে গাছ আর ওয়াল পেলেই পুরুষরা মলত্যাগ করে পেশাব করে, তাতে তারা ডার্টি হয় না? এটা ডার্টি ব্লাড না। এটা পৃথিবীর পবিত্রতম রক্ত, যা থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়। আমাদের এটা করার ক্ষমতা আছে, বিপরীত লিঙ্গের সেটা নেই।”

কমলা ভাসিনের মতো আর কে কবে নারীর রজঃস্রাব নিয়ে এমন সাহসী উচ্চকিত মন্তব্য করেছেন? কে কবে পুরুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তাদের প্রাকৃতিক অক্ষমতা?

কমলা ভাসিন শুধু কথা বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বোম্বের হাজী আলী মাজারের নারীদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলেছিলেন, সেখানে আদালতে মাজার ট্রাস্ট বলেছে- তারা নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করবে না। এবং শেষতক ওই মাজারে নারীদের প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। কমলা ভাসিন একে ‘বড় বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।

আন্দোলন করতে গিয়ে নানারকম ভীতি ও শংকার মুখে থাকা নারীদের প্রতি ভয়মুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কমলা ভাসিন বলেন,

“ভয়ের কারণে আমরা আসলে চ্যালেঞ্জ করি না। জনগণ যেটা বলে, আমরাও সেটাই বলি। আমাদের সাহস রাখতে হবে। পুরুষতন্ত্র আমাদের বড় শত্রু নয়। আমাদের বড় শত্রু আমাদের ভেতরে বসবাস করা ভয়।”

পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াইয়ে কমলার অবদান অপরিমেয়। তিনি এ অঞ্চলের অনেক সংগঠন ও নেটওয়ার্কের নেপথ্য কারিগরের ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অফ জেন্ডার একটিভিস্ট অ্যান্ড ট্রেইনার্স (South Asian Network of Gender Activists and Trainers) বা সংক্ষেপে সাংগাত। এটি এখন দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এবং দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদীদের একটি অন্যতম প্লাটফর্ম।

১৯৯৫ সালে তিনি জনপ্রিয় ‘আজাদী’ (স্বাধীনতা) কবিতাটি পড়েছিলেন একটি কনফারেন্সে, যা তাঁকে একটি সুউচ্চ স্থানে পৌঁছে দেয়। এখানে উল্লেখ্য, সাম্প্রতিকালে জেএনইউতে যে ছাত্র আন্দোলন হলো, সেখানেও এই কবিতাটির অনুরণন শোনা গেছে। এছাড়া ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং বা ‘উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি’ এর দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়ক কমলা।

নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ হিসেবে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন,

‘আমি মনে করি, সব পুরুষই প্রকৃতিগতভাবে ধর্ষক নয়। সে ধর্ষক হয়ে ওঠে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারীর অবমূল্যায়ন দেখে। ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, পর্নোগ্রাফির প্রসার, চলচ্চিত্র ও বিভিন্ন মাধ্যমে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে উপস্থাপনও ধর্ষণ-মানসিকতা তৈরির জন্য দায়ী। আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পে যেসব ছবি তৈরি করা হয়, সেসবের নামই বলে দেয়—সহিংসতাই হলো পুরুষত্ব। নায়কের মারমুখী কর্মকাণ্ড সিনেমা হলে দর্শককে আনন্দ দেয়। অন্যদিকে এসব ছবিতে নারীকে পণ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়। বিষয়টি সামগ্রিক—যেখানে প্রতিটি উপাদান একে-অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। নারীর উন্নয়নের জন্য প্রতিটি উপাদানকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

নারীর প্রতি সহিংসতার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমেই বলতে হবে পুঁজির দৌরাত্ম্যের কথা। অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের জন্যই আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা নারীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হয়। আরেকটি কারণ হলো, নারীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মানসিকতা। শিক্ষা ক্ষেত্রে ও পারিবারিক জীবনে একজন নারীর পুরুষের সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক পুরুষের মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি হয়। তখন সেই পুরুষরা নারীর ওপর আরোপ করে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। এসব মেনে না চললেই নেমে আসে নির্যাতন।

নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বায়নের প্রভাব, ধর্মীয় উগ্রতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও মানসিকতাও দায়ী। একদিকে বিভিন্ন এনজিও নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, অন্যদিকে প্রসাধনশিল্প মেয়েদের প্রলুব্ধ করছে সাজসজ্জায়, আকর্ষণীয় হওয়ায়। ইদানীং ভারতে আইপিএল নামের যে খেলার আসর বসে, তাতে যাদের চিয়ার উইমেন নামে রাখা হয়, তারা শরীর প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে বোঝা যায়, বিশ্বায়ন ও পুঁজিবাদ নারীকে কিভাবে পণ্য করে তুলেছে। নারী নিজেও এ স্রোতে গা ভাসিয়ে আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিচ্ছে। নারীর অগ্রগতির জন্য নারীকেও মানসিকভাবে বদলাতে হবে। নারীর মানসিকতা না পাল্টালে, সমাজ পাল্টাবে না। নারীরা না পাল্টালে পরিবর্তন আসবে না সমাজে ও রাষ্ট্রে।’

নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রকৃতির বিরুদ্ধে সহিংসতার মতো। ‘উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি’ এই সবকে একত্রিত করেছে। প্রতি তিনজনের একজন নারী নিপীড়নের শিকার হয়-এমন তথ্য থেকে পৃথিবীর প্রায় ১০০ কোটি নারী নিপীড়নের শিকার হয় ধরে নিয়ে এই নিপীড়ন থেকে নারীদেরকে বাঁচানোর লক্ষ‌্য নিয়ে ২০১৩ সালে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

কমলা ভাসিন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সামনে এগিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সয়েছেন চরম দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা। কৈশোর থেকেই বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের বহু আন্দোলন তিনি কাছ থেকে দেখেছেন, আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। মৃত্যু, জুলুম-অত্যাচার-শোষণ-উৎপীড়িতের কান্না তাকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে। প্রতিনিয়ত নানা বাধা-বিঘ্ন-বৈরিতা মোকাবিলা করে তিনি জীবনের পথে এগিয়েছেন।

ব্যক্তি জীবনেও এসেছে নানা আঘাত ও বিপর্যয়। বছর কয়েক আগে আত্মঘাতী হোন তার এক কন্যা। মায়ের মতোই উজ্জ্বল, মেধাবী ও মানবিকগুণসম্পন্ন এই মেয়েটি মৃত্যুর সময় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদের ওপর অন্যান্য মুসলমান সম্প্রদায় ও বিভিন্ন রাষ্ট্র যে নিপীড়ন চালিয়ে আসছে তার ওপর গবেষণা করেছিলেন। তাঁর আরেক ছেলে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী।

কর্মক্ষেত্রে পাহাড় সমান বাধা, কন্যা হারানোর হাহাকার আর জীবনের যাবতীয় বিপর্যয়ের পরও কমলা ভাসিনের প্রাণশক্তির ভাণ্ডার যেন অফুরন্ত। তার উপস্থিতি বিপন্নতম মানুষটির মুখেও হাসি ফোটায়, নিজের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনে। তীক্ষ্ণধী, অসম্ভব রসবোধ সম্পন্ন এবং সদা কর্ম-চঞ্চল এই মানুষটি আন্দোলন পরিচালনার পাশাপাশি লিখেছেন বহু বই। নারী অধিকার বিষয়ে তার তাত্ত্বিক চিন্তা নারী আন্দোলনকারীদের দিচ্ছে দিক নির্দেশনা, জুগাচ্ছে অনুপ্রেরণা।

বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীবাদী আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় কমলা ভাসিনের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে যাতায়াত করছেন, নানান প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। বলা যায়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এসময়কার জনপ্রিয় নারীবাদী নেত্রী এই কমলা ভাসিন। 

তথ্যকনিকা:

১. উইকিপিডিয়া।

২. একজন কমলা ভাসিনের কথা, চিররঞ্জন সরকার।

৩. সাক্ষাৎকার, কালের কন্ঠ।

৪. বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল।

শেয়ার করুন: