সমাজে ঐশী, মুগ্ধদের সংখ্যা বাড়ছে কেন?

কাশফি জামান শ্যামা: এমন খবরগুলো আজকাল যেন অনেকটাই পরিচিত, কখনো বাবা, কখনো মা, আবার কখনো বা বাবা, মা দুজনেই সন্তানের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। বাংলা অভিধানে এমন কোনো শব্দ নেই, যা এই ভয়াবহতাকে সামান্য হলেও অতিক্রম করতে পারে।
হাই প্রোফাইল মার্ডার ঐশী, কিম্বা সোহাগ, তনয় অথবা হালের মুগ্ধ, কেউ সংবাদের শিরোনাম হয়েছে বারে বারে, কেউ বা নানা খবরের ভিড়ে চাপা পড়ে গেছে। কিন্তু বিভৎসতা অথবা ভয়াবহতা কোনোটারই কোনো অংশে কম বলা যাবে না।
কিন্তু সেই ফ্যাক্টর টা কি যা সম্ভবত সকল নক্ষত্র-পুঞ্জির একমাত্র বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ’কে পিতা মাতার হন্তারক করে তোলে?
“Parricide”, বাংলায় যদি বলি তবে নিকটজনের হত্যার ইচ্ছা, একটা চরম অপরাধ, অমার্জনীয় এবং একাধারে ঘৃণিত। যে ক্রাইম’টা ঘটাতে পারে, তার সাইকোলজিটা কেমন? সে আসলে পরিস্থিতির শিকার নাকি শিকার করাই তার ন্যাচার? আসলেই পারিপার্শ্বিকতা মানুষকে খুনের মত বড় মাপের এক্ট করতে বাধ্য করতে পারে?  
Parricide (প্যারিসাইড- পিতা-মাতা অথবা নিকটজনের হত্যাকাণ্ড) কারা ঘটায়?
এক সমীক্ষায় দেখা যায়, উন্নত সমাজ ব্যবস্থার প্রতিক ইউনাইটেড স্টেটাস ১৯৭৭-১৯৮৬ সালের মধ্য গড়ে প্রতি বছর ৩০০ পিতা-মাতা তাদের নিজ সন্তানের হাতে খুন হয়েছেন (Kathleem M. Heide- 1992)। হিসাবে প্রায় প্রতিদিনই একজন এই অপরাধের শিকার হচ্ছেন। রুটি,কাপড়ের অভাব থেকে নয় বরং ভাব ভালবাসা আর বিশ্বাস, আস্থার অভাব থেকেই তাদের সম্পর্ক এত নাজুক। 
আর আমাদের? অতি দরিদ্র, দিন মজুর, কিম্বা খেটে খাওয়া মানুষেরা নয় বরং আদর সোহাগে, বিত্তবৈভবে পালিত, সন্তানেরা প্যারিসাইডে জড়িয়ে পড়ছে। কখনো ড্রাগস, কখনো সামান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বা শখ পূরণ, কখনো বা মনোমালিন্য, হত্যার মত মারাত্মক অপরাধের জন্ম দিচ্ছে। 
গবেষণালব্ধ উপাত্ত থেকে এটা পরিষ্কার যে, চার ধরনের বাচ্চাদের মধ্যে Parricide Syndrome পরিলক্ষিত হয়।  
১#  শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগৃহিত শোষিত শিশু  – কিশোর।
… নির্যাতনের চরম পর্যায় যখন তার আর কোন বিকল্প থাকে না। অপরাধগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা পরিষ্কার যে, প্রতিটা ঘটনার কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, হয়ত প্রায় ক্ষেত্রেই সেটাকে উপেক্ষা করা হয়েছে কিম্বা আমলেই নেয়া হয়নি। Parricide এবং Delinquency যাই বলি, এ ধরনের অপরাধ প্রবণতার একটা সাধারণ বয়ো:সন্ধিকালের কিশোর, কিশোরী ‘দের মধ্যে দেখা যায়। তারা জানে না, বুঝতেও চায় না, তারা ভেবে দেখতে নারাজ তাদের অপরাধের ফলাফলটা আসলে কী! 
লাগাতার শোষণের শিকার কিশোর বা কিশোরীটি একটা পর্যায়ে ভালো কিছুর আশা হারিয়ে ফেলে, বিচার কিম্বা সাহায্যর চিন্তা যেখানে অমূলক, সেখানে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টাও বৃথা; সেই সময় তার ভুল করাটা অনেকাংশেই অবশ্যম্ভাবি হয়ে পড়ে। এ ধরনের কেস স্টাডি করতে গিয়ে আমি এমনও উত্তর শুনেছি, “ম্যাডাম, আমার তো আর কোনো অপশনই ছিল না, আব্বু- আম্মু তো আমার কথা বিশ্বাসই করে না”!
২০১৬ সালের শুরুতে নর্দার্ন উইঞ্চেস্টার এর স্কুলের প্রথম সারির, সদা হাস্যজ্জ্বল, সপ্রতিভ মেয়ে ” এসলি মার্টিনসনের ঘটনা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছিল। বাবা-মাকে হত্যার পর সে শুধু একটা কথাই বলেছিল, ‘ ওরা আমাকে দানব বলে, আমি দানব নই, আমি মানুষ, আমি শুধুই মানুষ ‘। এলসি যে কথা অনেকবার তার ক্লাস টিউটর’কে বলতে চেয়েছে, তার ক্লাশ-মেটের সাথে শেয়ার করতে চেয়েছে, কিন্তু কোন এক অজানা কারনে বলতে পারেনি,,,,সে প্রতিদিন; প্রতিরাতে নিজ পিতার হাতে শোষিত হয়েছে। মা’র সাহায্য চেয়ে ব্যার্থ “এলসি” ভেবেছিল কেউ তাকে বিশ্বাস করবেনা!
কারও সাথে অন্যায় হচ্ছে, বারে বারে, ক্রমাগত…. তার মানসিক অবস্থাটা তখন জিরো টলারেন্স নামক শব্দটার মত। মরো না হলে মারো! 
২# মানসিক ভাবে অসুস্থ শিশু-কিশোর। 
 Anti Social Personality Disorder (APD) ভয়াবহতম মনের ব্যাধি যা Cluster B personality’র DSM IV ক্যাটাগরির একপ্রকার স্যাইকোপ্যাথি গণ্য করা হয়।
এপিডি ক্লিনিক্যালি ডাইগোনোসিস করা খুব দুরূহ, কিন্ত এটা নিউরোলজিক্যাল রোগ (Blair-2006)। সাধারণ দৃষ্টিতে এই অসুখটাকে বোঝার উপায় নেই, তবে আক্রান্ত ব্যক্তি একাধারে অসম্ভব বুদ্ধিমান এবং হ্যালুসিনেশনের শিকার হয়। সেক্ষেত্রে শিশু যদি বারে বারে ভীতিকর স্বপ্নের কথা বলে, কিম্বা অতিপ্রাকৃত কোন অস্তিত্বের বর্ণনা দেয়, তা উপেক্ষা না করে পিতা- মাতার ভালো কোনো শিশু কাউন্সিলরের সাহায্য নেয়াই বাঞ্ছনীয়। 
এ অসুখের প্রায় কাছেই আছে Paranoid Schizophrenia (প্যারানয়েড  সিজোফ্রেনিয়া),  Border Line Disorder (BPD syndrome),  Narcissistic Personality Disorder ( NPD)। এই সকল প্রাণঘাতি ব্যাধির উৎস মানব মস্তিষ্ক, কিন্তু সময় থাকতে চিকিৎসা হয়তো অনেকাংশেই দমিয়ে রাখতে সক্ষম আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো অঘটন থেকে।
 
কাশফি জামান শ্যামা

২০১১ সালে এক ছিমছাম বিকালে “নিনা হ্যান্ডব্রুক” নামের রেড ইন্ডিয়ান কিশোরী তার ৫০ বছরের বাবার গায়ে আগুন ধরিয়ে তার পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছিল। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে উত্তরে বলে, সন্ধ্যার সময় আলো জ্বালিয়েছিলাম, খুব মজা না!

ডাক্তারি পরিক্ষায় তার গুরুতর লেভেলের এ.পি.ডি সিন্ড্রোম ধরা পরে, কিন্তু কথা হলো তার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত একবারও কি তার মানসিক বৈকল্য কারও চোখে ধরা পড়েনি?
 ৩# মারাত্মকভাবে ট্যাবলয়েড, সেলুলয়েড আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবিত শিশু- কিশোর।
… হাতে হাতে ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌরাত্ম্যে সমাজের অনেকাংশেই নানা প্রশ্নের জন্ম নিত্যদিন তৈরি হচ্ছে। আদৌ কী এতো অবাধ বিচরণ সুফল দিচ্ছে, নাকি আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মের হাতে ফ্রানকেস্টাইন তুলে দিয়েছি! প্রাংক, ফেইক আর ভালগারের অকুল হাতছানি নতুন রোগের জন্ম দিচ্ছে না তো? 
 
মাত্র ১২ বছর বয়সে জেসমিন রিচার্ডসন প্রেমে পড়ে যায় ২৩ বছরের “জেরেমি স্টেইন” এর। জেরেমি নিজের ৩০০ বছর বয়স্ক এক ওয়্যারউল্ফ হিসাবে বরাবর দাবি করতো, জেসমিন নিজেকে ওয়্যারউল্ফ এর প্রেমিকা ভেবে ধন্য মনে করেছিল। একরাতে দুজনে পরিবারের অমতে সিনেমা থিয়েটারে ” Natural born killers” নামের সিনেমা দেখে। প্রচুর হত্যাকাণ্ড আর ভালগারিজমে ভরা মুভিটা তাদের এমন পরিমাণ প্ররোচিত করে যে, তারা চুপিসারে বাসায় ফিরে প্রথমে চার বছর বয়সি ছোট ভাই, তারপর মা, সবশেষে বাবাকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ যখন তাদের আটক করে তখন জেসমিনের বাবার শরীরের অনেকাংশই নাই হয়ে গেছিল, এক ফোঁটা রক্তও মাটিতে ছিলো না।
 
২০১৪ সালের ” পেটন লুইটনার” নামের কিশোরীর ঘটনাটি পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। স্থানীয় এক জঙ্গলের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পেটনকে এক পথচারী পান। সারা গায়ে ১৭ টি ছুরির আঘাতের পরও সে বেঁচে ছিল। তার হত্যার চেষ্টাকারী তার প্রিয় দুই বান্ধবী, যারা ধরা পড়ার পর অকপটে স্বীকার করে তারা তাদের প্রিয় ‘ Slender Man’ এর জন্য খুন করতে চেয়েছিল। Slender Man একটা বিখ্যাত আরবান লিজেন্ড, জনপ্রিয় মুভি ” Blair Witch Project ” থেকে শুরু করে ইউটিউব, ভিডিও গেমস কিম্বা ইমোজি, ট্যাটুতে যার প্রভাব কিংবদন্তি ছোঁয়া।
“গেশার কিম্বা উইয়ার” নামের সদ্য ১২ বছরে পদার্পণ করা কিশোরীদ্বয় তাদের প্রিয় বন্ধু কে ‘স্লেন্ডার ম্যান’ এর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ দিতে চেয়েছিল, এতে তাদের বিশ্বাস ছিল তারা ‘স্লেন্ডার ম্যানের’ সিক্রেট হিডেন ম্যানশনের বাসিন্দা হতে পারবে!!!
ইন্টারনেট আর মাত্রাহীন  প্রযুক্তির আসক্তি মানুষকে একরকম ভেক এ ফেলে দেয়, শিশুমনে যার প্রভাব আরও গভীর।  
৪# অতি শাসন/ অতি ভালবাসায় নিউটনের ৩য় সূত্র।
.. অতি শাসন,অতি উপেক্ষা, অতি ভালবাসা, অতি স্বাধীনতা, এই সবকয়টিই মারাত্মক সমস্যা জন্ম দিতে পারে। একটা শিশুর প্রতি জন্মলগ্ন থেকেই একসাথে আদর আর ভালবাসায় দেয়ার পাল্লাই ভারী। দিন যায় আর শিশুর প্রতি ভালবাসা এবং দায়িত্বের পাশাপাশি তার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশাও স্বাভাবিকভাবে পিতা-মাতা আশা করেন। সন্তানের প্রতি ইনজাস্টিস করা বাবা মা’র ধর্মে পড়ে না, তবু আমাদের সামান্য কিছু অসাবধানতায় এমন সমস্যা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সন্তানকে বেশি শাসনের মতো অতিরিক্ত ভালবাসাও তার মধ্যে দায়িত্বহীনতা সৃষ্টি করে। এই দায়িত্বহীনতা তাকে অহংকারী এবং উদাসীন করে তোলে। তার পাওয়ার ইচ্ছা তখন বাড়তেই থাকে। চাওয়ার ফুল-স্টপ বা দাড়ি যখন ব্রেক হয়ে যায়, তখন সম্ভবত পিতা-মাতার মতো অসহায় আর কেউ আর থাকেন না। সেক্ষেত্রে সন্তানের মনে হতেই পারে আমি এটা পেতে পারতাম, আমার এসব পাওনা ছিল, আমাকে ঠকাতেই বাবা মা, আব্বু আম্মু আমাকে ভালবাসেন না!
কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রে আমি ঐশীকে দেখেছি, তখন ওর ডি.এন.এ রিপোর্ট আদালতে পৌঁছে গেছে, শুধু সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। ভাবলেশহীন, চুপচাপ, অমনোযোগী, যেন সবকিছুর উপরই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। খুব হাই প্রোফাইলড কেস ছিল বলে আমাদের পুরো ইউনিটের উপর কড়া নির্দেশ ছিল, ঘটনা নিয়ে কোনো আলাপ হওয়া চলবে না। একদিন কৌতুহল বশতঃই আমাদের শ্রদ্ধেয় সিনিয়র ডাক্তারের সাথে ওকে দেখতে গিয়েছিলাম, কিছুটা অবাকই হলাম ওর কথা শুনে।
ও বলছিলো, আপনি আমার ঘুমের ওষুধ’টা চেঞ্জ করে দিন, মাইলাম-৭.৫ খুব কম হয়ে যাচ্ছে, আমার ঘুম হচ্ছে না একদমই।
কথা প্রসংগে জানতে পারলাম, ও স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, আমি ‘কেন’ বলায় খুব অবাক হয়ে উত্তর দিল-” পাবো না? স্বপ্নে আমার রক্ত আর রক্ত”!
তারুণ্য আর যৌবনের প্রারম্ভে যখন ফুটফুটে সুন্দর মেয়ের স্বপ্নে আসবে রাজকুমার আর নতুন দিনের আলো, তখন কিনা তার জায়গায় ভর করেছে অতিপ্রাকৃত কোনো অবয়ব!
লক্ষ্য রাখুন,
# সন্তান আনমনা হয়ে যাচ্ছেনা তো?
# সমবয়সী’দের সাথে ওর দূরত্ব বাড়ছে কি?
#ওর সামনে ফিজিক্যাল অফেন্স ঘটাচ্ছি না তো?
# ড্রাগসে আসক্তি আছে কিনা!
# সুইসাইড টেন্ডেন্সি কিম্বা নিজেকে আঘাত করার স্বভাব আছে কি?
# সাহায্য চাচ্ছে, কিন্তু পাচ্ছে না, কিছু বলতে চাচ্ছে বলতে পারছেনা।
# ঘুমহীনতা, সে ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে তো? 
লক্ষ্য রাখুন, খেয়াল করুন, বারে বারে নজর দিন, তাকে সাহায্য করুন। তার যে নাজুক অভিজ্ঞতা তাকে কষ্ট দিচ্ছে তা আইডেন্টিফাই করুন। ভয় না, তাকে আশা দিন। সময় এসেছে এসব নিয়ে ভাবার। শিশুমাত্রই নির্বোধ নয়, তাদের বিশ্বাস করাই আমাদের জন্য পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হোন সকল বাবা-মাই, একমাত্র ধৈর্য্য নিয়েই এ যাত্রা পার করা সম্ভব।
এই সমাজে ঐশী, মুগ্ধের সংখ্যা বাড়ছে, এদের উত্থানে আমাদেরও ভূমিকা অকল্পনীয়। আমরা একধারে তাদের ঈশপের গল্প শোনাই আর অন্যদিকে তাদের সামনে মোরাল-ইমোরালের ধ্বজা উড়িয়ে দেই, আর তারা আমাদের বানানো ছদ্ম ঘরে বিশ্বাস -অবিশ্বাসের, চাওয়া – পাওয়ার এক বিশাল ফর্দ বানায়, যা পূরণ বোধকরি প্রায় ক্ষেত্রেই অসম্ভব।
৮ ফুট, ১৫ ফুট, ১০০ ফুট উঁচু ছাদহীন দেয়াল করে পাখি ধরে রাখার চেষ্টা হাস্যকর, বরং ছোট পরিসরে মজবুত ছাদ আর দেয়ালই যথেষ্ট। পরিবার ও …… পারস্পরিক ভালবাসা, সহমর্মিতা আর অল্প একটু স্যাক্রিফাইস হয়তো হোপ-ফুল একটা ভবিষ্যৎ এর জন্ম দিতে পারে, যে ফিউচার টেন্স এ প্যারিসাইড, ডেলিকুয়েন্সি থাকবে না, থাকবে না নিরাশা, স্বপ্নহীনতা! আমাদের ফুটফুটে, সুন্দর সন্তানদের আনন্দময় কলকাকলি’তে ছেঁয়ে যাবে ঘর, বাহির – পথ প্রান্তর।
শেয়ার করুন: