“শিক্ষক সাজবেন না, শিক্ষক হয়ে উঠুন”

ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী: যশোর শাহীন স্কুলে পড়ার সময় আমার খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বাংলার জাহাঙ্গীর স্যার, ইসহাক স্যার,অংকের দেবব্রত স্যার, ইংরেজির জাফর স্যার, আরবীর লুৎফর হুজুর। আরো পেয়েছিলাম পরিশীলিত, মার্জিত লুৎফুন্নেসা আপাকে। তাঁদের কাছ থেকে অনেক শিখেছি।

জাহাঙ্গীর স্যার, যাঁকে আমরা “বাংলার বাঘ” বলে ডাকতাম, তিনি আজ বেঁচে নেই, তবে স্যারের একটা কথা আজো মনে রেখেছি, মেনে চলার চেষ্টা করেছি –

“বাবারা, সাধু সেজো না, সাধু হও।”

দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, এই স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষকই “সাধু” ছিলেন না। এখানে এসে শিক্ষকরূপী কিছু মানুষের নির্দয় আচরণের শিকার হতে হয়েছিল আমার মতো অনেক ছাত্রকে।

ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী

বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে চমৎকার সবুজ, সুবিশাল চত্বর শাহীন কলেজের, এক পলক দেখলেই মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কো এডুকেশন ব্যবস্থা অর্থাৎ ছেলেমেয়ে উভয়েই একসাথে লেখাপড়া করতে পারে। দৌড়ে শেষ করা যায় না এমন খেলার মাঠ, করিডোর, ক্লাসঘর, গ্রীনবোর্ড, বুকস্টল, ক্যান্টিন, কৃষ্ণচূড়া গাছ, ফুলের বাগান – একটি আদর্শ স্কুলের যা যা থাকা উচিৎ তার চেয়ে অনেক বেশি কিছুই ছিলো আমাদের এই স্কুলে।

কিন্তু আজ বলতে দ্বিধা নেই যে, হাতে গোনা দুই একজন শিক্ষক ছাড়া কাউকেই প্রকৃত শিক্ষক হিসেবে পাইনি। তাই এতো সুন্দর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এর শিক্ষকদের কোনোদিন আপন বলে মনে হয়নি। কোনোদিন প্রাণভরে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনি শুধুমাত্র কিছু অনুদার, হীনমন্য শিক্ষকদের কারণে।

প্রথম ধাক্কা খেয়েছিলাম শুধুমাত্র ঢাকা থেকে গিয়েছি বলে শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরনের অদ্ভুত নেতিবাচক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ দেখে। ঢাকা থেকে এসেছে তার ওপরে আবার বাবা- মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে! পরিবারে আর কার কার কী কী চরিত্রহীনতার রেকর্ড আছে সবই তারা খুঁজে বের করেছিলেন এবং সেসবে তাদের বিস্তর কৌতূহল এবং গবেষণা।

আরেক অপরাধ হলো বাবা-মায়ের দেয়া বাংলা নাম। রাজেশ্বরী প্রিয়রঞ্জিনী, রত্নেশ্বরী প্রিয়দর্শিনী, ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী – এ তো রীতিমতো হিন্দু নাম! ধর্মে আমি বরাবর সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও হুজুর কিছুতেই নম্বর দেবে না। বিনা কারণে নম্বর কম, একদিন বলেই ফেললো, “নাম পরিবর্তন কর, নাহলে নম্বর পাবি না”!!

এটি ছিল আমার শিক্ষাজীবনে খুব দুঃখজনক  ঘটনা। বাড়ি এসে খুব কেঁদেছিলাম।

যতদূর মনে পড়ে মায়ের মুখে এ ঘটনা জেনে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার নিষাদ উপন্যাসে এবং তসলিমা নাসরীন তাঁর কোনো একটি বইতে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। মা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর আত্মজীবনী “নিন্দিত নন্দনে” তেও কথাটি লেখা হয়েছে।

ছবিটি রাজেশ্বরী প্রিয়রঞ্জিনীর আঁকা

এই হুজুরই একদিন তার স্ত্রী কীভাবে দুই ছেলেমেয়েকে একই সাথে দুইপাশে নিয়ে বুকের দুধ পান করিয়েছে –   জুলজুলে চোখে, অশ্লীল ইংগিতে তার কদর্য বর্ণনা করেছিলো যা শুনে ছেলেরা মজা পাচ্ছিলো আর মেয়েদের কান লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছিলো।

লেখাপড়ায় কখনোই খুব খারাপ ছিলাম না, তারপরও শিক্ষকদের টিপ্পনী আর বিদ্বেষমূলক কথা থেকে রেহাই পেতাম না। নারী শিক্ষকদের আচরণ ছিল আরো ভয়াবহ। কিশোরী ছাত্রীর প্রতি তাদের তির্যক দৃষ্টিকে আর যাই হোক কোনোমতেই শিক্ষকসুলভ বলা যায় না।

অনেক মেয়েদের শারীরিক বিকাশ হলেও বাড়ি থেকে ব্রা পরার অনুমতি দেয়া হতো না। এটা পরা যেন ভারি অপরাধ! তারা অনেকেই গোপনে টাকা এনে একে-ওকে অনুরোধ করতো ব্রা কিনে এনে দেবার জন্য। তা এনে স্কুলে এসে পরতো, আবার বাড়ি যাবার সময় খুলে রেখে দিতো!

অনেকেই পিরিয়ড হলে অপরাধবোধে ভুগতো, কান্নাকাটি করতো, এমনকি স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করাকেও “ভালো মেয়েদের কাজ না” বলে মনে করতো! তাদের এই দুর্গতি থেকে মুক্ত হবার পথ দেখাতে এই আপারা কোনোদিন এগিয়ে আসেননি, বাড়াননি সাহায্যের স্নেহময় হাত। অথচ শিক্ষক তো বাবা-মায়ের মতোই।

ক্লাশ এইটে পড়ার সময় আব্বু আর আমাদের ড্রাইভার সাহেবের সাহায্যে ড্রাইভিং শিখেছিলাম। সকালে স্কুলে যাবার পথে তখন নিয়মিত ড্রাইভ করতাম। ড্রাইভারের পাশে ড্রাইভ করা নিয়েও কটু কথা বলে বেড়িয়েছিলেন এক ম্যাডাম, যাকে আমি খুব ভালো একজন ম্যাডাম ভেবেছিলাম, শ্রদ্ধার চোখে দেখেছিলাম!

কো – এডুকেশন স্কুলে ছেলেমেয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ। বলে ফেললে সে প্রায় খুনের আসামি।

সুভাষ চন্দ্র নামে একজন শিক্ষক নামের কলংক আছে এই স্কুলে। অশ্লীল বাক্যবাণে ছাত্রীদেরকে হেনস্থা করায় পিএইচডি ডিগ্রী আছে এই অসভ্য লোকটার। দীর্ঘদিন ধরে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের মানসিক নির্যাতন করে আসছে এই সুভাষ চন্দ্র।

একদিন ডেকে বললো, “কী, ছেলেদের দিকে তাকাতে খুব মজা, তাই না? চেহারাই তো বলে, আমাকে দেখো, আমাকে দেখো। চোখ দিয়ে ডাকো তাই না? কাম হিদার কাম হিদার??” একবার এক ক্লাশ জুনিয়র একটা ছেলেকে জড়িয়েও মিথ্যে অপবাদে জড়াতে ছাড়েনি। বহুবছর পর আমাদের এক নিকটাত্মীয় একই স্কুলের ছাত্রী, তার খাতায় দেখি সিলেবাসের বাইরে ক্লাশের খাতার কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে এক অদ্ভুত অরুচিকর কবিতা লেখা, যার মর্মার্থ হলো ছাত্ররা নিজে মুখে স্বীকার করে নিচ্ছে যে তারা অতি জঘণ্য, তারা অবাধ্য, তারা বখে যাওয়া, তারা অশালীন ফ্যাশন করে, নখে নেইল পলিশ দেয়, ছেলেদের সাথে অসভ্যতা করে, প্রেম করে – জগতের যা যা মন্দ সব তারা করে….

জানলাম এই কবিতার রচয়িতা সুভাষ চন্দ্র নামের বিকৃতমনস্ক শিক্ষক এবং ক্লাশে ডিকটেশন দিয়ে তা সকল ছাত্রের খাতায় লেখানো হয়েছে!

কলেজের এক ছেলে প্রেম নিবেদন করেছিল, এতে আমার কোনো দায় ছিলো না। তবু ভয়ে স্কুলে যেতে পারিনি বহুদিন। আমার বড়বোনকে ডেকে এক শিক্ষক বললো, “কী, তোমার বোন তো অমুকের সাথে ভালোবাসায় পড়ছে”…

এই স্কুলে আমি দেখেছি, কেউ পরীক্ষায় খারাপ করলে তাকে সবার সামনে হেয় করে, খাতা উঁচিয়ে ধরে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ হাসি তামাশায় মেতে উঠতো।

পঞ্চম শ্রেণির এক নতুন ছাত্রী ইউনিফর্ম বানানোর আগে একটা হাতা কাটা ফ্রক পরে স্কুলে এসেছিলো। ভরা অ্যাসেম্বলিতে নার্সারি থেকে কলেজ পর্যন্ত শত শত ছাত্রছাত্রীর সামনে সেই ছাত্রীটিকে যে অশ্রাব্য ভাষায় অপমান করা হয়েছিল – স্কুল কর্তৃপক্ষ কী জানে, সেই ছাত্রী আর কোনোদিন স্কুলকে ভালোবাসতে পারেনি? লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারেনি?

এই স্কুলে একসময় ছাত্রদের বেদম প্রহারের প্রচলন ছিল, যার প্রকোপ আমার মা বিমান বাহিনীতে অভিযোগ করার পর বহুলাংশে কমে গিয়েছিলো। এখন কী অবস্থা জানি না।

দীর্ঘদিন পর কোনো একটি কাজে যশোর শাহীনে গিয়েছিলাম। আমি আর আমার স্বামী দুজনেই এখানকার ছাত্র। এতো মন্দের ভেতর কিছু প্রিয় শিক্ষকও ছিলেন। তাঁদের সাথে দেখা করে সালাম দিচ্ছি, এমন সময় সুভাষ চন্দ্র এসে কুশলাদি জানতে চাইলো। ভালো কথা। আমাদের বিয়ে, ক্যারিয়ার, দুই সন্তান- সব জেনে বজ্জাতটা আমার স্বামী, এককালে আমার সহপাঠী, বনির হাত ধরে এক কোণায় নিয়ে কীসব যেন বললো। হাতে সময় কম, আমাদের ফিরতে হলো। সারা রাস্তা বনি দেখলাম চোখ-মুখ কঠিন করে রেখেছে।

জানতে চাইলে যা বললো, তা কল্পনার বাইরে – সুভাষচন্দ্র তাকে এককোণে ডেকে নিয়ে দুই কন্যা সন্তান জন্মানোর জন্য সান্ত্বনার বাণী শোনাচ্ছিলো! শুধু তাই না, এরপরে যাতে কোনোভাবেই পুত্র সন্তান ‘মিস’ না হয় তাই স্বামী-স্ত্রী র সন্তান নেয়ার পদ্ধতি কী হবে তা (ছাপার অযোগ্য) পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করছিলো-

বনি নাকি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না – ঘটনার আকস্মিকতায় সে উপযুক্ত জবাব না দিয়ে চলে আসাতে এখন সে রাগে কাঁপছে।

বয়ো:সন্ধির সময়টাতে ছেলেমেয়েরা যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, এসময় তার পরিবারের কাছে, শিক্ষকদের কাছ থেকে বড় বেশি সহানুভূতি প্রয়োজন। প্রয়োজন মানসিক সহায়তা ও সমর্থনের।

আজ মন খুলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, জীবনে আকাশছোঁয়া সাফল্য হয়তো পাইনি, তবে বাবা- মায়ের কাছ থেকে সৎ ও উদারভাবে বাঁচতে শিখেছি।

আজ কয়েকটা কথা বলতে চাই, মাননীয় শিক্ষকমণ্ডলী, নামের কোনো হিন্দু- মুসলমান নেই। বাংলা ভাষাভাষী হিসেবে অর্থবোধক বাংলা নাম রাখলে কেউ হিন্দু হয়ে যায় না। জীবনে যেখানে গিয়েছি – কী ইন্টারভিউ বোর্ড, চাকরিক্ষেত্র,  কী বন্ধুমহল – সবার আগে

সুন্দর নামের জন্য প্রশংসা পেয়েছি। আমার “হিন্দু” নাম আমার নৈতিক শিক্ষাকে কোনো অবস্থাতেই বাধাগ্রস্ত করেনি। যখন মা হয়েছি, আমিও দুই বাচ্চাকে একই সাথে বুকের দুধ খাইয়েছি কোনো জড়তা ছাড়াই। এতে কোনো অশ্লীলতা খুঁজে পাইনি তো!

সহপাঠীদের মধ্যে সহজ সরল সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ছেলেরা মেয়েরা কথা বলা মহাপাপ – এই মিথ্যে অপরাধবোধ তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে তাদের কৈশোরকে জটিল আর দুর্বোধ্য করে তোলাটাই একটা অপরাধ নয় কী?

তাদের মধ্যে প্রেম- ভালোবাসা জাগ্রত হবে এতো খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সব ছাপিয়ে তারা যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারে – সে সঠিক পথ তো তাদের দেখাতে হবে।

একজন শিক্ষক তার বারো-তেরো বছর বয়সী ছাত্রীর চোখে “কাম হিদার, কাম হিদার” ভাব দেখতে পাচ্ছে – এই বিকৃত মানসিকতা নিয়ে একটি নামী স্কুলে শিক্ষকতার পেশায় টিকেও আছে দিব্যি – ভাবা যায়! পরবর্তীতে সেই ছাত্রীর স্বামীকে সে অশালীন নির্দেশনা দিচ্ছে পুত্রসন্তান জন্ম দেবার জন্য কী কী কীর্তিকলাপ করতে হবে!

আমার দুর্ভাগ্য এই বিকৃত লোকটাকে কোনো একদিন “স্যার” বলে সম্বোধন করতে হয়েছিলো আমাদের। যে ছাত্রীকে স্কুলের প্রথমদিনেই পোশাকের কারণে শাসনের নামে চরম তিরস্কার করা হয়েছিলো, তা না করে তাকে এবং তার অভিভাবককে ডেকে কী সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলা যেতো না?

পড়ালেখায় দুর্বল এমন ছাত্রদের খাতা নিয়ে, নম্বর নিয়ে তামাশা না করে কেন সে ভালো করতে পারছে না, কীভাবে সে ভালো করতে পারে, সেই সাহায্য কী করা যেতো না?

ছাত্রজীবনে নিয়মানুবর্তিতা, শৃংখলার প্রয়োজনীয়তা এবং এর শিক্ষা দিতে গিয়ে কখনো কখনো কঠোর শাসন দরকার  – তা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু এতোক্ষণ যা যা বললাম এগুলো কী শাসনের নমুনা?

শিশুকিশোরদের বেড়ে ওঠার জন্য কী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আদৌ এমন পরিবেশ সহায়ক?

আমার কন্যারা ঢাকার একটি স্বনামধন্য স্কুলে পড়ছে। সেখানে কঠোর নিয়মশৃংখলা মেনে চলা হয়। কিন্তু এভাবে ছাত্রদের হেনস্থা করা হয়না। “স্কুল” এবং “শিক্ষক” মানে তাদের কাছে “আতংক” নয়। স্কুলে তারা আনন্দ নিয়ে লেখাপড়া করে। যে আনন্দ থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি।

এখানে কেউ ভালো নম্বর না পেলে স্যার- আপারা আলাদা করে ক্লাশ নিচ্ছেন এমন উদাহরণও আছে। বলছি না এখানে সমস্যা নেই। সীমাবদ্ধতাও আছে, আবার তা থেকে উত্তরণের সদিচ্ছাও রয়েছে।

তাদেরকে স্কুলের আপারা বয়ো:সন্ধিকাল সম্বন্ধে সহজ সরল ধারণা দিচ্ছেন, মেয়েদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব যে একটি অতি স্বাভাবিক বিষয় এবং তা হলে কী করতে হবে, স্কুলে কারো এমন হলে যেন অকপটে আপাদের কাছে তা জানাতে পারে, এমনকি কোন সময় ব্রা পরা শুরু করতে পারে – এসবই সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন – যা এই বয়সী বাচ্চাদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে খুবই ইতিবাচক বলে আমার মনে হয়।

পাশাপাশি এও মনে করি যে, পরিবার এবং শিক্ষক সম্প্রদায় আলোচনায় আরো খোলামেলা হতে পারে ওদের আড়ষ্টতা কাটাতে, কৌতূহল মেটাতে।

বাবা- মাসহ পরিবারের সকল সদস্য এবং শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁদের সবাইকে বিনীত অনুরোধ, বয়ো:সন্ধিকাল প্রতিটি শিশুর জীবনে বিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। এই বয়সী বাচ্চাদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়ান, উদারচিত্তে তাদেরকে গ্রহণ করুন। কোনো অন্ধকার, কুশিক্ষা, কুসংস্কার, ভুল ধারণা, সন্দেহ যেন তাদের জীবনকে বিষিয়ে না তোলে। ভালোবাসতে, কাছে টানতে এবং শিশুকিশোরদের প্রবল আত্মসম্মানবোধকে সম্মান করতে শিখুন। নাহলে শিক্ষক হবার, অভিভাবক হবার কোনো অধিকার নেই আপনাদের।

প্রিয় শিক্ষক জাহাঙ্গীর স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সুভাষচন্দ্রের মতো শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, “স্যার-আপারা, শিক্ষক সাজবেন না, শিক্ষক হয়ে উঠুন।”

শেয়ার করুন: