শারমিন শামস্: তাড়াহুড়ো আর হুলুস্থুলের ভিতরে মাত্র আড়াই বা তিন ঘণ্টা শ্যুট করে তৈরি করা এই ছোট্ট ডকুমেন্টরিটা। ভিডিওগ্রাফি আর ইন্টারভিউয়ের পাশাপাশি স্টিল ফটোগ্রাফির জন্যও সময় রাখতে হয়েছিল। এদিকে গিয়েছি ত্রাণের কাজে।
পুরো গ্রুপ ঘাম ঝরিয়ে ত্রাণ বিতরণের কাজটা করছে আর আমি ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছি আর ইন্টারভিউ নিচ্ছি। গোবিন্দগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরে ওদের নিয়ে লিখলাম। কাগজে কলমে নিজের দেখাটুকু তুলে ধরলাম। কিন্তু আমার ক্যামেরার মেমোরি কার্ডজুড়ে ওদের হাহাকার, ওদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, হতাশার ছবি আর শব্দ! জানি, লেখার চেয়েও কখনো কখনো চলচ্চিত্রের আবেদন বেশি হয়। চলচ্চিত্র দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়া যায় মানুষের বুকের ভিতরে, মস্তিষ্কের কোষে। ঘরহীন, আশ্রয়হীন, অসহায় সাঁওতালদের হাতে নিজের সাধ্যের কয়েকটা টাকা বা শীতের কাপড় তুলে দিয়ে এসে, কয়েকটা লেখা লিখেই চুপ হয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু ওই মেমোরি কার্ড ভরা হাহাকার আর বিক্ষোভ আমাকে ঘুমোতে দেয়নি।
তাই তাদের ফেলেছি টাইমলাইনে। খুব অগোছালো কাজ। খুব তাড়াহুড়ো করে করা সিনেমাটোগ্রাফি। তবু চেয়েছি পৌঁছে দিতে আরো মানুষের কাছে। ওদের কান্নার আওয়াজটুকু আরো তীব্র হয়ে কানে বাজুক, বুকে বাজুক, প্রতিবাদ আরো জোরে, আরো জোরে প্রতিধ্বনিত হোক!
‘সাঁওতালের দেশ’ আমার দেশের সমস্ত আদিবাসী আর ‘সংখ্যালঘুর প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্র এবং ক্ষমতাবানের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ!