: ভাতার আমার পিঠে দিইতে আসে, পেটে কিচ্ছু নাই। দুইবেলা খাবার জন্যেই তো দিনরাত খাটনি খেটে যাই। ভাতার আমারে খাতার অংক ভাবে, এক আর একে মিলায় সে এগারো। একে একে যে দুই হওয়া লাগে, এই সইত্য সে ভুইলা যায় আবারও। ভাতার আমারে সাঁতার শিখায় নাই, কোনোদিন দেহায় নাই ভাদ্দর মাইস্যা বৃষ্টির লাহান টলটলা মন। শুধু বছর বছর প্যাট ভরাইছে, করছে বাচ্চা বিয়ানোর আয়োজন।
আন্ধার রাইতে, এ কাইতে ও কাইতে, রইদ-বৃষ্টি ভরা শীতে। নিজের রক্ত খাওয়াইয়া জন্ম দিছি একেকটা নতুন মুখ। ভাতারের সাঁতারে মন, বীর্য দিয়াই সূর্য হইয়ে গ্যাছে।
জানে না সে কিরাম হাহাকারে ফুল থাইকা ফল হয় গাছে। ভাতার জানে না মনের তালাশ, ভাতার জানে না বেড়ার সীমানা, আসমানের বুকে কিসের জইন্যে হাহাকার। জানে শুধু সে ভাতের পরিমাপ। ভাতার কোনোদিন ঠাহর পায়না কোনকালে কখনডা হইলো সে বাপ।
আমি নারী, বুকের মইধ্যে পাহাড় ধরি, মেঘের মতোন অবাধ্য সব শিশু পালি। ভাতার আমারে উঠতে বইতে এজইন্যেও পাড়ে গালি। কেন প্যাট থেইক্কা শুধু মুখ বাইর হয়? ক্যান মুখগুলানের লাগে খাবার? প্যাটে কিছু নাই, এখুন সুমায় হইছে যাবার।
যাওনের আগে একবার শুধু চিৎকুর মাইরা কইতে চাই- এই দুনিয়ার কোনো নারীই বেবাক দিয়া সুখে নাই। বস্তিতে থাক, শহরে থাক, দালান কিম্বা গাছতলে। সবখানেই সে যুদ্দু করে, সকাল সইন্ধা খাইট্টা মরে, ধুঁইকেধুঁইকে ভীষণ ক্লান্ত হয়- চাওয়া শুধু খাওয়া-পরা আর মাতার উপরে ছাদ। নিজের মনে চলে নারীর বেদনার আবাদ। যদি ভাতার সাঁতরাইতো একবার মনের জলে! তাইলে- প্রকৃতি নারীর চক্ষের জল যাইতো না বিফলে।