হিলারির পরাজয় নারীবাদের বিজয়

মাসুদা ভাট্টি: হিলারি ক্লিনটনের পরাজয় কি সামগ্রিক ভাবে নারীর পরাজয় কিনা? এই প্রশ্নটিকে সামনে নিয়ে লিখতে বসে প্রথমেই লক্ষ্য করা গেলো, কারা আসলে এই প্রশ্নটি উত্থাপন করছে? আন্তর্জাতিকভাবে নয়, এদেশে যারা এই প্রশ্নটি তুলছেন, তারা মূলতঃ পুরুষ, কিন্তু নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার এবং নারীর প্রতি তাদের এই সহমর্মিতাকে অগ্রাহ্য করার জো নেই।

hillari-3তবে মাঝে নারীর জন্য তাদের আহা উহু একটু বিসদৃশ লাগে এ কারণে যে, মনে হয় তারা নারীকে দুর্বল ভেবে নিজের সবলতা নিয়ে ‘নারীর’ পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, এবং এতে একটু হলেও দয়া মেশানো থাকে। আপত্তিটা সেখানেই।

পৃথিবী এগিয়েছে কিংবা না এগুলেও নিজেদের শক্তিশালী মনে করে নারীদের জন্য এই ‘আহা-উহু’ বরাদ্দ রাখার মনোভাবটা আসলে এক ধরনের অ-সুখ, সেটা যিনি করছেন তার জন্য নয়, যার জন্য করছেন তার জন্য, অর্থাৎ নারীর জন্য। হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ের পর এই আহা-উহু গোত্রীয়দের ‘নারীর পরাজয়’ জাতীয় কথাবার্তা সে কারণেই নারীর জন্য এক ধরনের চূড়ান্ত অ-সুখ (অসুস্থতা নয়, সুখের অভাব)।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির একজন নারীবাদী যার নাম আনোয়া চাঙ্গা, তিনি হিলারি ক্লিনটনকে দেখেছেন এভাবে, “হিলারি ক্লিনটনকে আমি কোনোভাবেই একজন নারীবাদী মনে করি না। বরং মনে করি যে, তিনি তার জননাঙ্গ (ভ্যাজাইনা)-র যথেচ্ছ ব্যবহার করতে চাইছেন নারী ভোটারদের তার প্রতি আগ্রহী করার জন্য। অত্যন্ত সচেতনভাবেই তিনি এতে সফল হতে পারছেন, কারণ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন একজন নারী বিদ্বেষী পাগলামিতে পূর্ণ ব্যক্তি”।

একথা শুধুমাত্র আনোয়া চাঙ্গার নয়, একথা অনেক সচেতন মানুষই বলতে চাইছেন যে, হিলারি ক্লিনটনকে কোনোভাবেই নারীবাদী তো দূরের কথা, তাকে আসলে নারী জাগরণের প্রতিভূ’ হিসেবে দাঁড় করানোর কোনো উপায় নেই, কারণ তিনি সেটা নন। বরং তিনি হচ্ছেন পুরুষতন্ত্রকে সমর্থনকারী, তার উচ্ছিষ্টভোগী এবং তাদের হাতে তৈরি এক পাপেট, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তার নারীত্বকে ব্যবহার করছেন ঠিকই, কিন্তু যে মুহূর্তে তিনি ক্ষমতা পাবেন (পড়ুন যদি পেতেন) ঠিক সেই মুহূর্তেই তিনি হয়ে উঠতেন একজন ক্ষমতালোলুপ পুরুষ।

hilaryযেমনটি হয়েছিল মার্গারেট থ্যাচারের ক্ষেত্রে, কিংবা গোল্ডা মেয়ার বা ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষেত্রে। আমাদের স্মরণ করা জরুরি যে, ইন্দিরা গান্ধীকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, আপনার মন্ত্রিসভায় নারী সদস্যের এতো অভাব আপনাকে বিচলিত করে না? উত্তরে সহাস্যে প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা বলেছিলেন, “আমার মন্ত্রিসভায় আমিই একমাত্র পুরুষ সদস্য”, ভারতীয় নারীবাদের জন্য ইন্দিরার এই বক্তব্য খুব উৎসাহ ব্যঞ্জক ছিল না।

কেন হিলারিকে সে দেশের নারীবাদী নেতৃত্বের প্রথম সারির নেতা আনোয়া চাঙ্গা ‘ফেমিনিস্ট’ মনে করেন না? বা তার মতো অনেকেই হিলারিকে কোনোভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের তাবৎ নারীদের পক্ষে নেতৃত্ব হিসেবে মেনে নেন না, তার খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায় যে, যারা মনে করেন যে হিলারি ক্লিনটন নারী-শক্তির প্রতিভূ’ হয়ে ওঠার যোগ্য, তারা তার অতীত ঘেঁটে কেবল একটি মাত্র বাক্যকেই প্রণিধানযোগ্য মনে করেন, যা ২০১১ সালে নিউজ উইককে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন।

বাক্যটি এরকম আমি মনে করি যে, নারীর অধিকার একবিংশ শতকের আনফিনিশ্ড বিজনেস (অসমাপ্ত কাজ)। নিঃসন্দেহে তাই, এবং হিলারি যথার্থই বলেছেন, কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি এই “অসমাপ্ত কাজ”-কে সমাপ্তি দিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?

তার সমালোচক কেবল নয়, নিরপেক্ষ গবেষকগণ পর্যন্ত তার কোনো ‘স্পেশ্যাল’ পদক্ষেপ খুঁজে পান না নারী-অধিকার প্রতিষ্ঠায়। বরং তার পররাষ্ট্র মন্ত্রীত্বের কালে আমরা খুঁজে পাই লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে নির্মমভাবে হত্যা, বিন লাদেনকে হত্যা, আরব বসন্তের নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে ‘বিপ্লব” উস্কে দিয়ে তার আড়ালে আইসিস নামক ভয়ঙ্কর ধর্ম-দানবকে উত্থানের সুযোগ করে দেওয়াই কেবল নয়, তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতাও এসেছে ওবামা-হিলারি প্রশাসনের কাছ থেকে, যারা নারীকে যৌনদাসীই কেবল মনে করে না, নারীর বাজার বসিয়ে প্রকাশ্যে তাদের কেনা-বেচা করে, একজন পুরুষের জন্য একাধিক ‘জিহাদি-বধু’ বরাদ্দ দেয়, ইয়াজিদি নারীদের ভোগ করা শেষে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে।

Masuda Bhatti
মাসুদা ভাট্টি

তার চেয়েও বড় কথা হলো, গাদ্দাফির লিবিয়ায় নারীর যতটুকু অধিকার ছিল হিলারির নেতৃত্বে গাদ্দাফিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর সেই লিবিয়া এখন যুদ্ধক্ষেত্র, মৌলবাদীদের চরম উল্লম্ফনের স্থান, যেখানে নারীরা আবার ফিরে গেছে গৃহাভ্যন্তরে। অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটনের সুযোগ ছিল মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের  অনেক দেশের রাষ্ট্র প্রধানের ওপর চাপ প্রয়োগ কিংবা অন্ততঃ আলোচনা করার, সে দেশের নারীর ভাগ্য বদলে একটুখানি হলেও কাজ করার, কিন্তু তিনি সে পথে হাঁটেননি।

কিংবা আরেকটু আগে যাই, হিলারি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “ফার্স্ট লেডি”, বিল ক্লিনটন – তার সেই বিখ্যাত স্বামী-প্রবরের জন্য এই প্রায়-সাংবিধানিক পদে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তখনও কিন্তু তার এমন কোনো অর্জন নেই যাকে আমরা বলতে পারি নারীর জন্য বিশাল কোনো পদক্ষেপ। এখন তো এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বিল ক্লিনটনের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূলতঃ শ্বেতাঙ্গ উচ্চবিত্তের স্বার্থ রক্ষিত হয়েছিল, যার কারণে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অ-শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণীর নারীরা।

হিলারি কিন্তু এই বিশাল নারী-ভোটারদের পক্ষে কোনো কথাই বলেননি। বিল ক্লিনটনের এই কাজের খেসারত দিতে হয়েছিল অ্যাল গোরকে, কারণ তিনি অ-শ্বেতাঙ্গ নারী ভোটারদের ভোট পাননি। এমনকি হিলারি ক্লিনটন ২০০২ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর এসিসটেন্ট সেক্রেটারি ছিলেন, তখন এক সাক্ষাতকারে একথা বলেছিলেন যে, “এদেরকে (এই অ-শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণীর নারী) নিয়ে আমরা কী করবো?”

অন্যকথায় তাদের দিয়ে তো আসলে তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। এই অ-শ্বেতাঙ্গ, শ্রমিক শ্রেণীর নারী ভোটাররা সেকথা ভুলে যাবে কী করে? এতোদিনে তাদের অবস্থানের খানিকটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে নিশ্চয়ই, আর সে কারণেই তারা এবার হিলারিকে ভোট দেননি বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপরও যদি হিলারি ক্লিনটনকে কেউ নারীবাদী বলতে চান কিংবা হিলারির পরাজয়কে সামগ্রিকভাবে নারীর পরাজয় মানেন তাহলে তাদের জন্য রয়েছে আরো চমক।

১৯৯৪ সালে বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সি আমলে প্রণীত কুখ্যাত “ক্রাইম বিল” প্রায় সম্পূর্ণই হিলারি ক্লিনটনের হাত দিয়ে তৈরি বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করেন এবং এই বিল বা আইন মূলতঃ অ-শ্বেতাঙ্গ, অ-খ্রিস্টান নাগরিকের ওপর নিপীড়নমূলক আইন হিসেবে চিহ্নিত এবং অন্য অর্থে চরম বর্ণবাদী আইন। এই আইন প্রণয়নকালে হিলারি ক্লিনটন কালো ও লাতিন নারীদের দোষারোপ করে তাদের সন্তানদের গাল দিয়েছিলেন “সুপার পিরিডাটর” কিংবা ভয়ঙ্কর শত্রু বলে। যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারীবাদীরা তার ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন, অতি সম্প্রতি তাদেরই একজন লিখেছেন যে, “এহেন হিলারি ক্লিনটনকে এখন নারীবাদী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা সত্যিই দুঃখজনক, তিনি আসলেই একজন পুরুষাঙ্গবিহীন ‘নারীবাদী‘” (Hillary Clinton: The Anti-Woman ‘Feminist’ by ERIC DRAITSER)।

বরং হিলারি একজন কট্টর “কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদী” যাকে সকলেই ফেমিনিজম বা নারীবাদ-এর তকমা দিয়ে হিলারীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা হবে ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।

লেখা দীর্ঘ না করে একথাটি এখানে উল্লেখ করতে হচ্ছে যে, শুধু নারী বা শিশুই নয়, সমলিঙ্গ বিবাহ কিংবা সমকামীদের অধিকার সম্পর্কেও হিলারি ক্লিনটনের অবস্থান কোনোভাবেই পরিষ্কার ছিল না। বরং ক্ষেত্রবিশেষে তার অবস্থান ও চিন্তা-ভাবনা কট্টরপন্থী রক্ষণশীলদের মতোই ছিল। আগ্রহীরা এ বিষয়ে হিলারির অবস্থান সম্পর্কে পড়ে দেখতে পারেন https://www.solidarity-us.org/node/4390 এই ঠিকানায় ক্লিক করে।

hillari-4কিন্তু হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত অভিমত যদি বলতে হয় তাহলে আমি একথা জোর দিয়েই বলবো যে, যখন বারাক ওবামা প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হন, তখন হিলারি ক্লিনটন তাকে সমর্থন করেননি। আর ২০০৮ সালে তো তিনি তার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিই হয়েছিলেন। এমনকি সোস্যালিস্ট বার্নি স্যান্ডার্সকে তিনি যেভাবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দলীয় মনোনয়ন থেকে দূরে সরিয়ে নিজে প্রার্থী নির্বাচিত হন, তা সকল শিষ্টাচারকে অগ্রাহ্য করেছে বলেই আমার বিশ্বাস।

বরং ব্যাক্তিগতভাবে আমি বার্নি স্যান্ডার্সকে হিলারির চেয়ে সবদিক দিয়েই যোগ্য মনে করি, এমনকি নারীবাদ বা নারী-অধিকার প্রসঙ্গেও। কারণ তিনি কর্পোরেট বাণিজ্য ও ওয়াল স্ট্রিটের অর্থকে প্রত্যাখ্যান করার সাহস রাখেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী বিশ্বনীতিকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হতো বলে মনে হয়। অপরদিকে হিলারি সেইসব দেশের কাছ থেকে নির্বাচনী অর্থ গ্রহণ করেছেন, যেখানে নারীর অধিকার তো দূরের কথা, নারীরা সেখানে কেবল গণিমতের মাল কিংবা ঘরের আসবাবপত্রের মতোই, যেমন সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সর্বশেষ ফিরে যেতে চাই মনিকা লিউয়েনস্কিসহ আরও নারীকূলের কাছে, যারা হিলারি ক্লিনটনের ক্ষমতাবান স্বামী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া সত্ত্বেও বিল মিথ্যা কথা বলে আইন ভঙ্গ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবনকে পরিণত করেছিলেন “সিগার ও বীর্য”-র ভবনে, তখন হিলারি ক্লিনটন সেইসব নারীদের পক্ষে দাঁড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করেননি, তিনি তার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নেতা স্বামী-প্রবরটির পাশেই ছিলেন, কারণ তিনি জানতেন যে, তার ক্ষমতা আসলে আর কোথাও নয়, এই ক্লিনটনের সঙ্গে থাকাতেই তার মোক্ষম। নামের পাশ থেকে ক্লিনটন সরে গেলে তিনি কেবলই হিলারি রডহ্যাম, যা তার কাছে সম্মানজনক মনে হয়নি, যদিও বিশ্বের অনেক নারীর সামনে তিনি উদাহরণ হতে পারতেন তার নাম থেকে ক্লিনটন অংশ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার দৃঢ়তা দেখাতে পারলে। হয়তো সেক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগটুকু পেতেন না, কিন্তু তাতে কী হতো, নারীবাদের নজির তো সৃষ্টি করতে পারতেন, তাই নয় কি?

এ কারণেই হিলারি ক্লিনটনের পরাজয় কোনোভাবেই আপামর নারীর পরাজয় নয়, কারণ তিনি আপামর নারীর প্রতিভূ’ হয়ে উঠতে কখনওই পারেননি। বরং তিনি এখন বিশেষ করে ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কেবলই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘাত সৃষ্টিকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট, কিংবা কেবলই মিসেস ক্লিনটন।

তবে তার চেয়েও বড় দুঃখের কথা হলো, তার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের মতো একজন নারী-বিদ্বেষীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখেছে, তিনি যদি বার্নি স্যান্ডার্সকে ওভাবে ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে না দিতেন কে জানে হয়তো ফলাফল পাল্টেও যেতে পারতো আজকে।

নারী প্রার্থী হিসেবে হিলারি ক্লিনটনকে তাই কোনোভাবেই আলাদা কৃতিত্ব দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না, বরং মনে হয়, তিনি বিজয়ী হলে পৃথিবীতে হয়তো নারীকে আরো অবমাননার শিকার হতে হতো পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছ থেকে, কারণ মানুষ ভুল করে একজন ‘কর্পোরেট পাপেটকে’ নারীবাদী হিসেবে ভুল করতো, তাতে বিশ্বময় নারীবাদেরই ক্ষতি হতো সবচেয়ে বেশি।

ঢাকা, ১১ নভেম্বর, শুক্রবার, ২০১৬

[email protected]

শেয়ার করুন: