ভাঙচুরের ভয়ে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ

সিরাজগঞ্জে মৌলবাদী হামলার ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোকে প্রতিমা বিসর্জন দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা বলছেন, এর পেছনে প্রশাসনের চাপ রয়েছে। তবে জনপ্রতিনিধিরা দাবি করছেন , এলাকার শান্তি রাখতে তারা প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার অনুরোধ করেছেন। আর এ নিয়ে প্রশাসনের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই ওই এলাকার হিন্দু ধর্মের বসিন্দারা বিসর্জনের দরকার নেই এমন প্রতিমাও নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছেন।

pooja-boshorjonগত শনিবার রাতে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ফুলকোচা এলাকায় কালি মন্দিরে দুটি প্রতিমা ভাংচুর হয়। এর পর পাশের  শিয়ালকোল ইউনিয়নের মন্দিরগুলোর প্রতিমা যেন কেউ ভাঙার সুযোগ না পায় সে জন্যে,  বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

ওই সভার সভাপতিত্ব করেন খোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিয়ালকোল শ্মশান কালি মন্দিরের চারটি, বাজার কালি মন্দিরের দুইটি, সাহাপাড়ার পারিবারিক মন্দিরের দুইটি ও কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরের তিনটিসহ মোট ১১টি কালি, শীতলা ও লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়ে গেছে।

পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার কানু, জানান,  জেলার অরক্ষিত প্রতিমাগুলো বিসর্জনের নির্দেশ এসেছে তাদের কাছে। তবে সুরক্ষিত কোন মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ নেই।

বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে শিয়ালকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান স্বীকার করেছেন, জোর করে নয়, প্রতিমা বিসর্জনের অনুরোধ করা হয়েছে। গোটা সিরাজগঞ্জে অন্তত দেড় হাজার বাড়োয়ারি ও পারিবারিক মন্দির রয়েছে। এসব মন্দিরে নানা ধরনের প্রতিমা রয়েছে হাজার পাঁচেক।  

শেয়ার করুন: