‘মুক্তমানুষ’ হওয়া কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়

তানিয়া মোর্শেদ: দীপ্তকে (আমার ছেলে) মাঝে মাঝেই বলে থাকি, এমন কিছু করো না বা এমন কিছু না করে থেকো না যেন কেউ বলে “মা শেখায়নি কিছু”। এই বলাটি যেন কারো মনে-মনেও না হয়। প্রথম প্রথম দীপ্ত আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করতো, “আমার আচরণের জন্য তোমাকে কেন দোষ দেবে?” আমি বলেছি অধিকাংশ সময় এটাই ঘটে।

tania-morshed
তানিয়া মোর্শেদ

সন্তানের আচরণের জন্য মা-বাবা-অভিভাবককেই দায় নিতে হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক যে আচরণ করবে তার দায় সম্পূর্ণ তার হলেও অনেক সময়ই মানুষ সেই মানুষটির বেড়ে ওঠা নিয়ে ভাবে, বলে। সেভাবেই মা-বাবার বিষয় চলে আসে। অনেক সন্তানই মা-বাবার থেকেই আচরণ শেখে। কেউ কেউ মা-বাবাকে অতিক্রম করে যায়, ভালো বা মন্দে।

ছোট শিশু বড়দের থেকেই শেখে। শ্রদ্ধা, সমান ভাবা, যেকোনো মানবিক চিন্তা-আচরণ-কর্ম ছোটবেলা থেকেই শেখে। যদিও শেখার কোন বয়স নেই, তবুও কিছু বিষয় অল্প বয়সেই শিখে যায় মানুষ। প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে নতুন কিছু শেখা, আচরণ করা যায় হয়তো, কিন্তু তা অনেক কষ্টসাধ্য।

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ পরিবারই সন্তান আর মা-বাবা বা মা অথবা বাবাকেন্দ্রিক। এজন্য মা-বাবা বা মা বা বাবার দায়-দায়িত্বও অনেক বেশী। রাজ্যের দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে ভুল হতেই পারে। মানুষমাত্রই ভুল করে। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে সন্তানের বিষয়ে ভুল করলে, তার প্রভাব হয়তো সারা জীবনের জন্য!

কিছুদিন আগে একজনের সাথে কথা প্রসঙ্গে আমরা বলাবলি করছিলাম, কেউ কাউন্সিলিং-এ গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসঙ্গ আসবে, “মায়ের সাথে সম্পর্ক কেমন বা কেমন ছিল?” এটা এদেশে প্রায় সবাই জানেন, কাউন্সিলিং-এ যাক বা না যাক। অনেক সময় টিভির কমেডি শো-তেও এটা নিয়ে রসিকতা দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে মজা করলেও এটি উড়িয়ে দেবার বিষয় নয়।

পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে এখন বাংলাদেশেও অনেক কথা হচ্ছে, হবে। খুবই আশার বিষয়। মানুষ ভাবছে এটাই প্রমাণ। অনেক নারী এখন এবিষয়ে বলছেন, লিখছেন। তাঁদের কথা শেয়ার করার মাধ্যমে অন্য নারী শিখছেন, জানছেন। পুরুষতান্ত্রিক মানুষও জানছেন, শিখছেনও হয়তো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই কথাগুলো আসছে নারীর বিবাহিত জীবন, কর্মক্ষেত্র, সামাজিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। খুব কম দেখা যায় নারীর নিজের পরিবারের বৈষম্য বা নেতিবাচক আচরণ সম্পর্কে কথা বলা। এটা এখনও ট্যাবু বাংলাদেশে।

পিতৃতান্ত্রিক, গোঁড়া সমাজে বাবা-মা-অভিভাবকের “ভুল” নিয়ে কথা বলা, লেখা তো দূরে থাক, প্রশ্ন করাও অনেক স্পর্ধার বিষয়। এখন বেশ কিছু নারী বিবাহিত সম্পর্কের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা বলার স্পর্ধা অর্জন করলেও, নিজ পরিবারের বিষয়ে কথা বলার দুঃসাহস করতে পারেননি। বিবাহিত সম্পর্ক তো অন্য পরিবারের, অন্য মানুষের সাথে! নিজের জন্মগত পরিবার নিয়ে কথা বলা মানে এক ধরনের অন্যায় বা “পাপ”। অথচ অনেক নারীর জীবন পাল্টে যায় সেই শিশুকালেই! আজকেই দেখলাম কী বিশাল সংখ্যার নারীর বিয়ে “হয়ে যায়” পনের বছর হবার আগেই!

গোঁড়া, ধর্মান্ধ সমাজে এখনও কোন সন্তান জন্মালে প্রথম প্রশ্ন, ছেলে না মেয়ে? এখনও শিক্ষিত(!) মানুষ ভাবেন, বলেন, ছেলে হচ্ছে বংশ রক্ষা করে! জানতে ইচ্ছে করে, বংশ রক্ষাটা কী জিনিস?! শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসিক সায়েন্স পড়া বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। অবশ্য কী বলছি, সায়েন্স পড়া উচ্চ শিক্ষিত, সায়েন্সেই কর্ম জীবনে প্রতিষ্ঠিত মানুষের কতো কূপমণ্ডুকতা দেখলাম!

priyo-ranjini
ছবিটি রাজেশ্বরী প্রিয়রঞ্জিনীর আঁকা

দীপ্ত যে দেশে জন্মেছে, বড় হচ্ছে, সেদেশে নারীর বৈষম্য সরাসরি চোখে পড়ে না হয়তো। ওর অনেক ছোটবেলা থেকেই আপাত অদৃশ্য বিষয়গুলি ওকে বলেছি। জীবনের-সমাজের আপাত অদৃশ্য বিষয়গুলো (নারী কি পুরুষের) নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করি। বেশকিছু বছর আগে আমার সমবয়সী এক শ্বেতাঙ্গ নারীর সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেছিলেন, তার সময়ে স্কুলে মেয়েদের সায়েন্স, অংক পড়াকে অনুৎসাহিত করা হতো। তিনি মিড ওয়েস্টে বেড়ে উঠেছেন। মিড ওয়েস্ট, দক্ষিণে গোঁড়া মনোভাবের  মানুষ বেশী। সময়ের সাথে মানুষের মনোভাব বদলেছে। কিন্তু এখনও শোনা যায়, মেয়েরা অংকে ভালো না ইত্যাদি। অথচ এদেশেই কতো নারী কতোকিছু করেছেন, করছেন। এদেশে চাইলে অনেক কিছু করা যায়। জীবনের যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়ে চাইলে পড়া যায়। শুধু থাকতে হবে ইচ্ছে আর চেষ্টা। তবুও দেখা যায় এখনও সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারীতে মেয়েরা পিছিয়ে। মেয়েদের এসবে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সরকারী, বেসরকারী ভাবে।

এদেশে এখন বাঁধাটি সমাজের বা রাষ্ট্রের নয়। নিজের ইচ্ছের ব্যাপার। পুঁজিবাদী সমাজে নারীকে পণ্য হিসাবে দেখার বিষয়টির প্রভাব এটি। ছোট্টবেলা থেকে মেয়েদের মাথায় ঢুকে যায় “প্রিন্সেস সিন্ড্রোম”। আমি এই নামটি দিলাম। মেয়েদের পোশাক, সাজসজ্জা, খেলনা এতো এতো ধরনের আর এতো এতো দোকান, শপিং মল, কার্টুন-মুভি সবকিছুতেই শুধু প্রিন্সেস আর প্রিন্সেস!

হ্যাঁ ছোট ছোট মেয়েদের প্রিন্সেস সাজে দেখতে ভালো লাগে, তাদের প্রিন্সেস বলা, সব ঠিক আছে। কিন্তু সবকিছুরই একটি সীমা থাকতে হয়। ছেলেদের নিয়ে যখন সকার, ফুটবল, বাস্কেট বল, বেসবল, কারাতে, তাই-কো-ওয়ান্দো, লেগো রোবটিক্স ক্লাব করছেন বাবা-মা তখনও অনেকে মেয়ে শিশুকে ‘প্রিন্সেস’ ‘প্রিন্সেস’ করে তারই ক্ষতিটা করেন। আর সাথে আছে রূপ আর ফিগার সচেতনতা!

ছোট ছোট মেয়েদের মাথায় ঢুকে যায়, বাহ্যিক সৌন্দর্য্যই মূলকথা! কীভাবে জিরো ফিগার করতে হবে, কোন মেইক আপ ব্যবহার করতে হবে, কোন পোশাক পরতে হবে, কীভাবে চুল কাটতে হবে, আই ব্রাও প্লাক করতে হবে, ইত্যাদিতে অনেক অল্প বয়সেই ব্যস্ত হয়ে গেলে সে কখন স্বপ্ন দেখবে নিজেকে নিয়ে! অথচ এ সমাজে, দেশে একটি মেয়ে একটি ছেলের মতোই আকাশ ছুঁতে পারে এখন! মেয়েদের অবস্থা আগের থেকে অনেক বদলালেও এখনও যেতে হবে অনেক দূর।

কিছুদিন আগে দীপ্ত বলছিল, ওদের স্কুলের কোন মেয়েকে (ভারতীয় অরিজিন) তার বাড়িতে বলেছে, রুটি পারফেক্ট গোল করে বানাতে শিখতে হবে! এই স্কুলে ভারতীয় উপমহাদেশের অরিজিনের যেসব স্টুডেন্ট পড়ে, তাদের প্রত্যেকের বাবা-মা উচ্চ শিক্ষিত, হাইটেক জব করা মানুষ। তারা খুব সচেতন ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার বিষয়ে। কিন্তু মানসিকতা এখনও পুরুষতান্ত্রিক অনেকের!

রুটি গোল করে বানানো কেন, রুটি বানানোই বা শিখতেই হবে কেন মেয়েকে? আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম দীপ্তকে, কোন ছেলেকে কি একথা বলেছে কেউ? উত্তরে ও বলেছিল, ভারতীয় উপমহাদেশের বাবা-মা বলবে বলে মনে হয় তোমার? এদেশে অনেক বছর বাস করেও ভারতীয় উপমহাদেশীয় বা এশিয়ান পুরুষতান্ত্রিকতা ধারণ করে চলেছেন অধিকাংশ পুরুষ-নারী! তাই দেখা যায় হাইটেক জব করে, বা অন্য যেকোনো ধরনের জব করে সংসারের প্রধান কাজগুলো নারীই সামলান! কেউ রাঁধতে পারে এটা এদেশে একটি বিশাল গুণ। কেউ না রাঁধতে পারলে দোষের কিছু নয়। অথচ ভারতীয় উপমহাদেশে ধরেই নেওয়া হয়, নারী মানেই রান্না জানা-করা অবশ্য কর্তব্য! না জানলে চূড়ান্ত দোষ! সময়ের সাথে চিন্তা-ভাবনা বদলাচ্ছে। কিন্তু এখনও অনেকের মধ্যেই এই সীমাবদ্ধতা আছে।

এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ টিভি অ্যাডে, নাটকে, সিনেমায় দেখা যায় রান্নাঘরের কাজ কেবলমাত্র নারীর। চিন্তাটা এতোই প্রতিষ্ঠিত যে নারী শিশু অবস্থাতেই পরিবারের অনেক কাজ করা শুরু করে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে। চাইল্ড লেবার নিয়ে কথা বলার সময় অনেক প্রগতিশীল মানুষও ভুলে যান নিজের বাড়ীর কথা! অপ্রাপ্তবয়স্ক গৃহকর্মীই শুধু নয়, নিজের কন্যা সন্তানের কথাও! একটি বয়স থেকে শিশুদের কিছু কিছু কাজ করতে শিখাতে হবে, লাইফ স্কিল বলে এগুলোকে। কিন্তু তার মানে এই নয় রান্না ঘরের বা বাড়ীর এমন কাজ করাতে হবে, যা তার বয়সের জন্য নয়। তা মেয়ে কি ছেলে যেই হোক।

আর যে বয়স থেকে যেসব কাজ করতে হবে, শিখতে হবে তাতে মেয়েছেলে কোন পার্থক্য করা যাবে না। একটি মানুষকে এমনভাবে বড় হতে হবে যেন সে কোনো কিছুতেই কারো উপর নির্ভর করা না শেখে। মানুষ যত অন্যের উপর নির্ভরতা কমাবে, তত মুক্ত থাকবে সে। মুক্ত মানুষের অসুখী হবার সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশে নারী অনেক দেশের নারীর থেকে পড়ালেখা-কর্মে এগিয়ে সংখ্যায়। কিন্তু শিক্ষিত, কর্মজীবী নারীর অনেক বড় একটা অংশ মুক্ত মানুষ নয়! এখনও সমাজের-সংস্কৃতির অনেক বাধা অতিক্রম করতে পারেননি। মানসিকতার জন্য। আর এই সব নারীও কিন্তু অন্য নারীর বাধা হিসাবে কাজ করেন। নিজের কন্যা সন্তান আর পুত্র সন্তানের মধ্যে বিভাজন করে এই মানসিকতা বাঁচিয়ে রাখেন পরবর্তী প্রজন্মে!

ক’দিন আগে দীপ্ত বলেছিল একটি লেখা দেখা যায়, “টিচ ইয়োর সন নট টু রেইপ।” কথাটি ওকে আহত করে। ওর কথা হচ্ছে, এই বাক্যটি কি এই কথা বলে না যে ছেলে মানেই রেপিস্ট? অনেক কথা হয়েছে ওর সাথে এ প্রসঙ্গে। আমি বলেছি, বুঝেছি ওর কষ্ট। কেন এভাবে লেখে তাও বোঝার কথা বলেছি। যেহেতু রেইপ হয় অধিকাংশ সময় পুরুষের দ্বারা, রেইপ ব্যবহৃত হয় নারীকে শাস্তি দেবার উদ্দেশ্যে ইত্যাদি কারণে এটা এভাবে পুরুষের সাথেই ট্যাগ করা হয়েছে।

একথা আগেও বলেছি, অনেক নারী আক্রান্ত হতে হতে এমন অবস্থায় যান যে পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে যান। সে কারণে অনেক নারীবাদীর কথা পুরুষবিদ্বেষী হয়। বুঝতে হবে কেন তিনি এমনভাবে বলছেন। প্রথমে তাকে কথা বলতে দিতে হবে। হয়তো তার ভাষা ঠিক হবে না প্রথমে। বা কখনোই। কিন্তু তাকে কথা বলতে দিতে হবে। যেদিন তার কথা সবাই বুঝবে সেদিন হয়তো তাকে বোঝাতে হবে, কোন ভাষায় কথা বলতে হবে!

পুত্র সন্তানকে যেমন নিজের দায়িত্ব নিজের নিতে হবে (ঘরে-বাইরের সব বিষয়ে), তেমনি কন্যা সন্তানকেও নিজের দায়িত্ব নিজের নিতে শেখাতে হবে। নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে যেমন পুত্র সন্তানের বিয়ে, সংসার নয়; তেমনই কন্যা সন্তানের বেলায়ও তাই।

আর বিয়ে কেন আজও বাবা-মা-পরিবার ঠিক করে দেবে? নিজের জীবনে কার সাথে পথ চলবে তা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। এযুগেও কেউ অন্যের ঠিক করা মানুষকে বিয়ে করে কেমন করে? মানুষ তো নিজেকেই পুরো চিনতে পারে না!  যদি চলার সাথী চিনতে নিজেও ভুল করে, শুধরে নেবে। তবে বুঝতে হবে “ভুল” কি সত্যি ভুল? আবার কেউ যদি সংসার করতে না চায়, করবে না। দিনের শেষে মানুষটি নিজের সিদ্ধান্তে নিজে খুশী কি না সেটাই বড় কথা।

 

শেয়ার করুন:

তানিয়া মোর্শেদ আপার লেখাটা পড়ে নিজেরও অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করছে। যেমন: রুটি বানানো প্রসঙ্গে। আমি বাবা-মা য়ের সংসারে কখনো রুটি বানাতে শিখিনি। চেষ্টা করেছি যতদিন না শিখে থাকা যায়। বাবা যেহেতু বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন সেই সূত্রে রেশনের আটা পেতেন। সেজন্য রুটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খাকতো। মা বড় বোন বানাতেন। আমরা ভাই বোন ও বেশি । তাই বেশি রুটি বানাতে হবে মনে করে আগ্রহী হতাম না। মা বোন কোনদিন চাপ সৃষ্টি করেনি শিখার ব্যাপারে। তবে বিয়ের পর শিখতে বাধ্য হয়েছি স্বামীর ডায়বেটিস বলে। সকাল আর রাতে রুটি খেতে হবে। প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগলেও শিখে ফেলেছি কাজটা। খুব সুন্দর গোলও হয়। এসবের বিকল্প ও অন্য কিছু থাকতে পারে। আমাদের দেশের ডাক্তাররা বোধ হয় এই সাজেশনটা দেন না রুটির বিকল্প অন্য কিছুর।
আমি আপনার সাথে একমত। ছোট্ট ছেলেটাকে ঘরে থেকেই শিখতে হবে, শিখাতে হবে। ওরা যেনো ভেবে না থাকে ওদের দায়িত্ব শুধু উপার্জন করা। বাকি কাজ নারীদের। ছেলে মেয়ের বিভাজন নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম এনজিও সেক্টরে যত কাজ হয়েছে অন্য সেক্টরে একেবারেই হচ্ছে না বলেই সমস্যাটা থেকেই যাচ্ছে। আমরা ভুক্তভোগী হচ্ছে। তানিয়া মোর্শেদ আপাকে ধন্যবাদ ইস্যু টা নিয়ে লেখার জন্য।