অসময়ে যুদ্ধের মাঠে, অস্ত্রবিহীন সৈনিক আমরা

কাকলী তালুকদার: আপনারা যে যাই বলেন আমি আমাদের পুলিশের আইজিপির সাথে একমত! সবার নিরাপত্তা কিন্তু পুলিশের দেয়া সম্ভব নয়! নিজেদের ঘর, ঘাড় সব সামলে চলুন নিজেরাই!
Freedom of speechকিন্তু প্রশ্ন। আমরা যখন ১০০ শিক্ষার্থী এক ক্লাশে ক্লাশ করি একজন শিক্ষক কি করে সবাইকে সামলান? এখানে কি শৃঙ্খলা একটি বড় বিষয় নয়? তবে কি আমাদের রাষ্ট্রের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে? কে বা কারা এই সকল শৃঙ্খলা নষ্ট করছে?
ক্লাশে কিছু দুষ্ট শিক্ষার্থী চিরকালই থাকে, সাধারণত সেই সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষক প্রথমেই চিহ্নিত করে ফেলেন, সেটা শিক্ষকের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই করেন এবং সেই সকল শিক্ষার্থীকে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটাও শিক্ষক বিশেষভাবেই করে থাকেন! ক্লাশের অন্য শিক্ষার্থীদের যেন সমস্যা না হয় সেই বিষয়টিও শিক্ষক নজরে রাখেন!
আর শিক্ষক নিজেই যদি বিশৃঙ্খল হয়ে থাকেন, তবে তো ক্লাশ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়!
আমাদের পুলিশের আইজিপির দোষ আমি দেখি না! ঊনারা ক্লান্ত, আমাদের নাগরিক জীবনের নিরাপত্তার চেয়েও সেই সকল দুষ্ট নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা বা চেষ্টা না করার ব্যর্থতায়!
ঊনি বলেছেন আমাদের দক্ষ ইনভেস্টিগেটর আছে যাদের কারণে পূর্বে জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন! আমিও তাই বলি, আমরা দোষীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিলে তো শাস্তির প্রয়োজন নেই আর!
প্রশাসন যদি ধর্ষক বা অপরাধীদের নিরাপদে রাখতে অধিক সময় ব্যয় করেন তবে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দেয়া কি আসলেই সম্ভব? এটা কিন্তু আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। অন্তত আমাদের মতো ছাপোষা জনগণ কেন প্রশাসনের সময় নষ্ট করতে যাবো!
কিছু অপরাধী প্রতিদিন খুন করছে, রাষ্ট্রের ইনভেস্টিগেটর তাদের খুঁজে পায় না! শুধু লাশের সংখ্যা বাড়ছে দেশে! তারাই লাশ হচ্ছে যারা কারো গায়ে একটা টোক্কা দেয়ার চিন্তাও করেন না! এই সকল জনগণ দিয়ে দেশের কোনো ভবিষ্যৎ সত্যিই কি আছে?
আমরা জনগণ যদি এখনও না বুঝি এই প্রশাসন, আমাদের জন্য নয়! আমাদের জন্য আমরাই, আর কেউ দাঁড়াবে না আমাদের পাশে! এই প্রশাসন অপরাধীদের নিরাপত্তা দিবে, দিন দিন লোভী হয়ে উঠা সরকারের অন্যায় কাজে সময় ব্যয় করতে হয় তাদের! আমাদের চাহিদাহীন জনজীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা এই প্রশাসন দিবে না!
আমরা একা, শূন্য হাতে যুদ্ধের ময়দানে! সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে! কেউ পাশে নেই সাধারণ মানুষ ছাড়া!
অসময়ে আমরা যুদ্ধের মাঠে, আপনি আমি অস্ত্রবিহীন সৈনিক, হাতে অস্ত্র নেই, কিন্তু অস্ত্রের ভাণ্ডার আছে কাছেই! কী করবেন? নিজের ঘাড় পেতে দিবেন নাকি শেষ চেষ্টাটা করবেন? বিবেচনা আপনার! মৃত্যু আমাদের মাথার উপর খড়্গ হয়ে ঝুলে আছে!

শেয়ার করুন: