তনুর জন্য খোলা চিঠি

রুখসানা কাঁকন: তনু, তোমার পরনের হলুদ-সবুজ ওড়নাটা ভারী সুন্দর
বাংলাদেশের গায়ের রং তোমার মায়া ভরা মুখটা ঢেকে রেখেছে।
তোমার কাজল কালো চোখটা দেখতে আমার কৈশোরে হারিয়ে যাওয়া কাজল কালো চোখের  মতো।
Rukhsana Kakonকিন্তু তনু তোমাকে যে লিখতে বসলাম তুমি কি তোমার কাজল কালো চোখটা মেলে আমার চিঠি পড়তে পারবে?
তনু মনি তুমি কি জানো, তুমি মরে গিয়ে কী ভীষণ বেঁচে গেছো?
ঐ গন্ধ পচা দুর্গন্ধ মাটির দেশে আমাদের মত হাজার নারীরা মাথা খুঁটে  খুঁটে মরছে।
তোমাকে লাশ করে ফেলে গেছে কে?
তোমাকে বীভৎসভাবে মেরেছে কারা?
এ প্রশ্ন কেউ করতে সাহস পায় না কেন?
কেন বড়  বড় নেতারা মুখ বন্ধ করে আছে ?
সেনাবাহিনী কেন তোমার মৃতদেহের দিকে বন্দুক তাক করে আছে?
তনু, মেয়ে হয়ে বাংলাদেশে জন্মানো ঠিক না।
বাংলাদেশে কিছু পুরুষ নারীদের যোনি আর স্তন বিশিষ্ট জন্তু ভাবে।
যাদের সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করা যায়।
তোমার বাবা কাঁদছেন।
তোমার মা কাঁদছেন।
তোমার রক্তাক্ত শরীর দেখে কাঁদছে অসহায় বিবেকবান মানুষেরা।
তুমি তোমার বাবা-মাকে কি বাংলাদেশে কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য শাস্তি দিয়ে গেলে?
আমাদের বাবা-মায়েরা চিরকাল কেঁদে যায়, কারণ ঐ পুরুষের হাতে আমরা ধুঁকে ধুঁকে বা বীভৎসভাবে খুন হই।
অথচ এই পুরুষ আমাদের যোনি পথ থেকে বের হয়, আর স্তন খেয়ে বড়  হয়।
মাকে ধর্ষণ করে তারা তাদের মাটিকে ধর্ষণ করে।
তনু, ভুলে যাও এই বাংলাদেশে তুমি জন্মেছিলে মেয়ে হয়ে।
আকাশের নীল যদি বেহেস্ত হয়, সেখানে সবুজ ওড়না ভাসিয়ে তুমি উড়ে যাও।  
হিজাব তোমার প্রতিরোধ ছিল।
কিন্তু হিজাবেও রক্ষা পায় না এদেশের মেয়েরা।
এখন নগ্ন হয়ে আমরা মার্চ করবো সেনা ভবনের দিকে।
হিজাব উড়ে যাবে বাতাসে।
আমাদের হাতে থাকবে অস্ত্র।
আমরা গুলি করে নিজ হাতে মারব শিশ্ন ধারী বিকৃত পুরুষদের।
তনু, বিচারের বাণী আর নিভৃতে কাঁদবে না।  
আমরা এর প্রতিশোধ নেবোই নেবো।

শেয়ার করুন:

একজন তনুর চলে যাওয়া আমাদের সকলের মন কে ব্যাথিত করেছ… অনেকে ফেসবুকে আবার অনেকে রাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদ করছে…।একটা সময় পর যে যার জীবন নিয়ে বাস্ত হয়ে যাবে…আবার নতুন কেউ ধর্ষিত হবে আবার সবাই কিছু সময় এর জন্য ফুঁসে উঠবে…। ।এমন ই ত ঘটে আসছে… কোন সমাধান আসছে না…কেন?প্রতিবাদ দিয়ে আর দেশের চলমান আইন দিয়ে যে কিছু হয় নি ,হবেও না তাই প্রমান হচ্ছে…অনেকে সুজগ বুঝে আবার ইসলাম কে টেনে আনছে … বলছে ইসলামি ড্রেস কোেডই যদি কায হত তো আর এমন ……… । ইসলাম কে ভলভাবে জানুন আগে…।এই সব সমস্যার সমাধান আল্লাহ পাক কত সুন্দর ভাবে দিয়ে দিয়েছেন যা অন্য কোন পথেই সম্ভব না…
১। মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।
২।ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।

৩।আর একটি বিষয় হল মাহারাম(বাবা,ভাই,ছেলে, স্বামী কে নিয়ে রাতে বাইরে বের হওয়া।
8।তার পরও কোন নারীর সাথে জোর করে অন্যায় করলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড যা
সর্বচ্চ শাস্তি নয় একমাত্র শাস্তি।
দেখুন তো কতো স্পষ্ট ভাবে ছেলেদের চারিত্রিক পবিত্রতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে। আল কোরানের প্রতিটি বিষয় যদি পালিত হত তবে আর এমন ঘটনা ঘটতো না… আপনি তর্কের খাতিরে হয়ত যুক্তি দিতে পারবেন কিন্তু একবার নিজের মনে আল্লাহর দেওয়া সমাধান গুলো ভেবে দেখুন …কতটা ফলপ্রসূ…। তিনি তার সৃষ্টির কল্যাণ যতটা চান না তো তার থেকে বেশি আর কে চান? নারীবাদীরা? না মুক্তমনা ?না কি প্রগতিশীলরা ? তাদের অনেকে ই এমন ঘটনা কে পুঁজি করে নিজের লেখা পোস্ট করে নিজেদের প্রচার করে বেড়ান, ভালোমানুষিকে প্রচার করে বেড়ান। আর বলেন ইসলাম আমাদের সমাধান নয়…বাধা…! তবে আমি বলব আপনাদের এমন আচারন ই এইসব ঘটনা রোধের পথের বাধা… তার দায় ভার নেবেন কি?