দেবযানীর অভিযোগ গঠনের আদেশ খারিজ

devyani-khobragade+100উইমেন চ্যাপ্টার: যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত কূটনীতিক দায়মুক্তি থাকায় অভিযোগ গঠনের আদেশ খারিজ করে বিচার থেকে রেহাই দিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবড়াগাড়েকে।

ম্যানহাটনের জেলা জজ শিরা শেইন্ডলিন বুধবার এই আদেশ দেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ভিসা জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে এই মামলায় গত ১০ জানুয়ারি ৩৯ বছর বয়সী দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি। তবে কূটনৈতিক হিসাবে দায়মুক্তি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওইদিনই দেশে ফিরে আসেন এই ভারতীয়।

এরপর অভিযোগ গঠনের ওই আদেশ বাতিলের জন্য তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

গৃহকর্মীর ভিসা আবেদনে মজুরি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং তাকে চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক না দিয়ে বেশি কাজ করানোর অভিযোগে গত ১২ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কিন্তু তাকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশি এবং মাদক কারবারি ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক সেলে রাখার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ভারত। নয়া দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেবযানীকে অপমান করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।

ভারত সরকার দেবযানীর মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানালেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার তার বিচারের বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি হয়নি। বরং অভিযোগ গঠনের সময় পেছানোর যে আবেদন দেবযানী করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তাও খারিজ করে দিয়েছিল।

এর আগে কূটনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে বিচার এড়াতে দেবযানীকে নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেট থেকে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনে বদলি করে ভারত।

অন্যদিকে দেবযানীর বিচার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাকে কূটনৈতিক সুরক্ষার আওতার বাইরে রাখতে চাপ দেয়। ভারত তাতে ‘না’ বলার পরই দেবযানীকে দেশে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার আদালতের আদেশে বলা হয়, গ্র্যান্ড জুরি দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলেও ওইসময় তার কূটনীতিক দায়মুক্তি ছিল।

অবশ্য এই আদেশের পরও দেবযানী খোবড়াগাড়ের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠনের আবেদন করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা।

শেয়ার করুন: