নতুন বই, নতুন বছরের সেরা উপহার

Children with booksউইমেন চ্যাপ্টার: নতুন বই! এক অসাধারণ ঘ্রাণ আর মাদকতা মেশানো সেই সুখস্মৃতি! ছোটবেলায় এই নতুন বই কালেভদ্রে পেয়েছি, বড়দের পড়ে যাওয়া পুরোনো বই-ই বরাবর জুটতো। তবে দু একটা নতুন বই এই যেমন ব্যাকরণ বা সহজপাঠ বইগুলো নতুনই হতো। কারণ প্রতিবছর সিলেবাস এ পরিবর্তন হতো এই বইগুলো।

গত ৫ বছর ধরে জানুয়ারির ১ তারিখ এলেই বিদ্যালয়গুলোর অসাধারণ আনন্দ উৎসব আমাকে সুখকর এক ঈর্ষায় ফেলে দেয়, আহারে আমি যদি ওদের বয়সী হতাম তবে তো আমিও আজ এই আনন্দের ভাগীদার হতাম! তবে আনন্দ যে একেবারে হয় না তা ঠিক নয়, বছরের শুরুর এই দিনে একসাথে এত কচিকাচার হাসি মুখের চেয়ে বড় কোন শুভেচ্ছা আর আছে কি?

খুব মনে আছে এই তো ৫ বছর আগেই কোন ছাত্র-ছাত্রী নতুন বই কবে পাবে তার কোন ঠিকঠাক সময় ছিল না, বছরের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন বই এর দেখা পাওয়া বড় সৌভাগ্য বলে গণ্য হতো, অথবা ২/১ টা নতুন বই আর পুরোনো বই মিলে একটা সেট বানানোর প্রাণপন চেষ্টা করা হতো । আমার মা- বাবা দুজনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। নতুন বই তো দূরের কথা ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত কোন বই ছাত্রদের হাতে নাই, এ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। এমনকি ২০০৬-২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও জানুয়ারিতে বই প্রাপ্তি সম্ভব ছিল না।

অথচ ২০০৮ সালের পরে সম্মানীত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক অসম্ভব বিষয়কে সম্ভব করেছেন দীর্ঘ ৫ বছর ধর। আর এইবার তো তিনি পুরাই ম্যাজিক দেখালেন। ধন্যবাদ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী , ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোর দুঃসময়ে ২০১৪ সালে সারা দেশের কচি কচি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এমন একটি নববর্ষের উপহার দেবার জন্য।

 (সৌজন্যে: রওশন আরা নীপা)

শেয়ার করুন: