সুখী হওয়াটা সহজ না, কিন্তু জরুরি

সাদিয়া শবনম হেমা:

আমাকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বা সরাসরি বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা আমার সম্পর্কে কী ভাবে। তাদের ধারণা আমার মতো সুখী মানুষ পৃথিবীতে কেন, এই মহাজগতেই আর কেউ নেই। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমি যা চাই জীবনে তাই-ই পাই, আমার কোনো অপূর্ণতা নেই, আমার চারপাশে শুধু ভালো মানুষদের ভিড় এবং টাকার ছড়াছড়ি- এই কারণে আমি সবসময় ‘পারফেক্ট ব্লিস” লেভেলে বসবাস করি!

দু’ একজনকে বুঝাতে গিয়েছিলাম যে এই বিশ্বসংসারে কেউই সদাসুখী নেই, হতে পারে না। কিন্তু তারা চোখমুখ শক্ত করে আমার দিকে এমন একভাবে তাকিয়েছে যে, আমি বুঝে গেছি এসব লালন-মার্কা ফিলোসফি কোন কাজ করে নাই। তাদের এই বিশ্বাসের জন্য তাদের এককভাবে দায়ী অবশ্য করা যায় না। তাদের এই বিশ্বাস অতি পাকাপোক্ত হতে যেটা সাহায্য করেছে তা হলো আমার অতি অল্প বয়সেই উঠে যাওয়া চারটি আক্কেল দাঁতসহ বাকি ৩২টি বেশ বড় সাইজের দাঁতের সারি!

ছবি তোলা থেকে শুরু করে কথা বলা- সব সময়েই আমার বিকশিত দাঁতের পাটি এতো বেশি প্রমিনেন্ট থাকে যে কেউ যদি এতে নিরবিচ্ছিন্ন সুখ খুঁজে পায়, তার জন্য তাকে কোন দোষ দেওয়া যায় না। তো, শেষমেশ একজন ইনবক্স করে জানতে চেয়েছে এর পিছনের রহস্য কী! একটা মানুষ যেখানে সেখানে যখন তখন কিভাবে সবকটি দাঁত এক ঝলকে বের করে ফেলতে পারে?
তার ভাষ্যে, সে একজন অতি দুঃখী মানুষ যে কোনো হাসির ঘটনাতেও দূঃখের ছোঁয়া খুঁজে পায়! তাই সে “টিপস” চায়! আমি তাকে ঠান্ডা মাথায় ভেবে জানালাম যে যথাসময়ে উত্তর দিব, তবে পাব্লিকলি; যাতে বাংলা দুনিয়ার তাবৎ জনগোষ্ঠী এই রহস্য উন্মোচনের সাক্ষী হতে পারে ও আপামর দুঃখী জনগোষ্ঠী মহতী শিক্ষা নিতে পারে।

আমার হাসি-রহস্যের পিছনের কারণ দুটি; একটি শারীরিক আর একটি মানসিক। শারীরিক ব্যাপারটা হলো ক্যালানো মুখখানি অডিয়েন্সের সামনে নর্মাল মুখের চাইতে সহনীয়! আমার ধারণা আল্লাহ পাক যখন আমাকে তৈরি করছিলেন তখন বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালসে ঘাটতি পড়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তী চালানটাতে দেরী হচ্ছিল। তাই দয়াময় খোদা বিভিন্ন জায়গা থেকে কুড়িয়ে-বাড়িয়ে জিনিসপত্র নিয়ে আমার মেকিংটা কমপ্লিট করে দিয়েছিলেন। এর ফলে যা হইছে তা হলো দেহ কাঠামোর দিক থেকে আমি মিনিমাম তিনটি মহাদেশের ও মানসিক কাঠামোর দিক থেকে সাতটি মহাদেশ, পুরুষ ও মহিলা জাতি, এলিয়েন এবং কিছু পশু-পাখী/কীট পতঙ্গের সংমিশ্রণ হয়ে গেছি! তাই আমার অনেক কাজকর্মও যেমন হজম করা কঠিন তেমনি চেহারা মুবারকও! দাঁত বের করে দিলে পরে মানুষ অন্তত শিউরে শিউরে না উঠেই কথাবার্তা চালাইতে পারে বলে আমার ধারণা!

মানসিক বিষয়টা আপাত দৃষ্টিতে সোজা-সাপ্টা মনে হলেও বাস্তবে জটিল। আবার উল্টোটাও হতে পারে, শুনতে জটিল কিন্তু আসলে সহজ! বিষয়টা হল সেই গ্লাসের পানি দেখতে পাওয়া, অর্ধেক পানি নাকি অর্ধেক খালি। খালি অংশ যদি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে বুকটাও খালি খালি হয়ে যায়। তাই অর্ধেক পানি দেখাটাই প্র্যাকটিস করেছি, প্র্যাকটিস এত ভাল হয়েছে যে মাঝে মাঝে পুরা খালি আর ট্যিসু দিয়ে মোছা গ্লাসেও আমি ২/৩ ফোঁটা পানি দেখতে পাই! এই পানির অভাব না হওয়ার কারণে আমি কখনো শুকায় যাই না! এই পানি আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে লেগে যাওয়া চরম লেভেলের গিট্টুও ধৈর্য্য ধরে খুলতে শক্তি দেয়।

সবসময় কিন্তু পানি কাজে আসে না। মাঝে মাঝে পানির উপস্থিতি বরং গিট্টুকে আরো টাইট করে দেয়। তখন পানি টানি ফেলায় দিয়ে হাতে দা-বটি-ছুরি-কাঁচি যা পাওয়া যায় তাই দিয়ে গিট্টু কচাং করে কেটে ফেলতে হয়। না হলে পরে এই গিট্টুর উপর আরো গিট্টু লাগতে লাগতে এক সময় গলায় চেপে শরীর-মনের মৃত্যুর কারণ হয়ে যেতে পারে। গিট্টু কাটার কাজটা বলতে যত সোজা ততটা না আসলে। মনকে পাথর না বানালে গিট্টু কাটা যাবে না। তাই বলে মনকে আবার সারাক্ষণই পাথর বানিয়ে রাখলে চলবে না, মন হওয়া দরকার তরল পদার্থের মতো- যে পাত্রে থাকবে সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে। দরকারমত তা কঠিন, তরল বা বায়বীয় করে ফেলতে হবে। যেসব মানুষ বা বিষয় জীবনে কোন ভাল নিয়ে আসে না, তা যাই বা যেই হোক না কেন, গিট্টু কাটা সুতার সাথে বেঁধে বাতাসে উড়িয়ে দিতে হবেই। এমন গিট্টু ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন দুই জায়গাতেই বেশ কয়েকবার কাটতে হয়েছে, ফলাফল ভাল হয়েছে। গিট্টু কাটার চিন্তা ও প্রসেসিং টাইমটা যদিও যথেষ্ট কষ্টকর ছিল…

তৃতীয় বিষয়টা হলো, সবকিছুর গিট্টু খোলার চেষ্টা না করা! কিছু গিট্টু ওভারলুক করা। দুনিয়ার সব গিট্টু দেখা ও খোলার মহান দায়িত্ব আমার না- এই মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়া। গিট্টু পানিতে ডুবতে থাকা ছোট্ট শিশু নয় যে দেখা মাত্র সব ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে!

চতুর্থ ও সব চাইতে বড় ব্যাপার হল, লোক কি বলবে, সমাজ কি বলবে, ধর্ম কি বলবে- এসব বিষয় সুপারগ্লু এর মত নিজের মনের জানালায় আটকে না দেওয়া, আবার আমি অত্যাধুনিক মানুষ এসব আমি মানিনা- এই অতি আধুনিকতায় ডুবে না যাওয়া। যখন যেটা দরকার, সত্যিই দরকার-তা করার সময় কারোর দিকে তাকানোর দরকার আছে বলে মনে করি না।

আমি যখন এনজিওতে ঢুকলাম, কেউ পছন্দ করে নাই। আমার বাসা থেকে এসব ডিসিশন কেউ কোনদিন চাপায় দেয় নাই, কিন্তু তাদের দুঃখের জায়গাটা আমি বুঝতাম। অন্য অনেক লোকের কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। এমন কথাও, যে সব মেয়ে এনজিওতে চাকরি করে তাদের চরিত্র খারাপ হয় এবং তারা নাস্তিক হয়। ওয়েল, হয়, হইছে, তোর কী? মুড়ি খা। এসব ধরনের লোকজন আবার যখন আমি ইউএন এ ঢুকলাম, গায়ে পিএমও এর ছাপ লাগলো, দেখি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। তো, এসব ব্যাপারে আমার হিসাব সিম্পল- গো এন্ড ‘এন্টারটেইন’ ইওরসেল্ভস! আবার অন্যদিকে, বাচ্চাকে ব্রেস্টফিড করানো আমার অধিকার, এই দৃশ্য স্বর্গীয় দৃশ্য- এই মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিশ্চয় কখনো হাটেবাজারে যেখানে সেখানে সবার সামনে এই কাজ করতে বসে যাব না?

সমাজ-ধর্ম-সংস্কার ইত্যাদি সবই হলো আপেক্ষিক ব্যাপার, যার যার নিজস্ব ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়; কিন্তু একসাথে যখন থাকতে হবে, কিছু জিনিস মেনে নিয়ে চললে খুব বেশি ক্ষতি হয় না, বরং সবার সাথে ভালভাবে থাকা যায়। পৃথিবীর সব কিছু আমার ইচ্ছামত আমার সুবিধামত আমার মতাদর্শে চালিত হবে, এই চিন্তা যে করে তার কোনদিন প্রাণখুলে হাসি আসবে না, কারণ সে হবে সকলের বর্জনীয় ব্যক্তি।

পঞ্চম কারণ হলো, আমার জীবনে চাহিদা হাতে গোণা। আমি জানি কোনটা আমার পক্ষে পাওয়া সম্ভব কোনটা না। যেটা বা যে পাওয়া সম্ভব না, তা বা তাকে পাওয়ার জন্য আমি মরিয়া না। চেহারা ‘অসুবিধার’ হওয়ায় আমার সুবিধা হচ্ছে, আমার মেকআপ, গহনা ইত্যাদির চাহিদা জিরো লেভেলে থাকা। এজন্য আমার অনেক টাকা সেভ হয়, তাই আমার টাকার চাহিদাও কম!
কোনদিন ফার্স্ট হতেই হবে, সায়েন্স পড়তেই হবে, ডাক্তার হতেই হবে- কোন ধরণের হতেই হবে বিষয় আমার মধ্যে ছিলনা, তাই কোন টেনশনও ছিলনা। এখনো নাই। আমার যা আছে তাই নিয়েই আমি সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করি। সব সময়, সবক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়না, কারন আমি কোন মহামানব না যে জীবনের সব প্রয়োজন, শখ আহ্লাদ শিকেয় উঠিয়ে দিব; তবে এটা ঠিক যে সেই ক্ষেত্রগুলো কম। আমি যে কোন ব্যাপারেই আশাবাদী, তাও কিছু পাওয়ার ব্যাপারে এত আশাবাদী হই না যাতে না পেলে দুঃখ-কষ্ট কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়! সততার সাথে চেষ্টা করব পেতে, যদি পাওয়া যায় খুবই ভাল, আর যদি না পাই সেটা ভবিতব্য! আবার পাওয়া জিনিসও আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে চলে যেতে পারে, যেতে পারেই, তাতে কী? একটা জিনিস যাবে, আর একটা আসবে; আমি আসাটাকে সেলিব্রেট করবো, যাওয়ার দুঃখে নেতিয়ে পড়বো না।

ষষ্ঠ কারণ, এটা আবার সবসময় ভালোও না, মানুষকে মানুষের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করা ও তাদের বিশ্বাস করা। সারাক্ষণ অবিশ্বাস আর অন্যের প্রতি বিরাগ নিয়ে চললে নিজের মনের শান্তিই নষ্ট হয়। তাই বলে প্রতিনিয়ত যে ক্ষতি করে যাবে, তাকে মাথায় নিয়ে রাখবো তা নয়, তাকে এড়িয়ে চলা ভালো; মারামারি, ঝগড়া, অভিশাপ-এসব করে কোনকিছু হয় বলে মনে হয় না। আমার সাথে যার পোষায় না তাকে আমি মাত্রা অনুযায়ী এভয়েড করে চলি, আর অন্যদের সাথে মানিয়ে গুছিয়ে চলার চেষ্টা করি। মানিয়ে চলা মানে এই নয় যে আমিই সব মেনে নেই, বা সিরিয়ালের ভাল মেয়ের মত অন্যায় হলেও মেনে নিয়ে সব দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেই, তবে প্রয়োজনে মানিয়ে চললে তা আমার জন্য অপমানজনক সেটা আমি মনে করি না।
কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানিয়ে চলার অর্থ অন্য আর কারোর ইচ্ছাকে সম্মান দেওয়া, অন্য কারোর সুবিধা-অসুবিধা বুঝতে পারা; সেটা করলে প্রতিদানে আমার জন্যেও একদিন কেউ না কেউ এটা করবে। আর আমি চেষ্টা করি মানুষ কেন কোন খারাপ আচরণ করলো তা বোঝার চেষ্টা করা, এতে সবাই সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, নিক… সমস্যা কী?
বুঝলে সুবিধা না দিলেই হয়! আমি ভালো, তাও আমার সাথে কেন এমন হলো, অমুক কেন আমার সাথে এটা করলো- না ভাবার চেষ্টা করি। বোঝার চেষ্টা করি সেখানে আমারও কোন উস্কানি বা বোকামি আছে কিনা… অন্যকে দোষারোপ করার চাইতে নিজের সমস্যা খুঁজে বের করা বেশি সোজা। এতে হৃদয়ে ব্যথাও কম লাগে।

সপ্তম কারণ, আমি কোন বিষয়েই এক্সট্রিমিস্ট নই। এক্সট্রিম যে কোনো কিছুই নিজের আর সবার জন্য ক্ষতিকর, বিলিভ মি, এমনকি এক্সট্রিম ভালো মানুষ যারা, তারাও জানতে বা অজান্তে অসম্ভব জ্বালাতনের সৃষ্টি করে। এক্সট্রিম না হওয়ার কারণে মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে ২/১টা কথা শেয়ার করতে পারে, সহজে কেউ এভয়েড করে না। এটা আমার মন ভালো রাখে।

সব চাইতে বড় কথা, আমি দরকার মতো সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলতে পারি। দরকারে সব ভুলে যেতে পারি। আমি ডে-ড্রিম করতে পারি। নিজের মত চিন্তা ভাবনা করতে করতে অনেক সময় কাটিয়ে দিতে পারি। আমি মন চাইলে দিনের পর দিন শুয়ে বসে কাটিয়ে দিতে পারি, আবার দরকারে দিনরাত খাটতে পারি। আমি ভাল কাজও করতে পারি, ইচ্ছা হলে খারাপও হতে পারি। আমি জানি আমি ইচ্ছা করলে সব পারি, কিন্তু আমি আমার প্রয়োজনের বাইরে যা তা ইচ্ছাও করবো না, করার দরকারবোধও করবো না। আমি ফ্লেক্সিবল থাকার চেষ্টা করি। একারণে আমার মানসিক কোনো স্ট্রেস নেই। এ জন্য আমি যখন তখন হাহাহিহি করতে পারি।
আমার পারিবারিক সূত্রে কিছু রসবোধ আছে (সবাই বলে আর কী!), তাই আমি চরম দুঃখের ঘটনার মধ্যেও হাসির একটা এলিমেন্ট পেয়ে যাই। একারণে অনেকেই আমাকে “শ্যালো থিংকার” ভাবে, ভাবুক কোন ক্ষতি নাই , গম্ভীর মুখে বসে বসে গভীর গভীর চিন্তা করে দুনিয়া যখন উলটে দিতে পারবনা, তখন হাল্কা চিন্তায় নিজেকে আর দশজনকে যদি হাসানো যায়, তাতে কম কি?? হাসি শরীরের জন্য ভাল, মনের তো বটেই… আর হাসতে পয়সা লাগে না, সবচেয়ে বড় কথা!

যারা ভাবে আমি সবদিক দিয়ে অত্যন্ত প্রিভিলেজড মানুষ তাই এগুলা বলা আমার জন্য সোজা, তারা জানে না, আমি জীবনে অনেক, অনেক জিনিস (কোন বিলাসদ্রব্য নয়, বরং কিছু অনুভূতিও) মনপ্রাণ দিয়ে চেয়েও পাই নাই; যারা আমাকে গাড়িওয়ালা বলে গালি দেয় তারা জানেনা যে আমি বাসের দরজায় ঝুলেও কত ঘুরেছি, তারা জানে না জীবনে আমাকে কতবার প্রতারিত হতে হয়েছে; তারা জানে না মেয়ে হওয়ার সুবাদে আমাকে কতবার কত রকম বিশ্রী সব অপমানের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে; তারা জানেনা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট নিয়ে যদি আমি আমার অভিজ্ঞতা লিখতে যাই তাহলে মিনিমাম ১০০০ পৃষ্ঠার একটা বই লেখা যাবে; তারা জানে না শখ পূরণ করতে গেলে আমাকে কতবার টাকার হিসাব করা লাগে, কত শত ছোট ছোট ইচ্ছেকে নিজ হাতে মেরে ফেলতে হয়; তারা জানে না সামাজিক বিভিন্ন চাহিদা আর আমার নিজের মনের ইচ্ছার মারামারিতে কতবার শেষ হতে হতেও আবার প্রথম থেকে সব কিছু শুরু করতে হয়েছে, কত রাত জেগে থাকতে হয়েছে, কত চোখের পানি ফেলতে হয়েছে! স্ট্রাগল সবার জীবনেই আছে, সবার জীবনেই সব অনুভূতি আছে, অপ্রাপ্তি আছে এবং থাকবে… মুখ গোমড়া করে রেখে এসব সমস্যা মেটানো যাবে না, সারাক্ষণ পেট ব্যাথা করে হাসলেও মেটানো যাবে না। তবে মুখ গোমড়া করে রাখলে জীবন শুধু গোমড়া মুখই দেখাবে, আর মুখে হাসি আনতে পারলে জীবনের দেওয়া পেইনগুলো উলটা পেইন খাবে- এই হচ্ছে সিক্রেট!!

এই পৃথিবীতে সুখী কে?

লেখক পরিচিতি: Consultant, Bangladesh Manabadhikar Bastobayan Shangstha ( Former officer of, a2i Project, UNDP Bangladesh)

শেয়ার করুন: