সুরাইয়া আবেদীন: আমরা যারা বিপাশা, শমী, মৌ কিংবা আফসানা মিমিদের বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে বড় হয়েছি তারা এখনকার বিজ্ঞাপনগুলোকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। খুব কম বিজ্ঞাপনই এখন ‘বক্তব্যধর্মী’।
আগের দিনের নাটক কিংবা বিজ্ঞাপন যাই বলি না কেন, তার মধ্যে একটা ভালোলাগা কাজ করতো।
একটা ‘বক্তব্য’ থাকতো সবসময় সে নাটক আর বিজ্ঞাপনগুলোতে।
সেসব বিজ্ঞাপনে নারীদের উপস্থাপন করা হতো শৈল্পিকভাবে, সম্মানের সাথে।
সফল বিজ্ঞাপন নির্মাতা তো তিনিই যিনি বিজ্ঞাপনে কি বলতে চাচ্ছেন তা তার মডেলকে দিয়ে ইতিবাচকভাবে, উইথ ডিগনিটি বলাতে পারেন।
নির্মাতার দূরদর্শিতার উপরেই বিজ্ঞাপনের মতো শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে, কিংবা তুমুলভাবে ব্যর্থ হয়।
সাম্প্রতিককালে মডেল নায়লা নাইমের ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে করা এক বিজ্ঞাপন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে খুব। ফেসবুকে যারা মোটামুটি নিয়মিত এবং নায়লা নাইমের কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা এই কাজ দেখে অবাক হয় নাই। বলা চলে, এরকম কিছুই যে তিনি করবেন বা করতে পারেন, তা অনুমিতই ছিল।
নায়লা একজন মডেল। টাকার বিনিময়ে উনি নির্মাতা যা করতে বলেছেন, করেছেন। তার উপর আমি ফোকাস করতে যতোটা না চাই, তার থেকে বেশি চাই নির্মাতার নির্বুদ্ধিতার উপর।
আমার কাছের দুইজন নারীকে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং এ সংক্রান্ত সার্জারির মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছি। আমরা যারা এ রোগের রোগীদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে গিয়েছি তারা জানি একজন নারী কিসের মধ্য দিয়ে যান!
ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পরার পর রোগীর পায়ের নিচের মাটি সরে যায়, মানসিক ধাক্কা সামলে অপারেশন করার পর শুরু হয় নতুন এক যুদ্ধ।
কেমোথেরাপি যে কী ভয়াবহ একটা প্রসেস, তা কাছ থেকে যে দেখেছেন তিনি জানেন। মুখে কোনো খাবার তুলতে পারেন না রোগী, চুল পড়ে যায়, ত্বক রুক্ষ, বিশ্রী হয়ে যায়, হাতে জোর থাকে না। ডায়রিয়া, ইনফেকশন, বমি বমি ভাব, অপুষ্টি ইত্যাদি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় রোগী নিজেকে আয়নায় দেখে চিনতে পারেন না।
মানসিক শক্তি হারিয়ে শিশুর মতো হয়ে যান।
ব্রেস্ট ক্যান্সারে উপরিউক্ত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেখানে একজন রোগী যান, সেখানে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে ঠিক কতোখানি ম্যাচুরিটির দরকার, তা কি বলে দিতে হবে?
ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো একটা বিষয় উপস্থাপনের মতো গ্রহণযোগ্যতা মডেল হিসেবে নায়লা নাইমের আছে কিনা তা একবারও এই বিজ্ঞাপনের নির্মাতা ভাবলেন না?
নায়লা নাইমের মতো ‘চটুল’, ‘হালকা’ একজন মডেল, যার কাজে ‘মেরিট’ তো খুঁজেই পাওয়া যায় না, বরং ‘যৌনতা’র রগরগে উপস্থিতি চোখে পড়ে সর্বত্র-তার মতো একজন এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপনের যোগ্যতা রাখেন কিনা তা নির্মাতা কি ভেবেছিলেন?
যৌনাবেদনময়ী একজন মডেলকে দাঁড় করিয়ে দিলেই হয় বুঝি?
মডেল এর পর এবার আসি বিজ্ঞাপনে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে কাজ করার আগে এই সংক্রান্ত কোন ডাক্তারের কাছ থেকে সাজেশন নিয়েছিলেন নির্মাতা? এ সংক্রান্ত কোনো ওয়ার্কশপ, সেমিনার কিছুতে কি এটেন্ড করেছিলেন? কিংবা সিম্পল গুগল?
‘দেখবেন, ধরবেন, চেক করবেন, তাহলেই আমরা ক্যান্সারকে বিট করতে পারবো’- বলে কী মেসেজ দিল এই বিজ্ঞাপন? এতো সহজ?
১. ‘দেখবেন’- দেখার প্রসেস কী, কোথায় কিভাবে দেখতে হবে, ক্লক ওয়াইজ মোশনে চেক করা লাম্পের জন্য, বুকের চারপাশের সাথে সাথে যে আন্ডারহ্যান্ড দেখতে হয় সেইসব ইনফো কোথায়?
২. ‘ধরবেন’- কি ধরবো? স্তনে চাকা কিংবা মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি সনাক্ত করার কথা শুনতে যতোটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে এটা সনাক্ত করা ততোটাই কঠিন। ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে শুরুতে খুঁজেই পাওয়া যায় না। পিণ্ড বড় হবার পর হাতের চাপে অনুভব করা যায় যে কিছু একটা বুকে ফর্ম করেছে… ততোদিনে ক্যান্সারের স্টেজ যে চেঞ্জ হয়ে যায় তা কি অজানা?
৩.’চেক’ করবেন- কী চেক করবো?

ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ নাই?
সেসব নায়লা নাইমের মুখে বসিয়ে দেয়া যেত না?
ম্যামোগ্রাম বলতে যে কিছু আছে তা কি নির্মাতা জানতেন? ম্যামোগ্রাম যে প্রতি ছয় মাসে একবার করতে হয়, সে কথা কি একবার অন্তত মেনশন করা যেত না?
এই বিজ্ঞাপনটি দেখে মনে হয়েছে পুরাই খেলার ছলে কিছু একটা করা হয়েছে, যতটা না ব্রেস্ট ক্যান্সার ইস্যু, তার থেকে নায়লা নাইম হচ্ছে বড় ইস্যু!
বিজ্ঞাপনের প্রচারণার কিছু লাইন এমন ছিল-
‘অনেক বলছো, নায়লা নাইম আর যাই করে ব্লাফ দেয় না!…১৫ ই অক্টোবর চেক মেইটসের পেইজে আসো, সব দেখায় দিব’…
ব্রেস্ট ক্যান্সারের মত ইস্যুর বিজ্ঞাপনের প্রচারণার ধরন এমন? তার ওপর আরও একটি বক্তব্য ছিল, একজন আরেকজনেরটা চেক করার। তো, নায়লা নাইমও একজনকে খুঁজছেন তার বুক ধরে ক্যান্সার পরীক্ষা করার জন্য, আর এজন্য মনে হয় একটা প্রতিযোগিতাও আছে। অনলাইনের ছেলেপিলেরা নিশ্চয়ই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে! ছি:।
“Only two things are infinite, the universe and human stupidity, and I’m not sure about the former.” – এ বিজ্ঞাপনের সব কিছু দেখে আমার আলবার্ট আইনস্টাইন এর এই উক্তির কথা মনে পড়ে গেল…
এ বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করি, ব্রেস্টক্যান্সার নিয়ে করা এ ‘মহা মূর্খ’ বিজ্ঞাপন উইথড্র করেন।
ব্রেস্টক্যান্সার নিয়ে ভালমতো পড়াশোনা করে, ডাক্তারের সাথে আলাপ করে গ্রহণযোগ্য কোন মডেলকে দিয়ে আবার ক্যম্পেইন শুরু করেন।
এ বিজ্ঞাপন আর যাই হোক, সমাজে ইতিবাচক কিছু আনবে না। কারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য চিন্তাশীল বা বক্তব্যধর্মী বিজ্ঞাপনের বিকল্প নেই।
খুব শীঘ্রই আপনাদের শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হোক- এ প্রত্যাশাই ব্যাক্ত করছি।
বিজ্ঞাপনটা বন্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া উচিৎ ।
As a doctor, I must say I was quite disappointed with the ad – its concept, content and the model. There was absolutely no need to present this hugely important health issue in such a vulgar way. Wish the ad maker had done some research before embarking on a project like this.
apu shob kisu next video gulu ta daya hoya apu
Get well soon appe ar kisu bolar nai
Tanver Ahamad
I DO NOT SEE ANY VULGARITY IN THERE….MAMMOGRAPHY IS NOT CHEAP AND WHAT SHE SAID THIS IS THE FIRST STEP TO ENSURE WHETHER SOMEONE HAS IT OR NOT; IF ONLY YOU FIND/FEEL SOME LUMPS IN YOUR BREAST OR EVEN CHECKING BY YOURSELF CONFUSES YOU THEN YOU GO TO DOCTORS FOR MAMMOGRAPHY. IF YOU ARE CONFUSED YOU CAN ASK YOUR HUSBAND TO HELP YOU, YOU CAN ASK YOUR MOTHER OR YOUR SISTER TO HELP YOU..YOU NEED NOT TO GO TO ANY MALE PERSON FOR THAT.
The message is about cancer, this is not a matter of joke. She is not the appropriate person for this ad. The ad is terrible in a sense that, it couldn’t visualize the devastating picture of breast cancer. Checkmate is another thing that is very controversial. She has a family or friends background. But still she is searching for checkmate. What does that mean? In most of the government hospitals there are breast clinics where breast examinations are done by health professionals and that is free. They could have focused on it.