একজন মা হিসেবে যখন আমি লজ্জিত

12304114_916472348443412_8474904762032978643_oসুপ্রীতি ধর:

না, কোনো ক্ষোভ হচ্ছে না, রাগও হচ্ছে না, অন্য সময়ের মতোন বিক্ষোভে ফেটে পড়তেও ইচ্ছে করছে না, কেবলই কষ্ট হচ্ছে। ছবিটা দেখুন, আমি নিশ্চিত, আপনাদেরও কষ্ট হবে। বুকের ভেতরে দলা পাকিয়ে উঠবে সেই কষ্ট। নাড়িতে টান পড়বে ছবিটা দেখে।

একটা বাচ্চা ছেলে আর তার বন্ধুরা এখানে যা করছে, তা নিয়ে কিছুই বলার নেই। নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি দেখার পর থেকেই। ছেলেটার প্রোফাইলে গিয়ে দেখলাম, সে যা লিখেছে ছবিটা শেয়ার করে, তা বলার মতোন ভাষা বা পড়ার মতোন কান আমার নেই। বন্ধু আতিকা রোমা ছবিটি শেয়ার করার পর থেকে কী এক বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে পুরো মন। ভয়ে ভয়ে ছেলের বন্ধুদের চেহারাগুলো দেখলাম, আমার পরিচিত কেউ নেই তো এখানে? কী হতো পরিচিত থাকলেই? আর এই যে ছেলেটা, ও কী আমার পরিচিত না? ও কী আমার ছেলে না? ও তো কোনো মা-বাবারই সন্তান। ও এই সময়ের, এই সমাজেরই সন্তান, এই রাষ্ট্রের সন্তান। তাহলে এই প্রজন্মকে আমরা কীভাবে বড় করছি?

প্রোফাইল থেকেই জানলাম, সে জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত, তার মানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সমাজের কাজ করছে সে। তাহলে এই ছবিটা? এই বাচ্চাটার নৈতিক জায়গাটা কোথায় তৈরি হচ্ছে? সে পড়ে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। স্কুল-কলেজগুলোতে এখন আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আসলে সমাজের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যখন অবক্ষয় ঘটে, তখন তার থেকে রেহাই পায় না কোনোকিছুই। এর মধ্য দিয়েই কাঁটা বেছে বেছে পথ চলতে হচ্ছে আমাদের। সন্তান মানুষ করা এক্ষেত্রে আরও কঠিন। বড় করা যায়, মানবিক ক্ষুধাগুলো তো আমরা মেটাতে পারছি না, তাই তাদের দোষ দিয়েও লাভ নেই।  

এ নিয়ে জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া গেছে। এটা আশা জাগায়। কিন্তু ছেলেটিকে ডেকে তাকে অপমান করে ফাউন্ডেশন থেকে বের করে দিলে এর সুরাহা হবে না। আমরা তো তা চাইও না। বরং এতে হিতে-বিপরীত হবে।

ও তো একা না, ওর মতো এক বিশাল প্রজন্ম আজ এভাবেই বেড়ে উঠছে। এরাই হয়তো বাসায় লক্ষ্মী ছেলেটি হয়ে থাকে, হয়তো জুম্মার দিনে জায়নামাজ নিয়ে নামাজেও যায়। মা-বাবা ভাবেন, আহা, আমাদের ছেলেটা সহি পথেই আছে। তারা হয়তো জানেও না, তাদের ছেলে বা ছেলেরা কী করছে!

আমাদেরই এক বন্ধু ছেলেটির প্রোফাইলে গিয়ে ‘নোংরা’ কভার পিকটা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সে উত্তর দিয়েছে, ‘নোংরামি আর ফান এর মধ্যে পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করুন, যদি  পারেন’। আমি ওর ঔদ্ধত্য দেখেও থ হয়ে গেছি। আমি জানি, এই বয়সটা কোনকিছু না মানারই বয়স। তাই বলে সে ‘ফান’ হিসেবে নারীর শরীরকে বেছে নেবে, তা মাটিরই হোক বা প্লাস্টিকেরই হোক। তাহলে তো রক্তমাংসের নারীর শরীর ছুঁতেও সে পিছপা হবে না।

তবে কী এভাবেই জন্ম নেয় গণধর্ষক? গণধর্ষণের খবর পড়ে আমার তো বার বারই মনে হয়, এ কী করে সম্ভব? একজনের না হয় মাথা খারাপ হয়েছে, একজন হয়তো খারাপ, তাই বলে সবাই মিলে একই সময়ে খারাপ হয় কী করে? ‘ফান’ করে? নারীকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা যায় ফান হিসেবে?  এই বয়সেই ও শিখে গেছে তা? তাহলে বাকি জীবনটা কীভাবে যাবে ওর?

একজন এই লেখার নিচে কমেন্ট করেছেন এই বলে যে, এই সেক্সুয়ালিটি আগেও ছিল, এখনও আছে। আমার লজ্জা পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও ঊনি মন্তব্য করেছেন। হয়তো বা। আমি ভাবছি ঊনার মন্তব্যটা নিয়ে। হ্যাঁ ছিল। আমাদের সময়েও এরকম ছিল, তার আগেও ছিল, হয়তো পৃথিবী সৃষ্টির সময়ও ছিল, যুগে যুগেই ছিল। হয়তো তার প্রকাশটা এরকম ছিল না বা প্রকাশ হলেও আমরা রিঅ্যাক্ট করতে জানতাম না। জানি না।

যৌনতা আমাদের জীবনেরই অংশ। একে অস্বীকার করে তো আর জীবন এগোবে না। বরং একে সঠিক চর্চার মাধ্যমেই সমাজ বিকশিত হবে। এখন কথা হচ্ছে, এই যে ছেলেরা  ‘ফান’ হিসেবে একটা স্ট্যাচুর নারী শরীর বেছে নিল এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করলো, আর বন্ধুত্বকে নারীর স্তন আর স্তনের বোঁটার সাথে তুলনা করলো, এটা কেমন হলো? এটা কী ও শুধুমাত্র বিনোদনের অভাব থেকেই করেছে? বন্ধুত্বের তুলনা দিতে হলো নারীর শরীর দিয়ে? এ কেমন শিক্ষা ওর? কেউ কী বলবেন আমাকে? একজন সাংবাদিক হিসেবে না, স্রেফ একজন ‘মা’ হিসেবে আমি জানতে চাইছি। 

আসলে সামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা আর আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতাই এর মূল কারণ। দেশে কোনো সুস্থ শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা নেই।আমাদের সময়ে কত ধরনের সংগঠন ছিল, আজ এর একটিও বেঁচে নেই, মধ্যবিত্ত সমাজ, যারা এসব সংগঠন আগলে রেখেছিল নিজেদের চর্চা দিয়ে, তারা এখন এসবের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তারাও এখন করপোরেট কালচারে প্রবেশ করেছে শ্রেণী বিন্যাসটা ঠিক রাখতে। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছি আমরা, মানে আমাদের সুস্থধারাটি। আর এর অন্যতম শিকার হচ্ছে এসব প্রজন্ম। তাই ওরা এসব ছবি তুলেই ক্ষান্ত হয় না, তা আবার পাবলিকের কাছেও তুলে ধরে। যেমন গণধর্ষণের ভিডিও চিত্র ওরা ইউটিউবে দিয়ে দেয়, তেমনি। কোথায় পার্থক্য?

তারপরও বলছি, আমরা চাই এই ছেলেটি এবং তার বন্ধুদের কাউন্সেলিং হোক। এদেরকে মানবিক শিক্ষা দেয়া হোক, সম্মান করতে শেখানো হোক, নারীকে শ্রদ্ধা করতে শেখানো হোক। কিন্তু কে করবে? কে দেবে? কে নেবে সেই উদ্যোগ?

শেয়ার করুন:

এটা পড়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। সুপ্রীতি তুমি কি কিছু শুনেছো তোমাদেরই এক বন্ধু আমাকে ব্লাক মেইল করলো এই ২-৩ দিন আগে।। আমার নামে আইডি খুলে চ্যাটিং বক্স বানিয়ে খুব অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে আমার ভাষ্য বানিয়ে চারিদিকে মিথ্যার প্রচার করে অসংখ্য হাততালি সংগ্রহ করলো। এক সময় আমি তাকে প্রায় ৭০০০ টাকা দিয়ে ছিলাম। সে হচ্ছে শামীমা নীপা। আন্দোলনের নেত্রীও বটে। সমাজ যে ক তটা নষ্ট তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। সর্টস্কিনটি সে সবার কাছেই পাঠিয়েছে। নষ্ট সমাজে নষ্ট নারীও তৈরী হয়েছে।

ওখানে নারির ন্যাংটা স্ট্যাচু কেন ? ???? !!! একটা বাঘের স্ট্যাচু থাকলে ওরা কি করতো, সর্বচ্চ একটা পোচনিয়ে ওরা ছবি তুলত তাহলে কি দাঁড়ায় ?? ওরাকি এই আলোচনায় আসত ? আসতনা…… ধরুন নারির ন্যাংটা স্ট্যাচুটা ওখানে আমি দিয়েছি, তাহলে দায়ি কে আমি না ওরা । তাহলে মানসিকতা কার খারারপ আমার না ওদের ? কবি নজরুল একটা কথা বলেছিলেন “আরে তোরা বাছুর মেরে গাভি দোয়াস” আমি কেন নারির ন্যাংটা স্ট্যাচুটা ওখানে দিলাম, আমাকেতো কেউ দোসারপ করলেন না। ছি !!! ওদের গায়ে নয়া পানি আইছে ভুলতো ওরাই করবে … বুইড়ারা না না না……

এর জন্য তো আমরাও মানে মা বাবারাও কম দায়ি নই । আমাদের সন্তানদের তথা এই সমাজের অধঃপতন রুখতে আমরা কি করেছি ? কি ভূমিকা নিয়েছি ? শারীরিক আনন্দে আত্মহারা হয়ে মা বাবা হয়েছি কিন্তু কিন্তু সন্তানকে কি ভাবে মানুষ করতে হবে সেই দায়িত্ব সম্পর্কে কতটা সচেতন আমরা ? সন্তানদের কাউন্সিলিং করার মত যোগ্যতা কি আমাদের আছে ? আমরা মা বাবারা নিজেরা কি “কাউন্সিল্ড”?

কিচ্ছু বলার নেই।
শুধু এইটুকু বলি, যখন জয়া আহসানের অভিনীত মুভিতে যৌনাঙ্গ হাতড়ানোর (সরি, এইটাকে অন্য ভাবে বলতে পারলে ভালো হত ) দৃশ্য দেখানো হল। তখন অনেকে বাহবা দিলেন। অনেকে বললেন সাহসী অভিনয়। এবং এটা নাকি শিল্প! ( যদিও আমারা সবাই জানি নিরামিষ টাইপ মুভি সবাই খায় না তাই মুভি খাওয়ানোর জন্য কিছু রগরগে দৃশ্য কিংবা আইটেম গানের ব্যাবস্থা করা হয়। যে খানে নারীর শরিলের বিকৃত উপস্থাপনই মুখ্য)
আমাদের ছেলেরা যৌন উস্কানি ত এইখান থেকেই পাচ্ছে।
জয়া আহসানের ব্যাপারাটা যদি শিল্প হয়। তবে এই ছেলের স্ট্যাটাসটাও একটা শিল্প।

লেখাগুলো সম্ভব হলে দেশের প্রতিটি রাস্তায়, গলিতে আর রাজপথে, প্রত্যেকটা পাবলিক প্লেস আর শপিংমলে ছাপিয়ে দিতে পারলে অসম্ভব ভাল লাগত।
বুকের ভেতরে একটা অদৃশ্য ফাটল বেড়েই চলেছে পোস্টটা পড়ার পর থেকে।
নিজেদের অতিমাত্রায় দুঃশাসন, ব্যভিচার, অবহেলা, অন্যের কাধে দোষ আর সংশোধনের দায় চাপিয়ে নিজেদের কপট ভাল-মানুষী আচরন, চূড়ান্ত প্রয়োজনেও চোখ, কান বুজে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পরে থাকা … এসব মিলিয়ে
একটা দেশের প্রজন্মগুলো কিভাবে ধীরে ধীরে অন্ধকার অবক্ষয়ে ডুবে যেতে পারে তার ভয়ঙ্কর একটা দলিল এই পোস্ট।

আপনার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা মা।

নারী শরীর বা ধর্ষণ করার মানসিকতা কোন দিনও এধরনে পোস্ট থেকে জন্মায় না । যারা ধর্ষণ করে তারা বিকৃত মস্তিস্ক আর কিছু নারী যারা প্রতিবাদের নামে একদলের ঘাড়ে দোষ দিয়ে ভাবেন আহা কি মহান কাজ করিলাম এটাকেই বলে ওমেন এম্পাওরমেন্ট। আর পোস্টটা নিতান্তই সাধারন সত্যি এতে কি আছে ? আর মা জাতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকাল তেনারা যা সব সিরিয়াল দেখেন সেখানে তো বাবার অবৈধ বৌয়ের ছেলের সাথে বৈধ বৌয়ের ছেলের বৌয়ের ফষ্টিনষ্টি দেখানো হই। আবার সেই বৈধ বৌয়ের অবৈধ বাবা থাকে । তার বেলা আহা কি সুন্দর সম্পর্ক ! একটা এপিসোড মিস গেলে সকালে দেখা চাই। তার বেলা মহিলা পার্টি মুখ খোলেন না । আবার ওই অবৈধ বউ বাস্তব জীবনে ৪০ টা ছেলের জীবন শেষ করে ওমেন এম্পাওরমেন্টের গ্যান মারেন আহা কি দেশ। এই জন্যই বলে আমেরিকানরা তৃতীয় বিশ্ব (ছোট লোকের দেশ)। “Boobs without nipples” ব্যাপার টা সাধারন একথাই “অকাজের জিনিস”, প্রচলিত একটা কথা । আর Boobs, vagina, penis এগুলো দেহের অঙ্গ এগুলো নিয়ে মজার কথা বললে বিকৃত মস্তিস্ক নয় যারা এর প্রতিবাদ করে তারাই বিকৃত মস্তিস্ক তারা বাস্তব জীবনে বড়ই একা । এজন্যেই এদেশে এখন মাসিক কথা বলতে মেয়েরা লজ্জা পাই দোকানে গিয়ে ন্যাপকিনের কথা বলতে পারে না। একটা মেয়ে যখন পোস্ট করে “My pussy is to hot” একটা বিড়ালের ছবি দিয়ে তখন ভাল কারন মেয়ে পোস্ট করেছে “ইয়েস, ওমেন এম্পাওরমেন্ট”। অর্থাৎ আপনার এই লেখা পরে আমার মনে হয় আপনি বলতে চাইছেন ছেলেটি “পেনিস without balls ” লিখলে আপনার গায়ে লাগত না। ছেলেটি পোস্ট দেখে ওর মার লজ্জা নয় বরং আনন্দ পাওয়া উচিত কারন বুকের দুধ ওর মা ওকে খাইয়েছে আর সত্যি তো ইফ দেয়ার ইজ নো নিপ্পলস হাও ইট ওয়াস পসিবল ? তাই সমস্ত দান তাই ওই নিপ্পলের , Be positive . নিম্ন মানসিকতা পরিত্যাগ করুন। বাচ্ছা কে দুধ খাওয়ানোর আনন্দ আর বন্ধুত্য অসাধারন তুলনা । আমার মনে হয় এমন মাও আছেন যারা স্তন কে মিলনের খনিক আনন্দের চেয়েও নিজের সন্তান বড় করতে বেশি প্রয়োজনীয় মনে করেন । “পাতিকথা লোকের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলবেন না”।

রাগটা কার উপরে ঠিক বুঝলাম না। তবে এটা বোঝা গেল একটা চাপা রাগ থেকে এই লেখাটা লেখা হয়েছে। উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপার মতন হয়ে গেল ব্যাপারটা। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অনেক অযৌক্তিক যুক্তির পশরা সাজিয়ে বক্তব্যকে দাঁড় করানোর অহেতুক অসফল চেষ্টা হয়েছে মাত্র। সমাজের অনেক অন্যায়কে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে আর একটা অন্যায়কে ডিফেন্ড করা ও সরাসরি অন্যায়কে অন্যায় বলতে না পারা আর যাই হোক বাহাদুরির পর্যায়ে পড়ে না এবং সুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে না। একজন সমাজের একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তাকে কথার মারপ্যাঁচে সমাজের অন্য আরও অন্যায়ের যে অন্যায়ের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্কই নেই সেই অন্যায়ের সমর্থক করে তুলতেই হবে নিজেকে আরও বড় সাচ্চা প্রতিবাদী হিসাবে জাহির করার জন্য, এতে আর যাই হোক নিজেকে সাচ্চা প্রতিবাদী সাব্যস্ত করা যায় না। যেমন যায় না শাক দিয়ে মাছ ঢাকা। নিজের লেখাকে মূল্যবান করে তোলার জন্য নারী-পুরুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়কে, শব্দকে শালীনতার মোড়কে অশালীন ভাবে প্রয়োগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা হয়নি আপনার বা আপনাদের। বাহাদুরের বাহাদুরির ভঙ্গিতে সিরিয়াল তৈরীর বেশ্যাবুদ্ধিজীবীদের দায় চাপিয়ে দিয়েছেন প্রতিবাদীর উপরে। বাহাদুরের বাহাদুরিই বটে!!!!!!!! যে অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্য অন্যায়কারীরা আজ নিজেদের ভুল বুঝতে সক্ষম হয়েছে, নিজেদের ভয়ংকর ক্ষমাহীন চরম ভুল সম্পর্কে আজ তারা লজ্জিত, যারা আজ তাদের মায়ের মুখোমুখি হতে গিয়ে তাদের চোখে ওই মূর্তি ভেসে উঠছে, যারা আজ লিখিতভাবে তাদের নোংরা কাজের জন্য গোটা নারী তথা মানব জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, যে বা যারা আজ এই প্রতিবাদকে তাদের ঘুমন্ত মনুষ্যত্বকে, চেতনাকে, সুস্থ মানসিকতাকে, তাদের ভয়ংকর অজ্ঞানতাকে জাগাবার হাতিয়ার মনে করে সশ্রদ্ধ চিত্তে, অনুতপ্ত হৃদয়ে গ্রহণ করেছে, এই প্রতিবাদীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে জীবনের অন্ধকার পথ থেকে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছে সেই প্রতিবাদকে, সেই প্রতিবাদীকে আপনার মনে হয়েছে ‘পাতি প্রতিবাদ আর বিকৃত মস্তিষ্ক’!!!!!!!!!!!!!!! বাঃ চমৎকার বন্ধু! চমৎকার বিশ্লেষণ!!!!!!!!!!! আপনি বা আপনারা যে অন্যায়কারীর সমর্থনে প্রতিবাদীকে উলঙ্গ করতে, প্রতিবাদীর প্রতিবাদকে লোকের সেন্টিমেন্ট জাগাবার পাতিকথা বলে অভিহিত করেছেন সেই অন্যায়কারীর সমর্থন আপনি বা আপনাদের মতন ‘আশ্চর্য জীব’ রা পাবেন তো ? এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মনে পড়ে গেল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতাঃ “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে”। আপনাদের মতন সমাজকে শুদ্ধ করার মহান পূজারীদের চেতনার জন্য ঐ অনুতপ্ত অপরাধী ছেলেটির পোষ্ট করা বয়ান ও ঐ প্রতিবাদী মায়ের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য এখানে তুলে ধরলাম।
“প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি পুরো জাতির কাছে এবং ফেসবুক হোল্ডারদের কাছে।
আরো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার শ্রদ্ধেয় নারী জাতির কাছে।
আমি জানি আমিসহ বন্ধুরা মিলেযে কাজটি করেছি তা ক্ষমার অযোগ্য।
তারপরেও আমাকে আপনাদের একজন সন্তান, আপনাদের একজন ভাই বা বন্ধু হিসেবে নিয়ে আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।
আমি জানি আমরা যে কাজটি করেছি এই জঘন্য কাজের জন্য আমাদেরকে হয়তো সন্তান, ভাই বা বন্ধু হিসেবে মেনে নিতে আপনাদের অনেক কষ্ট হবে।
তারপরেও অামরা অামাদের কৃতকর্মের ভুল অনুধাবন করতে পারায় অামরা লজ্জিত। সেই সাথে লজ্জিত অামাদের পিতা মাতা এবং আত্মীয়- স্বজন।
অামরা বুঝতে পেরেছি, মানবতার অাদালতে অাপনাদের দেওয়া সাজা। এই সাজা যে এতো কঠিন হবে তা যদি অাগে বিন্দুমাত্র উপলব্ধি করতে পারতাম, তাহলে এধরনের একটি জঘন্য কাজে জড়িত হতাম না।

অামরা কাজটি করার পর অামাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। অামরাও এখন অাপনাদের সাথে একই সুরে প্রতিবাদের সাথে একমত পোষণ করছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কাজ অামাদের বা অন্য কোন পুরুষ দ্বারা সংঘটিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকবো বলে কথা দিচ্ছি। অাবারও অাপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অাশা করি অাপনারা অামাদের এই কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করবেন। অাপনাদেরকে বিনয়ের সাথে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি”।

ছেলেটি আরও লিখেছে, “মেম, আমাদের বাবা-মা আমাদের এই ঘটনাটা নিয়ে আমাদের অনেক অপমান করেছেন। এমন কী তারা আমাদেরকে ছেলে হিসেবে বলতেও লজ্জা পাচ্ছেন। মেম, আজকে বাইরে বের হয়ে আমি মানুষকে মুখ দেখাতে পারিনি। সবাই নানান কথা বলছেন। সবার কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে গেছি। মেম, বিশ্বাস করেন, আমরা যদি জানতাম এই ছবিটা এমন প্রবলেম করবে আমরা কখনোই তা তুলতাম না। মেম, আপনি আমার মায়ের মতো। আজকে আমার মায়ের মনে যে কষ্টটা বইছে আমি আগে জানলে কখনোই এই কাজটা করতাম না। মেম, আমাদের ছবিটা দয়া করে রিমুভ করে আমাদেরকে ভুল শুধরানোর সুযোগ দিন”।

narir dehoke jara nognovabe uposthapon korlo, tader to kono ninda koren na. borong kokhono kokhono puruskrito koren , atto tripti lav koren. Jounatay sursuri dey a dhoroner nogno costume, statue jara kore tader birudhe andolon korun , likhun, somajke aderke nindha korte shikan. Dekhben narir morjada – somman rasta -ghate lutuputi khabe na. Asun nari abomanonar mul karon chinnito kori, narir abomanona dur kori.

এই বিষয় গুলু দেখে কষ্ট পাউয়া ছাড়া কি আমাদের আর কিছুই করার নেই ?? এরা কি আসমান থেকে পরে নাকি এদেরও বাবা মা আছে ? আর এই জেনারেশন কিন্তু এখন যারা বাব মা তাদেরই কর্মফল ? এখন চিন্তা করেন এদের (বর্তমান জেনারেশন ) কর্মফল মানে নেক্সট জেনারেশন এর কি অবস্থা হবে ?

“একজন মা হিসেবে যখন আমি লজ্জিত” শিরোনামের পুরো বক্তব্যটি পড়েছি। হ্যাঁ এসব ব্যপার নিয়ে আমাদের সকলের লজ্জিত হওয়া উচিত। কিন্তু আজ না হয় কোন সাজা দিয়ে ঐ ছেলেটিকে দমিয়ে দেয়া যেতে পারে। কাউন্সেলিং কিংবা সকলের উপদেশে জাগ্রত বিবেক তাকে ঐ পথ থেকে পিরিয়ে আনতে পারে। তবে তা সর্বনাশ হবার পর। ছেলেটির এ পথে আসার কারণ কী আমি আপনি নই(?)। এর দায় কী আমাদের উপর বর্তায় না(?) একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবো, আজকে যদি ঐ স্ট্যচু নগ্নভাবে স্থাপিত না হত তাহলে ঐ ছেলেটির নৈতিকতার অবক্ষয় হবার সুযোগ ছিল কী(?)। আর বলছেন আমাদের মা-বোনের মান-সম্মানের কথা, একবার ভাবুনতো! মা-বোন যাই বলেন না কেন রা্স্তায় নগ্ন চলাফেরা, কিংবা নগ্ন স্ট্যচু স্থাপনের মাধ্যমে কি আমরা তাদের মান-সম্মান বাড়াচ্ছি(?)। ঐ ছেলেদের কুপথে আনার পেছনে আমরা যারা এসমস্ত স্ট্যচু তৈরি করি কিংবা নোংরা পোষাক পড়ে রাস্তাতায় চলাফেরা করি তারা কী দায়ী নই(?) তার জন্যে আমাদেরও কী কা্উন্সেলিং এর দরকার পড়েনা(?)
আশা করি সকল প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

manobik sikkha ta ke dibe bolte paren??? ek baba ma…. dui teacher….
but ekhon teacher der label ta kothay giye nemeche????
amader somoy jantam teacher holo sikkha guru…. jake sudhu somman kora jay… kintu ekhon kar dine dekhi teacher r student er prem ohoroho colche….
coaching center gulo jeno ekekta prem er pathshala…. students teacher er upor r teacher students er upor crush khaowa….
era ki lekha pora sikhte jay naki prem korte….
r coaching er teacher er kotha ki bolbo???
era to nijei student abr onno ekjhn re ki sikhabe????
recent vikarunnesar ghotona nai ba bollam….
so ei teacher der sikkhay sikkhito students ra r ki hobe bolun????

Okarone emotional hoben na. Sexuality is part of growing up. These are young boys and it is natural for them to be curious. What matters is if they are acting on the impulses.

Dhoaa tulshi pata amra keu noi. So let’s not pretend either.

Our schools and colleges have always been this way. Notun kore niti kothar kichu nei. 1971 a Dhaka Universityr emon prochur udaharon ache.

Ma hishabe lojja pan jodi nijer chhele meye ke jounota shomporke bhalo gyan dite na paren.

Really poor writing.