সাংবাদিকতার বাইরে যখন আমরা মানুষ

Ligationউইমেন চ্যাপ্টার: গত এক মাস ধরে দেশে মূর্তিমান আতংকের মতো সহিংসতা চলছে। পেট্রোল বোমা-ককটেলে পুড়ে মরে যাচ্ছে মানুষ, সেইসাথে খান খান হয়ে ভেঙে পড়ছে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন। এক আতংকিত জনপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি। পেশাগত কারণে অন্য অনেকের মতোই সাংবাদিকরাও দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছে, বিবেক দংশনে কাটছে তাদের অধিকাংশেরই প্রতিটি মূহূর্ত। তার প্রতিফলন ঘটছে তাদের কাজে, তাদের লেখায়। সাংবাদিক মেয়েরাও আজ পেশাগত দায়িত্বের বাইরে এসে একটু নি:শ্বাস নিতে চাইছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। তারা লিখছে তাদের ভিতরের দংশনের কথা, কষ্টের কথা, প্রতিবাদের সুর অনেকের লেখায়। সবাই পরিবর্তন চায়, যে পরিবর্তন হবে ইতিবাচক, দেশকে পাল্টানোর।

কয়েকজনের কিছু স্ট্যাটাস এখানে তুলে দেয়া হলো:

ভোরের কাগজ পত্রিকার কূটনৈতিক প্রতিবেদক আঙ্গুর নাহার মন্টি: ঝলসে যাচ্ছে দেশ। পুড়ছে সাধারণ মানুষ! আর চোখ বুঝে বাঁশি বাজাচ্ছিও সাধারণ মানুষেরাই। কেন যে বুঝতে পারছি না প্রতিরোধ করতে হবে এই সাধারণ জনগণকেই। বীভৎস ও পৈশাচিক এই দগ্ধ-পোড়া রাজনৈতিক (এই জঘন্য অপরাধকে কোনক্রমেই রাজনৈতিক বলতে পারছি না যদিও) খেলায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা আজ সময়ের প্রয়োজন। আবার গণজাগরণ হোক। শাহবাগ থেকে যেমনে সারা বাংলাদেশে…সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে আওয়াজ তুলে কাঁপিয়ে দিয়েছিল ঠিক তেমনি। না হলে এই জেগে জেগে ঘুম ভাঙবে নিজেকে বার্ন ইউনিটে আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই….দেশকে অকার্যকর করার মাধ্যমে গদি দখলের লড়াই বন্ধে দায়িত্বশীল জনগণই ভরসা আজও!!

চ্যানেল আই এর সিনিয়র রিপোর্টার জান্নাতুল বাকেয়া কেকা: কী যে দারুণ স্নিগ্ধ আজকের সকাল! মিঠে সোনালী রৌদ্দুর সাথে শিরশিরে হাল্কা ঠাণ্ডা বাতাস! প্রকৃতিতে গুন গুন করছে ফাগুনের আগমনী। মন ভালো করা স্নিগ্ধ সকালে আবারো শান্তি আর সমৃদ্ধিময় ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু ভয়াল বর্তমানকে অতিক্রম করি কিভাবে? প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা, আমার তোমার নিজস্বতায় ফিরিয়ে আনো প্রকৃতির ভারসাম্য। শান্তি সুধায় ভরিয়ে তোলো এই জগৎ সংসার। ছড়িয়ে যাক আশার আলো। দূর হোক সব কালো। বিশ্বাস, আলো আসবেই। আসতেই হবে। লাখো-কোটি আমরা যে তোমা্য় অপেক্ষায় !!!!!!!!!

একা্ত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ফারহানা রহমান: প্রিয় নেত্রী, আপনার বড় সন্তান তারেক রহমান আর আমার বাবা একই বয়সের। একবার ভাবুন তো এই বয়সে তারেক রহমানের দুই সন্তান জ্বলছে সঙ্গে তারেকও। আর বাসের বাইরে বসে আপনি আহাজারি করছেন। বাতাসে ভাসছে আপনার প্রাণপ্রিয় সন্তান ও নাতনিদের মাংস পোড়া উৎকট গন্ধ। আপনি সহ্য করতে পারছেন না সেই গন্ধ।
কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম জানি না। মায়ের চিৎকারে আমার তন্দ্রা ছুটে গেলো। মা…..আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমার বায়নাতেই তোমরা আমাকে কক্সবাজার দেখাতে নিয়ে এসেছিলে….. আমি আর কোনোদিন কক্সবাজার দেখতে চাইবো না। (মৃত্যুর পর মাইশার যদি চিঠি লেখার ক্ষমতা থাকতো সে কি এই ভাষায় লিখতো? নাকি আরও কঠোর কিছু থাকত)

একাত্তর টিভির আরেক সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন মুন্নী: আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ। গণহত্যা বন্ধ করো। pls stop GENOCIDE

 

শেয়ার করুন: