এই মানুষগুলো কোন ‘গণতন্ত্র’ চায়?

Hartal Burnউইমেন চ্যাপ্টার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের একটি ওয়ার্ডে HARTAL VICTIM নামে জায়গা হয়েছে যেসব মানুষের, তাদের একজনের পরিবারের ছবি এটি। মুখে দগদগে ঘা আর সারা শরীরে ব্যান্ডেজ নিয়ে বাবাকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে ৩/৪ বছরের  মেয়েশিশুটির কান্না থামছিলই না। আর ছেলেটির বয়স ৬/৭ বছর হবে। সে হতবহ্বিল চোখে বাবার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। এ কোন বাবা তাদের? এমন বীভৎস বাবাকে তো কোনদিন দেখেনি তারা! তাদের কান্না দেখে কাতর বাবা কেবলই বলছেন, ‘তোদের জন্য কিছু কইরা যাইতে পারলাম না’। একথা বলার সময় তার চোখ দিয়ে পানি গড়াচ্ছিল বোধহয়। কিন্তু দেখতে পাচ্ছিলাম না কালো দগদগে ঘায়ের কারণে। পরম মমতায় টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে দিচ্ছেন একজন স্বজন।

এ্ই যে আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষটি, কয়েকটা দিন আগেও তিনি ভোরবেলা সবার মতো কাজের জন্য বেরুতেন। ছেলেকে- মেয়েকে আদর করে ঘর ছাড়তেন। প্রতিদিনই তাদের নানান বায়না আর আবদারে মিশে থাকতো জীবন। দিনশেষে ফিরে এসে তাদের কাছে ডেকে নিয়ে আদর করতেন। তার গলা জড়িয়ে ধরে আহ্লাদ-আব্দার করতো ছেলে-মেয়ে দুটো। কিন্তু আজ তাদের সহায় কে? এখন তারা কার কাছে যাবে?

মাননীয় রাজনীতিবিদেরা, যারা যানবাহন চালায়, বা সেগুলোতে চড়ে, তারা খুবই সাধারণ মানুষ। তাদের সংসার আছে, সন্তান আছে। তাদেরও চোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরে পড়ে। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন আপনাদের পরম আরাধ্য ‘গণতন্ত্র’ আর ‘গণতান্ত্রিক সরকার’ তারা চায় কি-না!

শেয়ার করুন: