সুপ্রীতি ধর: পবিত্র শবেবরাতের রাতে আতশবাজিকে কেন্দ্র করে পুড়িয়ে মারা হলো একই পরিবারের ৯জনসহ ১০জনকে। চোখের সামনে পুড়ে ছাইভস্ম হয়ে গেল স্ত্রী-সন্তান। কাঠ-কয়লা হয়ে যাওয়া সন্তানকে কোলে নিয়ে এক বাবার আহাজারি আমরা দেখেছি। কিন্তু দুঃখবোধ কি ছুঁয়েছে আমাদের? আমাদের এই মৃত্যু উপত্যকাময় দেশে এমন ঘটনা তো হরহামেশাই ঘটছে। আমরা দিন দিন হারাচ্ছি আমাদের বোধশক্তি। আর এই মানুষগুলোর ভবিষ্যত তো ছিলই না কখনও। তাই আমরা বলাবলি করছিলাম, কারা পুড়েছে? কারা মরেছে? বিহারিরা! ওরা আবার কে? তাই খুব একটা হা-হুতাশ, ক্ষোভ প্রকাশ পেল না আমাদের কণ্ঠে। যাও কিছু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে, তাও আবার দলবাজি, গলাবাজিতে চাপা পড়ে গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। অনেকেই বলেছে, ওদের পুড়ে মরাই উচিত, ওরা মানুষ না। আমি বুঝি না, মানুষ হয়ে মানুষকে পুড়ে মারা উচিত বলে রায় দেয় কি করে? মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কোথায়, কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, বুঝি না।
ছোটবেলায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আমরা বড় হয়েছি প্রচুর সংখ্যক বিহারি জনগোষ্ঠীর সাথে। সেসব পরিবারের ছেলেমেয়েরাই ছিল আমাদের খেলার সাথী। মনে আছে, রাস্তার একটা ধার ধরে তাদের বাড়িগুলো ছিল। মূলত মুদি দোকান, গুড়ের ব্যবসা আর লেপতোষকের ব্যবসা ছাড়াও ছিল সেলুনের ব্যবসা। হিন্দু, মুসলমান, বিহারি, উড়িয়া সবাই মিলে একসাথেই ছিল আমাদের বসবাস। ওদের সাথে একই ক্লাসে পড়া, একইসাথে খেলতে গিয়ে নিজেরাও অল্পবিস্তর উর্দুতে কথা বলতাম। বলতে না পারলেও বুঝতাম সবই। বিকেলবেলা খেলতে গিয়ে দৌড়ে যখন সাহিদাদের বাসায় গিয়ে উঠতাম, ওর মা তখন আমাদের সবার জন্যই শরবত বানিয়ে রাখতেন। ভিন্ন ভাষাভাষি বলে কোনোদিন ওদের ‘অন্যদেশি’ মনে হয়নি। পরে তো দেখেছি, মুসলমান বাঙালি অনেক ছেলেমেয়ের সাথেই বিয়ে হয়েছে এসব বিহারি পরিবারে। গত ৪২ বছরে এখন সেখানে ‘কোর বিহারি’ পরিবার খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুশকিল।
পরবর্তীতে বিবিসিতে কাজ করতে গিয়ে বিহারিদের নিয়ে একবার সিরিজ রিপোর্ট করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। বিষয় ছিল ১৯৪৭ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিহারিদের জীবন তিনটা ভাগে ভাগ করা। সাতচল্লিশে যে ধর্মীয় জাতীয়তাবোধ থেকে দেশভাগ হয়েছিল তাতে বিশ্বাস করে যে মানুষগুলো তখন মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি দেশের স্বপ্ন নিয়ে এই দেশে পাড়ি জমিয়েছিল ভারতবর্ষের বিহার থেকে, সেই মানুষগুলোর স্বপ্ন, পরবর্তী ২৪ বছরে যে মানুষগুলো বেড়ে উঠেছে পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ববঙ্গের সংস্কৃতি-আবহে, তাদের কথা, আর সবশেষে একাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশে জন্ম নেয়া বিহারি প্রজন্মের কথা।
প্রাচীন মানুষ খুঁজতে আমাকে সেই সৈয়দপুর তখন যেতে হয়েছিল। ৯৪ বছর বয়সী একজন লোক কী নির্বিকার চিত্তে বলে গিয়েছিলেন আমাকে, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে একদিন এই দেশে মোহাজির হয়ে হিজরত করতে এসেছিলাম, আর চাই না কোথাও যেতে, এখানেই আমাকে মাটি দেয়া হোক’। ভিড় করেছিলেন অনেকেই। সবার কথা ছিল এক। ‘বাপ-দাদা একটা স্বপ্ন নিয়ে এদেশে এসেছিলেন, সেটা ভুল স্বপ্ন ছিল। আমরা সেই ভুলের মাশুল আর দিতে চাই না, আমরা এইদেশেই থাকতে চাই।’ আমার যাওয়া উপলক্ষে সৈয়দপুরের বিহারিদের বাড়িতে উৎসব বয়ে গিয়েছিল। রান্না হয়েছিল খাসীর বিরিয়ানি, চপসহ নানা সুস্বাদু খাবার। সবাই মিলে খাটের ওপর বাড়তি চাদর পেতে আমরা খেয়েছিলাম সেদিন। রান্নাঘর সামলাচ্ছিলেন যে আপা, ভিতর থেকে উঁকি মারছিলেন বার বার। সখ্যতা গড়ে উঠেছিল তার সাথেও। রন্ধনপ্রণালী নিয়ে মনে আছে অনেক কথা হয়েছিল তার সাথে। কী সুন্দর জ্বলজ্বলে মুখখানি তার! একেবারে ছোটবেলায় দেখা সাহিদার মায়ের মতোন সুন্দরী।
সৈয়দপুরের বিহারি ক্যাম্পের মানুষগুলোর অবর্ণনীয় কষ্টও চোখ এড়ায়নি। কেন যে এত বছর পরও ক্যাম্পের দুর্দশায় নিজেদের জিইয়ে রাখা, মাথায় ঢোকে না। ঢাকায় এসে মিরপুরের ক্যাম্পে যাই, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে যাই, রংপুর থেকে ফেরার পথে বগুড়াতেও ঢুঁ মারি। ঘটনা একই। জেনেভা ক্যাম্পে কথা হয় ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ বলে পরিচয় দেয়াদের নেতার সাথে। বেশ ভারী চেহারা। পান খান অনবরত। এসে বললেন, ‘এটা কিছুতেই আমার দেশ না, আমার দেশ ওই পাকিস্তান। আমরা তো পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই আছি, চলেও যাবো’। তার কথায় মাথা নাড়েন আরও কয়েকজন। কিন্তু যে ছেলেটি আমাকে গাইড করে এখানে নিয়ে এসেছিল, তার মুখ ততক্ষণে চুন হয়ে গেছে। সে পরে আমাকে জানায়, উনাদের আত্মীয়-স্বজন সবাই পাকিস্তানে থাকে। একা উনি মাঝে মাঝে আসেন, অনেক টাকা তার। ক্যাম্পের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলি।
ওরা আমাকে ঘুরিয়ে দেখান, ‘কী অসহনীয়, অবর্ণনীয় পরিবেশে তারা থাকেন। নেতারা তো বাইরে থাকেন, আরামে থাকেন। তাদের নিয়ে রাজনীতি করেন। তাদের বাঁচিয়ে রাখলে নেতাদেরই লাভ।’
একটা ছেলে আমাকে বলে, বাইরে খেলতে গেলে পাড়ার ছেলেরা ‘মাউরা’ বলে গালি দেয়। মনে পড়ে যায়, আমাদের ছোটবেলায় আমাদের ‘মালু’ বলা হত। সংখ্যালঘুদের কষ্ট মনে হয় কখনও মোছার নয়। হাত বাড়িয়ে ছোঁয়া যায় এসব কষ্ট, শুধু শাসকদের মন পর্যন্ত পৌঁছায় না। মিরপুরে ক্যাম্প জুড়ে বেনারসির তাঁত। ঘরে ঘরে তাঁতের শব্দ, কোথাও কোথাও গান বাজছে। গানের তালে তালে ওরা তাঁত বুনছে। ভেসে আসছে, ‘একবার যেতে দে না, আমার ছোট্ট সোনার গাঁ’ গানটি। বাংলা গান, শুনেই প্রাণ ভরে যায়। ওই তরুণদের সাথে কথা হয়। ওরা এই প্রজন্মের। বলে, রাজনীতি বুঝি না, জানি শুধু কাজ করে খেতে হবে। এই কাজটিই শিখেছি। তবে লেখাপড়ার সুযোগ পেলে, ভালো থাকার সুযোগ পেলে ভালো লাগত।
ওই ক্যাম্পেই একজন বৃদ্ধের সাথে কথা হয়। তিনি নিজেকে আমিনবাজারের আমিন সাহেবের ‘বাঙালি জামাই’ বলে পরিচয় দেন। বলছিলেন, বিহারি-বাঙালি হওয়ার কারণে একাত্তরে বিহারিরাও তাকে মেরেছে, বাঙালিরাও মেরেছে।
তবে ভালো কথা বলেছে এই প্রজন্মের ছেলেরা। ওরা দশজন মিলে রিট করে নাগরিকত্ব আদায় করে নিয়েছে। ওদেরই একজন আমায় বলেছিল, ‘জন্মের পর যে দেশটাকে দেখেছি, সেটিই আমার দেশ। তিন হাজার কিলোমিটার দূরের কোনো দেশ আমার হতে পারে না। তাছাড়া পাকিস্তান একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র। অর্থনৈতিক প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন আছে, পাকিস্তান কেন যাব। আর আমাদের পূর্বপুরুষদের ভুলের মাশুল আমরা কেন দেবো?’ এই ছেলেগুলো আরও বলেছিল, ‘বাংলাদেশই তো হতে পারে সব জাতিসত্ত্বা আর ভাষাভাষিদের একটা দেশ’। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম সেকথা। ওরা এখন উর্দু-বাংলা সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত, প্রায়ই নিমন্ত্রণ করে আমায়। মাঝে-মধ্যে গিয়ে ওদের রোমান্টিক ভাষায় শায়েরি শুনে আসতাম, এখন ব্যস্ততার কারণে তা আর হয় না।
এটা ঠিক যে, একাত্তরে বেশিরভাগ বিহারির ভূমিকাই ছিল বিতর্কিত। রাজাকার, আল বদর, আল শামসের খাতায় নাম লিখিয়েছে অনেকেই। তবে অনেক বাঙালিও তো একই কাজ করেছে। আবার সব বিহারিই বিরোধিতা করেনি। অনেক ভালো বিহারি ছিলেন, যারা যুদ্ধে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেন না; ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বিহারিরা বরং আমাদের আশ্রয়দাতা হয়েছিলেন। গাবদুল কাকার কথা এখনও মনে পড়ে, কী ভালোবাসাই না ছিল। একাত্তরে আমার বাবাকে পাকিস্তানি বাহিনী ধরে নিয়ে গেছিল, আর ফেরেননি। তাই ছোটবেলায় প্রায়ই উনি আমাকে কাছে ডেকে এটা-সেটা দিতেন, আর গালটা তুলে জিজ্ঞাসা করতেন, বাবার জন্য কষ্ট হয়? উনি আমাকে ‘বাবা’ ডাকতে বলেছিলেন। বাবা বলে না ডাকলেও, জীবনেও ভুলব না তার ভালোবাসার কথা। সাহিদাকে আর আমাকে কোনোদিন তিনি আলাদা করে দেখেননি।
ক্যাম্পের অনেকেই স্বীকার করেছেন যে, একাত্তরে তারা দোটানায় পড়ে গিয়েছিলেন। যে মুসলিম রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে একবার দেশ ছেড়েছিলেন, সেই রাষ্ট্রের অস্তিত্বই যখন প্রশ্নের সম্মুখীন, তারা বুঝতে পারছিলেন না, কোনদিকে যাবেন? তাছাড়া, গত ২৪ বছরে তারা দেখেছেন, মুসলমান বলে এইদেশে তাদের আনা হলেও, এখানকার ভাষা আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা, এরা যত না মুসলমান, তার চেয়েও বেশি বাঙালি। রাজনীতির নামে তাদের আবারও ধোঁকা দেয়া হয়েছে, এটাই তারা অনুভব করছিলেন। আর তাদের বোঝানো হচ্ছিল যে, দেশটা আবার ভারত হয়ে যাবে, হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে যাবে। তাই তারা কোনোরকম পিছুটান না রেখেই পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলেন। ভাষাও একটি ফ্যাক্টর ছিল।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতের বিহার থেকে মুসলমান রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে পূর্ব পাকিস্তানে চলে এসেছিল দশ লাখ বিহারি মুসলমান। যে পাকিস্তানের জন্য জীবনবাজি রেখে চোখ বন্ধ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অন্যায় কাজে, সেই পাকিস্তান তাদের দিকে ফিরে তাকায়নি। এত বছর পরও তারা শরণার্থী ক্যাম্পে পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে ক্যাম্পের ওই জীবন কল্পনা করাও সম্ভব না। যারাই গেছেন সেই ক্যাম্পে, তারাই জানেন আট ফুট বাই দশ ফুট ঘরের মধ্যে গাদাগাদি করে আর নোংরা পরিবেশে মানুষ কি করে পশুর জীবন যাপন করে! অথচ এই বিহারিদের নিয়ে কম রাজনীতি হলো না সব আমলেই। তাদেরকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে চুক্তি হয়েছিল বার বার। প্রতিবারই পাকিস্তানের শাসকেরা তাদের ফিরিয়ে নেবেন বলে কথা দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কথা রাখেননি কেউই।
নওয়াজ শরিফ এখন তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার সাথে কথা বলতে পারেন, ইনিয়ে-বিনিয়ে বাধ্যও করা যায়। মানুষের ব্যাপার তো! কতদিন এই মানুষগুলো রাষ্ট্রবিহীন অবস্থায় থাকবে? সেদিন কোথায় যেন পড়ছিলাম যে, মৃত শিশুটিকে যখন পরপারে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমার দেশ কোনটি, সে বলতে পারবে না, তার মাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হবে, সেও বলতে পারবে না। এভাবে না বলতে পারার কষ্টটা তো সেই বোঝে, যে দেশহীন দেশে থাকে। যে জানে এটা তার দেশ নয়, এখানে তার কোনো অধিকার নেই। আসলে ওরা কোনো দেশেরই নাগরিক নয়। ওরা পাকিস্তানের নাগরিক নয়, ওরা ভারতের বা বাংলাদেশের নাগরিকও নয়। ওরা অনেকটা ফিলিস্তিনিদের মতো। যারা চিরকাল শরণার্থী ক্যাম্পেই কাটিয়ে যাচ্ছে।
এরকম দেশহীন, রাষ্ট্রহীন বিহারিদের পাশে আমরা কি দাঁড়াবো? কিভাবেই বা দাঁড়াবো? কেউ কেউ বলে, বিহারিদের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। পাকিস্তান যদি এবারও না নেয় ওদের, তাহলে তো বাংলাদেশকেই শেষপর্যন্ত আপন করে নিতে হবে। তসলিমা নাসরিনের ভাষায় বলতে হয়, “যে দেশটায় তারা অর্ধ শতাব্দীরও বেশি হলো বাস করছে, সেই দেশটাই তাদের বরণ করে নিক, ক্ষমাঘেন্না করে নতুন জীবনযাপনের সুযোগ দিক, তাদের নাগরিক করুক। অন্ধকারে ওই গলিগুলোয় পড়ে থাকলে ধর্ম, কুসংস্কার, অবিজ্ঞান আর অশিক্ষা খেতে থাকে আপাদমস্তক। বাংলাদেশই দেখাক মহত্ত্ব। মানুষগুলোর দুঃসহ দেশহীন, বাস্তুহীন জীবনের ইতি ঘটুক। লেখাপড়া করার, চাকরি-বাকরি করার, দারিদ্র্য ঘোচাবার, ব্যাংক একাউন্ট খোলার, ভোটের অধিকারের, মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ পাক। পৃথিবীর ধনী এবং বড় দেশগুলো ক্ষুদ্র দরিদ্র বাংলাদেশের কাছ থেকে মানবিকতা শিখুক।”
আমরা বাঙালিরা চাইলেই ওদের নিজেদের ভাবতে পারি। শবেবরাতের রাতে যেদিন মানুষের ধর্ম পালনের কথা, সেদিন কোন ধর্মের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হলো? কেউ কি শুধুমাত্র আতশবাজির সূত্র ধরেই পুড়িয়ে মেরেছে, নাকি জায়গা দখলের নিমিত্তে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা বলা মুশকিল। তবে চাইলেই এই মৃত্যু এড়ানো যেত। যেমন যেতো রামু আর সাঁথিয়া বা হোমনার ঘটনাও আটকাতে। আসলে সবই নির্ভর করছে, আমরা চাই কিনা! আর এই আমরা হচ্ছে ‘ক্ষমতা’।
সুপ্রীতি ধর: সম্পাদক, উইমেন চ্যাপ্টার (লেখাটি বাংলা ট্রিবিউন থেকে নেয়া, ঈষৎ সংশোধিত)