নাহিদ দীপা: কোস্টারিকা। স্প্যানিশ ভাষায় এই দেশটির নামের বাংলা মানে হলো, উর্বর উপকূল। দেশটির ২৬ বছর সময় লেগেছে স্পেন, মেক্সিকো আর আমেরিকার কলোনি থেকে মুক্ত হতে। এরপর থেকে দেশটি কেবল অবাকই করেছে বিশ্ববাসীকে। এতদিন জানতাম না আমিও। আজ ব্রাজিল ফুটবল বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে খেলা দেখতে দেখতে চোখ বুলাচ্ছিলাম দেশটির ইতিহাসে।
যে দেশটি ২৬ বছরে রাহুমুক্ত হয়েছে, সে দেশটি কিনা, ফুটবলের প্রতি অপার ভালবাসার জোরেই, ২৪ বছরের সাধনায় জায়গা পেয়েছে ফুটবলের বিশ্ব আসরের শেষ ১৬ তে উঠতে! তাও আবার বরাবরের মতো ডেথ গ্রুপ মানে মৃত্যুকূপের তিন মহিষাসুরকে টপকে!
কোস্টারিকা কতদূর যাবে এবার, সে নির্ধারণের ভার ভবিষ্যৎবাণী করা হাতি বা কচ্ছপের উপর ছেড়ে দিলাম। আসর শুরুর আগে, গ্রুপের চার দলের মধ্যে ইংল্যান্ড আর ইতালির পাল্লা ছিল সমানে সমান। পরেই উরুগুয়ে। আর ছাগলের চার নম্বর বাচ্চা বলে বাংলায় যে প্রবাদ আছে, সে জায়গায় কোস্টারিকা। হবে নাই বা কেন! চার দলের বাকি তিনটাই যে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!
তবে ফুটবলের বিশ্ব আসরের অভিধানে ‘আন্ডার ডগ’ বলে যে কোন শব্দ থাকতে নেই, প্রথম খেলায় উরুগুয়ে আর পরের খেলায় ইতালিকে হারিয়ে, সে কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করে দিল কোস্টারিকা।
গ্রুপের খেলা শেষ হয়নি এখনো। তবে এরই মধ্যে লন্ডনের ফিরতি টিকেট কেটে ফেলেছে ইংল্যান্ড। অপর দুই দল ইতালি আর উরুগুয়ে টিকে আছে সমীকরণের উপর। কোন সাবেক চ্যাম্পিয়নকে লোটাকম্বল গোছাতে হবে, সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৪ শে জুন পর্যন্ত। একই দিনে বিস্ময় জাগানিয়া, এবারের আসরের তুরুপের তাস মাঠে নামবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে, বাজি ধরতে পারেন ইংরেজদের নিয়ে। তবে এবারের আসরের অঘটন ঘটন পটীয়সী, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী, পৃথিবীর সবচেয়ে সবুজ দেশ বলে খ্যাত, মধ্য আমেরিকার দেশটির ফুটবল খেলোয়াড়দের কীর্তির কথা জানা থাকলে, বাজিটা একটু বুঝে শুনেই ধরতে হবে বৈকি!