‘অ্যাডোলেসেন্স’ মুভি – আমাদের পরিপার্শ্ব ও পুরুষতন্ত্রের অন্যতম পাঠ

শতাব্দী দাশ:

এযাবৎ কালের মধ্যে দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ ওয়েব সিরিজ – অ্যাডোলেসেন্স। ‘পুরুষ হওয়ার পাঠ’ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিখেছি। বিষয়টি এই উচ্চ মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার হৃদয়ের কাছাকাছি। যা যা লিখেছি, তা চোখে দেখা: কোমল ছেলেদের পুরুষ রোবট হয়ে ওঠা। সে কারণে এই ওয়েব সিরিজটির সঙ্গে আইডেন্টিফাই করা যাচ্ছিল। বাকি থাকে ট্রিটমেন্ট। অনবদ্য তা।

ধর্ষকের ফাঁসি যখন চায় রাষ্ট্র এবং প্রতিশোধপ্রিয় দেশবাসী, তখন কারা কারা তার বিরোধিতা করেন? প্রথমত, মানবাধিকার কর্মী— সব মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারে যাঁরা বিশ্বাসী। আরেকদল চান না রাষ্ট্রের হাতে খুনটা হোক, কিন্তু তাঁরা গণ-আদালত মানেন এবং ‘গণ আদালতেও’ হিংসাই সমাধান। কিন্তু একজন লিঙ্গ-অধিকার কর্মী এই চূড়ান্ত পরিণতির বিরোধিতা করেন, কারণ তিনি নির্যাতকের অপরায়ন-এর বিরোধী। যে বয়ঃসন্ধিকালীন বালক স্কুলের সিনিয়রকে ‘সুপারি’ দিয়েছিল নিজের সহপাঠিনীকে ধর্ষণ করার, তাকেও কি রাষ্ট্র ফাঁসি দেবে? কৈশোর-যৌবন জুড়ে মুখহীন যত হাত কিলবিল করেছে মেয়েদের শরীরে, সব কর্তন করতে হলে আসলে অজস্র লোহিত সাগর তৈরি হবে। পাড়ার রোয়াক থেকে চায়ের ঠেক, পুরুষপ্রধান কর্মস্থল থেকে বাস-ট্রাম— সবখানেই যৌনতার ক্ষেত্রে সামাজিক ভাবে স্বীকৃত ও স্পষ্টভাবে লিঙ্গভিত্তিক এক ভোক্তা/ ভোগ্য সমীকরণ আছে। সমাজমাধ্যমে দেখি, বাংলাদেশের কিশোরীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, পৃথিবী পুরুষশূন্য হলে সে কী করবে, সে বলে, ‘রাতের শহর দেখব।’ শহরের প্রতিটি পুরুষকে কি সে ধর্ষক ভাবে? হয়ত সচেতনে না। কিন্তু অবচেতনে সে জানে, তেমন তেমন পরিবেশ পেলে কার কার দাঁত নখ যে বেরিয়ে আসবে, তা সহজে অনুমেয় নয়। তাহলে কী লাভ এক-আধজনকে ফাঁসি দিয়ে? শাস্তি প্রয়োজন, কিন্তু তারও সীমাবদ্ধতা আছে।

পৃথিবী পুরুষের, তা ম্যানোস্ফিয়ার ছিল চিরকালই, কিন্তু অধুনা আন্তর্জালিক ম্যানোস্ফিয়ার আরও আগ্রাসী। টক্সিক ম্যাসকুলিনিটির মান্য রূপগুলি আগে বাহিত হত পরিবার ও পাড়াতুতো কাকা-মামা-জেঠা-বাবাদের থেকে হবু পুরুষদের মধ্যে। আর তার আপাতগোপন রূপগুলি— পর্ন, স্ল্যাং, নেশাসক্তি বা বেশ্যালয়ে গমন, এগুলিতে হাতেখড়ি করাত বন্ধু এবং জ্ঞাতিগত বা পাড়াতুতো দাদারা। কিন্তু এখন ভারতবর্ষের হবু পুরুষ সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে ম্যানহাটনের পৌরুষমূর্তির সঙ্গে। শিখতে পারে নারীদ্বেষের নিত্যনতুন ভাষা ও পন্থা। মেয়েদেরও বাস একই আন্তর্জালিক দুনিয়ায়। তারা মূলত ভুক্তভোগী, কিন্তু কেমন তাদের পালটা প্রতিরোধের ভাষা? তাও কি পৌরুষমণ্ডিত নয়? শেষত, হিংসা বিষয়টাই কি এক চিরন্তন ‘পুরুষালি’ প্রকাশভঙ্গি নয়? হিংস্র যে, সে কি আসলেই কঠোর? নাকি পুরুষাঙ্গের মতো নরম ও ভঙ্গুর, কঠোরতা যার ‘পারফর্ম্যান্সের’ অঙ্গ? এইসব প্রসঙ্গিক প্রশ্ন উসকে দিয়ে গান বেজে চলে ‘অ্যাডোলেসেন্ট’ নামক সিরিজে, যখন এইমাত্র-এক-ছেলেকে-মেরে-শুইয়ে- দেওয়া জেড নামের এক আগ্রাসী মেয়েকে ক্যামেরা ধরে, তারপর ড্রোনে লং শট নিতে নিতে উড়ে যায় জেড-এর প্রিয় বান্ধবী কেটির স্মরণস্থলে, আর সেখানে মৃতার উদ্দেশ্যে ফুল নিবেদন করেন হন্তার পিতা। গান বাজে:
‘বৃষ্টি ঝরে চলবেই অবিরত,
তারার অশ্রু, তারার অশ্রু জানি,
শুধাবে গোপন ভঙ্গুরতার কথা,
ঠুনকো, পলকা আমি-তুমি কতখানি।’

এ এমন এক ছবি যা সমাজচিত্র হতে গিয়ে শিল্প হতে ভোলেনি এবং ভাইসি-ভার্সা। এক এক লম্বা শটে এক এপিসোড টেনে দেওয়া—শৈল্পিক পাগলামি না হলে কী? নাটকের মতো, ‘কাট’ নেই— দর্শকের স্বস্তি নেওয়ার, দম ফেলার জায়গাও নেই। ‘অ্যাডোলেসেন্স’ আপাতভাবে বয়ঃসন্ধির চোরাগলিতে ছেলেদের হারিয়ে যাওয়ার গল্প। কিন্তু তা বড়দেরও ভাবতে বাধ্য করে, কোথায় ভুল হয়ে যাচ্ছে? এককালে সন্তান বাড়ির বাইরে বেরোলে বাবা-মা উদ্‌বিগ্ন হতেন। এখন, কেটির হত্যাকারী, তারই সহপাঠী ছেলে জেমির মা বলেন, বাড়িতেই হয়তো সে কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে। অথচ অভিভাবকের জানার উপায় নেই, সে তলিয়ে যাচ্ছে অন্তর্জালের কোন ব্ল্যাকহোলে! আবার লিঙ্গনির্বিশেষে বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলেমেয়ের মধ্যেই যে হিংসা, যে বুলিং-এর প্রবণতা, যে অস্থিরতা ও ধৈর্যহীনতা ছবিতে দেখি, তার সঙ্গে চারপাশের মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। মা-বাবাকে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দী করে ‘চিল্‌’ করে এসেছিল কলকাতার বিখ্যাত স্কুলের এক মেয়ে। বন্দী করা হয়েছিল শাস্তি-স্বরূপ, কারণ বাবা-মা ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন। শহর কলকাতার পাড়ায়-বেপাড়ায় কান পাতলে বাবা-মায়ের সঙ্গে হাতাহাতির খবরও পাওয়া যায় ‘ফোন কেড়ে নেওয়া’-কে কেন্দ্র করে। মফস্বলের এক ক্লাস সেভেন আবার সহপাঠী ও সহপাঠিনীদের যেখানে-সেখানে ছুঁয়ে দিয়ে আনন্দ পায়৷ পুরুষ সহপাঠীদের সে জানায় নানা গোপন ইউটিউব চ্যানেল আর গোপন গ্রুপের নাম। প্রতিবাদ করলে বলে, ‘নইলে বড় হবি কী করে?’ আরেক মফস্বলের ছেলে এগারো ক্লাসে উঠে কলকাতার স্কুলে পড়তে এসেছে, ঢুকেছে এক ‘দাদাদের’ ইনস্টা গ্রুপে— যেখানে তার নতুন স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্ররা আছে। ক্রমে তার মুখে দুটি শব্দ ধ্বনিত হতে থাকে বারবার, ‘মানি’ আর ‘পাওয়ার’ —এই দুটি যার নেই, সে নাকি ‘পুরুষই’ নয়। এ’সব নজির কাছেপিঠেই আছে। শুধু নারীবিদ্বেষে তাহলে পৌরুষের বিস্তার সীমাবদ্ধ নয়!

ওয়েব সিরিজটির চারটি অধ্যায় চার দানবীয় দায়ভার কাঁধে নিয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে জেমি নামক এক তের বছরের ছেলেকে তারই সহপাঠিনী কেটিকে খুনের দায়ে ধরা হয় এবং আমাদের প্রাথমিক অবিশ্বাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ডিটেক্টিভ ইনস্পেক্টর বেসকম্ব সেই পর্বেই প্রকাশ করেন রাস্তার সিসি ক্যামেরা থেকে নেওয়া সেই ভিডিও, যেখানে জেমিকে কিচেন নাইফ দিয়ে কেটিকে কোপাতে দেখা যাচ্ছে৷ দ্বিতীয় অধ্যায়ে পুলিস কর্মীরা স্কুলে হাতড়ে বেড়ান ‘মোটিভ।’ কেন এ নিষ্ঠুরতা? জেমির বন্ধু রায়ানের সঙ্গে ভাব করতে গিয়ে তার আকুল আর্তি শোনেন বেসকম্ব, ‘আপনি কি ছোটবেলায় মেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন?’ প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে জেড নামক বালিকার ক্রোধও দেখেন। কিন্তু মোটিভ খুঁজে পান না ততক্ষণ, যতক্ষণ বেসকম্বেরই স্কুলপড়ুয়া ছেলে তাঁদের সাহায্য করে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ভাষা ‘ডিকোড’ করতে। জানতে পারি, অভিভাবকদের দৃষ্টি এড়াতে বয়ঃসন্ধি এখন নিজস্ব ভাষায় কথা বলে বিশ্বজুড়ে, কিছু ইমোটিকন আর কিন্তু অ্যালফাবেট মিলিয়ে যে ভাষা তৈরি হয়েছে। ভাষাই তো যোগাযোগের মাধ্যম! কোন ভাষায় তাহলে আমরা আপন সন্তানকে নীতি বা মূল্যবোধ শেখাব, তাদের ভাষাই যদি আমাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের দেয় তাদের দুনিয়া থেকে? তৃতীয় অধ্যায়ে জেমি মনোবিদের মুখোমুখি। নারী মনোবিদ যুঝছেন তার মনের তল পেতে। একই সঙ্গে তাঁর নিজের মধ্যেও লড়াই চলছে, লড়াই তাঁর মনোবিদ সত্তা ও নারীসত্তার ভিতর। তিনি আবিষ্কার করছেন, কুশ্রীতাবোধ ও তজ্জনিত হীনমন্যতা। জানছেন যৌন প্রতিযোগিতা আর তা থেকে উদ্ভূত ‘ইনসেল’ সংস্কৃতি সম্পর্কে—যা ছেলেদের ভাবায়, ৮০% মেয়েই ২০% ছেলেদের দিকে ছোটে। নারীশূন্যতায় ভোগে বাকিরা৷

মনে পড়ে, দিল্লি গ্যাং রেপের প্রধান অপরাধী বলেছিল, ছেলেটা মেয়েটার গায়ে ঢলে পড়তে পারছিল, এতেই তার মাথা গরম হয়েছিল। ইনসেল কালচার আর ধর্মীয় উন্মাদনার সংশ্লেষেই আমাদের দেশে সৃষ্টি হয় ‘লাভ জিহাদ’ তত্ত্ব। তার নারী হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে ভেবে হিন্দু যুবক বিধর্মীকে খুন করে। কিন্তু যে পুরুষ নারীকে পেল, সে-ই বা তাকে কী চোখে দেখে? কেটির প্রেমিকও তার নগ্ন উর্ধ্বাংগের ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিল অন্য ছেলেদের মধ্যে। যৌন অপ্রাপ্তি তাই নারীবিদ্বেষের একমাত্র কারণ নয়। জেমি বলে, কেটির বুক ছোট, তাই সে ভেবেছিল, সে অন্তত কুশ্রী ছেলেকে ‘না’ বলবে না৷ পুরুষচোখে যে যত কম লোভনীয়, তার ‘না’ বলার অধিকার তত কম। কনসেন্টের ধারণাও যেন পিতৃতন্ত্রই নিয়ন্ত্রণ করবে! আর কেটি? সে শুধু প্রত্যাখ্যান করেনি, ‘ইনসেল’ বা অক্ষম বলে জেমির প্রতি ছুঁড়েছিল মস্করাও। পিতৃতন্ত্রের ঊর্ধ্বে তার পক্ষেও ওঠা সম্ভব হয়নি।

উন্মোচনের এত ধকলের পর যখন দর্শক ভাবেন, এর থেকে গভীর, নিবিড় কিছু সহ্য করা যায় না, তখনও চতুর্থ পর্ব বাকি থাকে। এখানে জেমি নেই, একটি মাত্র ভয়েস ওভার ছাড়া। আছে তার সামাজিক ভাবে পরিত্যক্ত পরিবার। তারা স্বাভাবিকভাবে বাঁচার চেষ্টা করছে, কিন্তু বাধা পাচ্ছে কূট মস্করা বা অপাংক্তেয় অনুসন্ধিৎসায়। এমনকি হার্ডওয়ারের দোকানের যে ছেলেটি জেমির প্রতি সহানুভূতিশীল, তার চরম নারীবিদ্বেষও তার বাবাকে অস্বস্তিতেই ফেলে। সেও কি আরেক জেমি হয়ে উঠতে পারে না? টেলিফোনে জেমি জানায়, সে অপরাধ স্বীকার করতে চায়। মা-বাবা যখন ভাবার চেষ্টা করেন, কোথায় ভুল হয়ে গেল, তখন আমাদেরও আত্ম-অনুসন্ধানের পালা। তৃতীয় অধ্যায়ে যখন মনোবিদ জেমিকে প্রশ্ন করছিলেন, তার বাবা বা ঠাকুরদা কেমন মানুষ ছিলেন ও আদর্শ পৌরুষ বলতে সে কী বোঝে, তখন সে যে কেন বারবার তার বাবাকে আড়াল করার চেষ্টা করছিল, তা বোঝা যায়। বাবা ‘অস্বাভাবিক’ নন একেবারেই৷ তিনি মাঝে মাঝে রেগে যেতেন, কিন্তু কে না যায়? তিনি চাইতেন জেমি খেলোয়াড় হোক, কিন্তু সেও কি অপরাধ? তাঁদের পরিবারে মা-ই বেশি স্থিতধী, সমাজনির্মিত লিঙ্গভূমিকা মেনেই সবাই চলে— কিন্তু সেটাই বা কটা বাড়িতে হয় না? এসব সত্ত্বেও বাবা মায়ের প্রতি নিবেদিত, সন্তানেরা তাঁর প্রাণপ্রিয়। ‘নির্যাতকের পরিবার’ সম্পর্কে আমরা যে কোনো সরল সমীকরণ কষে ফেলব, তা হতে দেয় না চতুর্থ অধ্যায়। তা আমাদের বোঝায়, বিষ যদি কিছু থাকে, তা আমাদের ‘স্বাভাবিক’ যাপনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে। যে বাতাসে আমরা শ্বাস নিই আর রঙিন ফানুস ওড়াই, যে সংস্কৃতি আমরা বাঁচি, হিংসা আর বিষাক্ত পৌরুষের বিষ তার মধ্যেই লুকিয়ে-চুরিয়ে আছে শতরূপে, সব লিঙ্গের মানুষের আচরণেই। জনমোহী সংস্কৃতি অনুযায়ী যা ‘নায়োকচিত’, যেমন ‘অপরাধীকে’ খুন করা, (জেমি বারবার বলেছিল, সে কোনো ভুল করেনি, কারণ কেটি তার চোখে অপরাধী), বা তথাকথিত ‘ইভটিজিং’, স্টকিং (যেমন হিরো-রা করে থাকে ছায়াছবিতে) — আর যা অপরাধ (অভিযোগ করা হলে এর প্রতিটাই আসলে আপরাধ), তার মধ্যে কেবল একটা পাতলা পর্দার ব্যবধান। সে পর্দা যখন-তখন উড়ে যেতে পারে। অপরায়নের বিন্দুমাত্র অবকাশ না রাখাতেই এই ছবি জিতে চায়।

পরিবারের জ্যেষ্ঠা কন্যা যখন বলে, সে শত অপমান সত্ত্বেও শহর ছেড়ে যাবে না, কারণ জেমি যে তার ভাই, তা কখনও মিথ্যা হয়ে যাবে না (আর সে তা অস্বীকার করতেও চায় না), তখন আমাদেরও কি ইচ্ছে করে না, ধর্ষকের ফাঁসির নিদান না হেঁকে নিজ নিজ অন্তঃস্থ দানবের মুখোমুখি হই একবার? বাবা-মা আশ্বস্ত হন, তারা যেমন খুনীটিকে ভুলক্রমে সৃষ্টি করে ফেলেছেন, তেমন সৎ, সাহসী মেয়েটিও তো তাঁদেরই সৃষ্টি! এই ছবি জিতে যায় কারণ আমরা জেমিকে ঘেন্না করি না, তার পরিবারকেও নয়, বরং তাদের জন্য আমাদের বুক ঠেলে কান্না উঠে আসে।

(লেখাটি ‘এই সময়’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়েই লেখাটি প্রকাশ করা হলো উইমেন চ্যাপ্টারের পাঠকদের জন্য।)

শেয়ার করুন: