‘নারীসত্তার অন্বেষণে’ ও একটি পর্যালোচনা

জিসান আবেদীন:

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্নিগ্ধা রেজওয়ানার “নারীসত্তার অন্বেষণে” বইটি পড়েছি। বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডে আসার পরে আর কোনো বাংলা বই পড়ার সুযোগ হয়নি।

অদ্ভুতভাবে প্রায় ১৫ বছর পরে একটি বাংলা বই হাতে পেলাম পড়ার জন্য। পত্র-পত্রিকায় কিছু রিভিউ এবং লেখকের ইন্টারভিউ দেখে বইটি আনানোর ইচ্ছে হলো। যথারীতি পড়া শুরু করলাম। যতই গভীরে গিয়েছি ততই বইটির বিষয়বস্তু আমাকে অভিভূত করেছে। লেখাটি আমাকে কতটা প্রভাবিত করেছে তা বলার আগে বলতে চাই- অনেকদিন পরে একটি বই আমাকে রিভিউ লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। “নারীসত্তার অন্বেষণে” বইটি ড. স্নিগ্ধা চমৎকার লিখেছেন শুধু তা নয়, বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি; একটি একটি সফল গবেষণার ফলাফল বলা যায়।

বইটির অন্যতম শক্তি হলো লেখক শুরুতেই নারীর বাস্তবতা বুঝতে “আত্ম” (Self) ধারণার উপর ফোকাস করেন যা আমার কাছে একটি অনন্য সূচনা বলে মনে হয়েছে। আমি ফেমিনিস্ট লিটারেচারের বেশকিছু বই পড়েছি। সেখানে সাধারণত নারীর অধস্তনতার গল্প বা অবদমনের ইতিহাস অনেক বেশি উঠে আসে। কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত নারীদের পরিচয় নির্মাণের গল্পের মাধ্যমে তার “আত্ম” নির্মাণের প্রক্রিয়া আগে কখনো জানতে পারিনি।

“আত্ম” বা “সেল্ফ” এর ধারণা কীভাবে নারীদের গঠন এবং পুনর্গঠন করতে পারে আমি কখনই ভেবে দেখিনি। লেখকের লেখনীতে নারীর আইডেন্টিটি নির্মাণে সেল্ফ এর ভূমিকা আমার চিন্তাধারায় একটি নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। তিনি যেন গাণিতিকভাবে সমস্ত সমীকরণ সমাধান করেছেন। বিশেষ করে, নারী ও সত্তার তাত্ত্বিক বাকবিতণ্ডা এবং দার্শনিক চিন্তাধারায় নারী পরিচয় নির্মাণের ধারণার অংশটি পড়ে আমার মনে হয়েছিল যেন তিনি গাণিতিকভাবে নারীসত্তা নির্মাণের সমীকরণে স্ব-নির্মাণের তত্ত্বগুলি সমাধান করেছেন।

ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত নারীর সত্তা নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়াকে লিঙ্গীয় সম্পর্ক—নারী শরীর, যৌনতা, মাতৃত্ব, শিক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক সম্পর্ক এবং মধ্যবিত্তের চৈতন্য কীভাবে নারীকে তার সত্তা গঠনে সক্রিয় করে তোলে সেটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি বইটিতে তুলে ধরেছেন।

মধ্যবিত্ত নারীর নানাবিধ প্রেক্ষিত বিশ্লেষণে নারীর সত্তা নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ প্রেক্ষাপট উপস্থাপন এই গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য। তিনি বলছেন, নারী তার পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার নিরিখে নিজ সত্তার আদল দানে সর্বদা সক্রিয় থাকে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সত্তার আত্মনির্মাণ ও পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। লেখকের মূল যুক্তি হলো যে নারীর আত্ম-গঠন একটি জটিল এবং চলমান প্রক্রিয়া যা সমাজের মনোভাব, নিয়ম এবং প্রত্যাশা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।

শৈশব থেকে জেনে এসেছি নারী কিছু কিছু এসেন্সিয়াল ক্যারেক্টারিস্টিক দ্বারা নির্মিত। ড. স্নিগ্ধার লেখনীর মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে বোঝা যায়, বায়োলজি বা কিছু প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য (essential characteristics) শুধুমাত্র একজন নারীর “স্ব”কে সংজ্ঞায়িত করে না, বরং তার জীবনের বাস্তবতাও এবং তার সামাজিক নির্মাণ অস্তিত্বের সারাংশ গঠন করে।

তাঁর এই বইটিতে তথ্য গত বিশ্লেষণের মাধ্যমে নারীর “স্ব” নির্মাণ উপস্থাপনে অস্তিত্বগত (essential philosophy) এবং অপরিহার্য দর্শন (existential philosophy) বিশ্লেষণ করেছেন। যেখানে তিনি বলছেন, নারীর সেলফ বা আত্ম কোন অপরিবর্তনীয় বিষয় নয়- এটি ধ্রুবক নয় কোন, এটি একটি চলক। তিনি আরও যুক্তি দেন যে নারীর পরিচয় গঠন একটি রৈখিক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি গতিশীল এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। তিনি আরো দেখিয়েছেন কীভাবে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে নারী তার সত্তার নির্মাণ অপরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে পুনঃনির্মাণ করে। তিনি বলছেন কীভাবে লিঙ্গীয় সম্পর্ক নারীর পরিচয় নির্মাণ ও পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখে। যেখানে লেখকের প্রধান যুক্তি হলো, নারীর আত্ম-গঠন একটি জটিল এবং চলমান প্রক্রিয়া যা সমাজের মনোভাব, নিয়ম এবং প্রত্যাশা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। বইয়ের একটি বিভাগে তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে একজন নারীর শরীর, যৌনতা এবং মাতৃত্ব তার আত্ম-গঠনের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে এই প্রেক্ষাপট গুলি একে অন্যের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত।

বইটিতে তিনি সত্তা নির্মাণের প্রক্রিয়া অধ্যয়নে বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত নারীদের সাথে গভীরভাবে সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে, পদ্ধতিগতভাবে একটি পুরুষ-শাসিত সমাজে নারী পরিচয়ে নেভিগেট করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নারীরা যে চ্যালেঞ্জ এবং জটিলতার মুখোমুখি হন তার একটি গভীর চিত্র উপস্থাপন করেছেন।

ড. স্নিগ্ধা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশের মতো সমাজে নারীরা সর্বদাই কারো কন্যা, কারো স্ত্রী বা কারো মা হিসেবে পরিচিত। অতএব তিনি যুক্তি দেন যে, নারী পরিচয় গঠনকে কোন একটি নির্দিষ্ট জৈবিক পরিসীমার মধ্যে সীমিত করা যায় না, তার আত্ম নির্মাণ শুধু একটি ধ্রুবক নয়, একটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বইটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক যা আমাকে একজন পুরুষ হিসেবে মুগ্ধ করেছে তা হলো ড. স্নিগ্ধা নারীকে পুরুষের বিরুদ্ধে প্রতিস্থাপন করেননি, তিনি লিঙ্গীয় সম্পর্ক ও সত্তার মির্মাণের তাত্ত্বিক আলোচনা সংজ্ঞায়িত করার মাধ্যমে নারীর স্ব-নির্মাণকে তুলে ধরেছেন।

ড. স্নিগ্ধা নারীর পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার নিরিখে বিভিন্ন নারী-জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন, তার মধ্যে স্কুল ও কোচিংয়ের “ভাবী সম্পর্ক” গল্পটি আমাকে অবাক করেছে যেটি উল্লেখ করতেই হয়- কীভাবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা একজন নারী বিয়ের পর তার বাস্তবতাকে নতুন করে উদ্ভাবন করে, কীভাবে তার সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়ার মাধ্যমে একটি নতুন পরিচয় নির্মাণে সক্ষম হয় সে সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। আমাদের সমাজে স্কুলের সামনে “ভাবী” শব্দটি খুব পরিচিত, কিন্তু ড. স্নিগ্ধা আমাদের চোখের সামনে পরিচয়টির একটি নতুন গভীরতা এঁকে দিয়েছেন। বিশেষভাবে সামাজিক পুঁজির ব্যবহার, পাতানো সম্পর্ক কী উপায়ে নারীর পথচলার সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় এবং (Fictive Kinship, Habitus or Cultural Capital) ব্যক্তিকে তার দক্ষতা বৃদ্ধিতে কীভাবে সহায়তা করে এই অংশটি আমাকে মুগ্ধ করেছে, কারণ আমি নিজে কখনোই এই বিন্যাসে ভাবিনি।

লেখকের চিন্তা করার ক্ষমতা বা নৈপূণ্য আমার চিন্তার জগতে একটি বিশেষ উপাদান যোগ করেছে, কীভাবে একটি সাধারণ ঘটনার মাঝে সঠিক বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায়; বক্সের বাইরে কীভাবে ভাবতে হয়, আমি নিশ্চিত যে বইটি গবেষণায় আগ্রহীদের “গবেষকের চোখ” খুলে দিতে সক্ষম হবে।

আরেকটি প্রসঙ্গ অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়, ‘নারীসত্তার অন্বেষণে’ বইটিতে তিনি কেবল নারীর দুর্বলতার দিকেই আলোকপাত করেননি, তিনি অনন্যভাবে দেখিয়েছেন যে কীভাবে নারীরা তার জীবনের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে তাদের বাস্তবতাকে পরিবর্তন করে, কীভাবে পরিবর্তনশীল অবস্থান তাকে একটি নতুন পরিচয় তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে এবং কীভাবে তিনি একটি স্থির বাস্তবতায় না থেকে ক্রমাগত তাদের রিয়ালিটি পরিবর্তন করতে পারেন।

১৩৪ নং পৃষ্ঠায় তিনি নারীর নিষ্ক্রিয় এক সত্তা হিসেবে বিবেচনা করার প্রবণতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এবং বলছেন, নারী তার সিচুয়েশন এর মধ্যে থেকেই নিজের উদ্দেশ্য, স্বপ্ন, ও আশা আকাঙ্খা পূরণে চেষ্টা করে।
তার অধ্যয়নের বিশেষ আলোচনার আরেকটি ক্ষেত্র ছিল মাতৃত্বের ধারণার জটিলতা যা আমাকে বিস্মিত করেছিল- আমি আমার নিজস্ব ধারণায় প্রচলিত সামাজিক অর্থের আলোকে “মা” কে দেখতে শিখেছি। বইটির ১০৩ নং পৃষ্ঠায়, তিনি মাতৃত্ব ধারণায়নের জটিলতার সাথে সম্পর্কিত প্রধান নারীবাদী তত্ত্বের আলোকে মাতৃত্বকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে বলছেন- মাতৃত্ব কেবলমাত্র পুনরুৎপাদনের সাথে যুক্ত কোন একক প্রপঞ্চ নয়, তিনি যুক্তি দেন যে নারী সত্তা নির্মাণে মাতৃত্বের প্রভাব বিশ্লেষণ করে মাতৃত্বকে চিত্রায়িত করা গুরুত্বপূর্ণ।

বইটির শেষ কথায় ড. স্নিগ্ধা বলেন, গবেষণাকাজে শুরুতে নারীসত্তা অনুধাবনের উদ্দেশ্য ছিল যে প্রচলিত লিঙ্গ পরিচিতি উদ্ভাবনের চেষ্টায় গবেষণা করা হবে না, বরং নারী-পুরুষ সম্পর্ককে উন্মুক্ত পরিষদের অবলোকন করা হবে। এখানেও লেখকের নারীসত্তা অন্বেষণে কোনো প্রেসক্রিপশন দেননি, তিনি শুধুমাত্র পাঠককে নারীর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাত্ত্বিক আলোচনার উপর ভিত্তি করে একটি গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন, যেখানে পাঠক নিজেই উপলব্ধির জায়গা তৈরি করেন যা বইটিকে অনন্য করে তোলে।

এ পর্যায়ে আমি লেখক সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। রক্ষণশীল সমাজে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও ড. স্নিগ্ধা অসাধারণ সাহস ও দৃঢ়তার সাথে জ্ঞানের সীমানা ভেঙ্গে লিঙ্গ, যৌনতা এবং ম্যাসকুলিনিটির মতো সাহসী বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন। তিনি রেকর্ড নম্বর নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের দ্য নিউ স্কুলে “সেক্স টেক ল্যাব” এর সাথে যুক্ত এবং বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তাঁর পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ঢাকা শহরের ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়। নারীবাদ, লিঙ্গ বৈচিত্র্য, দেহ ও যৌনতা, পুরুষত্ব এবং পুরুষত্ব সহ সামাজিক নৃবিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

“নারীসত্তার অন্বেষণে” তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। বইটি ছাপা হয়েছে ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে এবং প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ । বইটি একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ। বইটিতে মূলত ঢাকা শহরের মধ্যবৃত্ত নারীদের জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ড নিয়ে রচনা করা হয়েছে। তিনি তার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ও প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণে দেখিয়েছেন যে, ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত নারীর সত্তা একইসাথে নারীর আত্মগত সচেতনতা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিসরে নির্মিত এক ধরনের চেতনাবোধ।

বাংলাদেশে লিঙ্গ, যৌনতা, পুরুষত্ব এবং নারীবাদী অধ্যয়ন সংক্রান্ত জটিল সমস্যাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য লেখক চমৎকার কাজ করেছেন। তিনি এই ক্ষেত্রগুলিতে অত্যাধুনিক গবেষণার একটি বিস্তৃত ওভারভিউ প্রদান করেন এবং তার বিশ্লেষণ পুঙ্খানুপুঙ্খ আকর্ষক। তাছাড়া লেখকের লেখার ধরন আকর্ষণীয় এবং সহজলভ্য, যা বইটি পড়তে আনন্দ দেয়। বাংলাদেশে কীভাবে লিঙ্গ সমতা এবং ক্ষমতায়ন উন্নত করা যায় সে বিষয়ে তিনি সুচিন্তিত এবং সমর্থিত সুপারিশ প্রদান করেন। লেখক বাংলাদেশে লিঙ্গ গতিশীলতা এবং সমাজে নারীরা এখনও যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে তার একটি সমালোচনামূলক পরীক্ষা প্রদান করেছেন। সামগ্রিকভাবে, “নারীসত্তার অন্বেষণে” একটি চমৎকার বই যা তথ্যবহুল এবং চিন্তা-উদ্দীপক উভয়ই। লেখকের দক্ষতা এবং অন্তর্দৃষ্টি তাকে বাংলাদেশের লিঙ্গ এবং নারী গবেষণার একজন পথিকৃৎ করে তোলে।

বইটির দৃষ্টিকোণ কিছুটা একাডেমিক হলেও, এটি নৃবিজ্ঞান, নারী ও লিঙ্গ অধ্যয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স বই। পাঠকের কাছে এটি একাডেমিক মনে হলেও বইটি পড়ার পর প্রমাণিত হয় যে একাডেমিক বইও সব পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। “নারীসত্তার অন্বেষণে” আমার সংগ্রহে যোগ করা একটি অপরিহার্য রেফারেন্স বই যা নিঃসন্দেহে আমার গ্রন্থাগারকে সমৃদ্ধ করেছে।

আমি আমার পর্যালোচনায় বইটিতে আমার যে বিষয়গুলি ভালো লেগেছে সংক্ষেপে উল্লেখ করেছি। বইটি পাঠকদের সমৃদ্ধ করবে বলে আমি মনে করি এবং আরো আশা করছি সমাজ সচেতন নারী-পুরুষ এবং বাংলাদেশের শিক্ষা জগত বইটি থেকে অনেক উপকৃত হবে এবং আমি নিশ্চিত যে বইটি আপনাকে হতাশ করবে না।

 

জিসান আবেদীন
এমপ্লয়ি এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজার
@এসেক্স পার্টনারশিপ ইউনিভার্সিটি
এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট
লন্ডন

শেয়ার করুন: