সিরিয়া সংকট: এখন শুধুই ওবামার অনুমতির অপেক্ষা

syria_strike
সিরিয়া আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি

উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: ‘প্রেসিডেন্ট ওবামা যদি সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপের আদেশ দেন তাহলে তারা অভিযান শুরু করতে তৈরি আছেন’- বলছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল।

বিবিসির এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চাক হেগেলকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার কাছে এটা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ব্যাবহৃত রাসায়নিক অস্ত্রের জন্য সিরিয়ার সরকারই দায়ী।

যদিও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেমের দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ মিথ্যা এবং ইসরায়েল ও আল-কায়েদার স্বার্থ পূরণের জন্যই এগুলো ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিরিয়া জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের পুরোপুরি সহাযোগিতা করছে।

যদিও জাতিসংঘ জানায়, তাদের অস্ত্র পরিদর্শকরা ঐ আক্রমণের জায়গাটি দ্বিতীয়বার পরিদর্শনের কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে দিয়েছে।

এদিকে রাশিয়া ও চীন উভয়েই সিরিয়ায় কোন রকমের সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবাণী জানিয়েছে।

সতর্ক করে দিয়ে দুটি দেশই বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটানোর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

ব্রিটেনের অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জঙ্গিরা প্রচার করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে তাদের নেতা এবং ট্রেনিং ক্যাম্পগুলো আক্রান্ত হতে পারে। এ জন্য তাদের লোকদের সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।

সমরিক সংকটময় এই পরিস্থিতে এশিয়া ও ইউরোপের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব অঞ্চলে শেয়ার বাজারে ব্যাপক মূল্য পতন হয়েছে।

দুবাইয়ে স্টক মার্কেটে মূল্যসুচক ৭% পড়ে গেছে এবং তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১২ ডলারের ওপরে চলে গেছে।

শেয়ার করুন: