পুরুষতন্ত্র ও নারীর দাসত্ব

নাছিমা মুন্নী:

প্রতিযোগিতা একটি ছেলেমানুষি প্রক্রিয়া। পৃথিবীর কোনো বড় কাজ প্রতিযোগিতা দিয়ে হয় না। পৃথিবীর সব মহৎ কাজ হয় সহযোগিতা দিয়ে। তারপরও সব প্রতিযোগিতায় নারী হয়ে উঠছে কেন্দ্রবিন্দু । বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে মানুষ যে লড়াই করে তার দৃষ্টান্ত নারী যুগে যুগে দেখেছে। মানুষের জীবন বৃক্ষের জীবন নয়। তার আছে সৃষ্টিশীলতা, আছে চাহিদা, আছে নতুন নতুন আকাঙ্খা এবং ক্ষমতা আছে অনেক কিছু করবার। সংকটও মানুষকে সৃষ্টিশীল করে। তবুও হাজারও সংকট, অসঙ্গতি আর নিপীড়নের মধ্যে মানুষ বাস করছে এখনও। আর হাজারও অসঙ্গতি, নিপীড়নের শতভাগ ভোগ করছে একজন নারী। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষতন্ত্রই নারীকে প্রতিনিয়ত শোষন, বঞ্চনা, নির্যাতন, বৈষম্য ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শেকল পরিয়ে রাখছে। নারীর শৃঙ্খলিত জীবনের কাহিনী সর্বত্র প্রায় এক। এ সমস্যা শুধুমাত্র একজন নারীর নয়। সমস্যা সার্বজনীন। মানুষের।

পুঁজি শাসিত সমাজ , পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থা বদল করতে পারলে, পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারলে, পুরুষতান্রিক মানসিকতা বদলাতে পারলে এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে নির্যাতন, শোষন ও বঞ্চনার হাত থেকে নারী মুক্তি পাবে।

আমরা নারীরা খুব অদ্ভুত। আমরা বঞ্চিতদের কাতারে। তাই আমাদের যতটুকু সম্ভব একে অপরের সমব্যথী হওয়া। সহমর্মী হওয়া। পাশে থাকা। সহযোগিতা করা। সেটা তো আমরা করিই না। বরং কোনো নারী সুখে আছো, ভালো আছে দেখলে, সে নারীকে কীভাবে অবহেলিত করা যায়, বঞ্চিত করা যায়, ঠকিয়ে কীভাবে নিজের অবস্থান করা যায়, তার পথ খুঁজি। আমরা আসলে বড়ই আজিব। আমরা এভাবেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরুষতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

নারীর পিছিয়ে পড়ার গল্প, নারীর বঞ্চনার গল্প, যতো অপ্রাপ্তির গল্প, অধস্তন হওয়ার গল্প, তার মূলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। পুরুষতন্ত্র নারীর চলাফেরাকে নিয়ন্ত্রণ করে, নারীর ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করে, মেধা- যোগ্যতাকে নিয়ন্ত্রণ করে, ইমোশনকে নিয়ন্ত্রণ করে, সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পছন্দ-অপছন্দকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতো সুক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যে, নারী বুঝতে পারে না।

নারীর দাসত্ব-শৃঙ্খল জীবনের শুরু কবে, এর গতিধারাই বা কোন পথে চলছে -এ প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে। এর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে সামাজিক ও ইতিহাসবিদদের গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে। আঠারও শতকের সমাজতান্ত্রিক আউগুষ্ট বেবেল তথ্য প্রমাণাদি দিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, নারীরাই প্রথম মানুষ, যারা বশ্যতা ও দাসত্ব বন্ধন স্বীকার করেছিল। নারীরা দাসপ্রথারও আগে দাসত্ব শৃঙ্খল পরেছিল। আজো সেই দাসত্ব শৃঙ্খল লালন-পালন করে যাচ্ছে। ক’জন নারীই দাসত্ব শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে? যারা বের হয়ে এসেছে, দেখা গেছে তারাও কোনো না কোনো পুরুষতন্ত্রের দাসত্ব শৃঙ্খলে বন্দী।

প্রাচীন যুগের শুরুতে বা বলা যায় আদিম যুগের মানবগোষ্ঠী বলতে যাযাবর গোষ্ঠীকেই বোঝানো হয়। গোত্র প্রথাই ছিলো মানবসমাজের ভিত্তি। গোত্র প্রথায় কোনো আধিপত্য বা কোনো দাসত্ব সন্ধান পাওয়া যায় নি। অধিকার ও দায়িত্ব বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই নারী ও পুরুষের ক্ষেত্র ভিন্ন ছিল। পুরুষরা বাইরের কাজে বেশি যুক্ত থাকতো। আহারের সংস্থান করতো। নারীরা ঘর গৃহস্থালি দেখতো। রান্না করতো, সেলাই করতো, কাজের সূত্রে যে সব হাতিয়ার ব্যবহার করতো সেগুলোর মালিক হতো। নৃতত্ত্ববিদের তথ্য থেকে জানা যায় যে, বন্য ও বর্বর যুগের নারীর শারীরিক ও মানসিক শক্তিতে বলীয়ান ছিল। পুরুষের চাইতে কোনো অংশেই নারীর মগজের মাপ ও জ্ঞান কম ছিল না। আধুনিক শরীরতত্ত্ববিদদেরও একই মত। অথচ আজও প্রতিদিনই নারীকে প্রতিনিয়তই শুনতে হয়, তার মেধা কম, যোগ্যতা কম, জানে কম, বুদ্ধি কম। এতে নারীর অমর্যাদা হয়। এটাও একজন পুরুষের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণেই করে থাকে।

অতীতে নারীরা যন্ত্রণায় শুধু পীড়িত হয়েছে। তাদের যন্ত্রণার কোনোদিন উপশম হবে, তাদের মুক্তি কোনোভাবে সম্ভব, এটা তারা কল্পনাও করতে পারতো না। শুধুই পড়ে পড়ে নির্যাতন ভোগ করা, পরিবারের ও সমাজের পুরুষের সর্বময় ক্ষমতার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা, ধর্ম ও সমাজের অনুশাসনের কাছে মাথা নত করে থাকা, এই অবস্থার মধ্যে অতীতের নারীসমাজ যুগ যুগ ধরে কাটিয়ে এসেছে। কখনো নারীকে পুরুষের গলগ্রহ হয়ে থাকতে হয়েছে, অনুগ্রহ চাইতে হয়েছে এবং কাটাতে হয়েছে হীন-নির্যাতিত নিপীড়িত জীবন। তখন পর্যন্ত নারীরা বুঝতে পারেনি যে, পুরুষ তাকে নিকৃষ্ট অবস্থায় রাখেনি বা দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেনি। কিন্তু আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে নারী জেনেশুনে দাসত্ব শৃঙ্খল মেনে নিয়ে দিব্যি চলাফেরা করছি। আগে নারী না জেনে পরেছে, এখন নারী জেনেশুনে পরছে। যারা এসব শৃঙ্খলকে উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে, তাদেরকে নারীবাদী বলে উপহাস করছে। তারা উশৃঙ্খল নারী বলে অপবাদ পাচ্ছে।

অতএব জাগো, জাগো গো ভগিনী- বেগম রোকেয়া।

আধুনিক যুগে পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিক ও কর্মজীবী নারীর আবির্ভাব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা গেল নারীর কাজ করার অধিকার আদায়ের প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে সেই প্রথম থেকেই। নারীরা বাইরের কাজে গেলে সাংসারিক জীবনে সংকট সৃষ্টি হয়, কাজেই ঘরেই মেয়েদের থাকা প্রয়োজন, ঘরকন্নাই মেয়েদের কাজ। তাই দেখা যায় কর্মজীবী নারীকে কাজে যাওয়ার আগে ঘরকন্নার সব কাজ সম্পন্ন করে যেতে হচ্ছে। আবার দেখা যায়, অনেক শিক্ষিত নারীরা পরিবারের অনুমতি না পাওয়ার কারণে কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে পারছেনা। শিক্ষিত বিবাহিত নারীরা সন্তান লালন-পালন, ঘরকন্নার কাজ করে দিন পার করে দিচ্ছে। একটা সময়ে তার সারাদিনের কাজের কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। আমাদের সমাজে নারীকেই সংসারিক কাজের পুরো দায়িত্ব পালন করতে হয়। মা ও স্ত্রী হিসেবে সংসারের সমস্ত কাজ করার সাথে সাথে কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন, এই দুই রকম চাপে কর্মজীবী নারীরা বিপর্যস্ত। তার ওপর কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, নাজেহাল, অপমান এবং বাড়িতে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন। এভাবে কর্মজীবী- শ্রমজীবী নারীর জীবনে ওতপ্রোত হয়ে জড়িয়ে আছে পাহাড়সমান সমস্যা, দুশ্চিন্তা, অত্যাচার।

আমাদের পরিবারে, সমাজে সাধারণ গৃহিনীর কোনো মর্যাদা নেই। যদিও নারী ও পুরুষ মিলে পরিবার গড়ে উঠেছে। কিন্তু এই পরিবারগুলোতেই নারীরা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত। আর তাইতো অর্থনৈতিক সংকট নারীদের পারিবারিক নিরাপত্তা কেড়ে নিচ্ছে। নারীরা আজও পরিবার টিকিয়ে রাখতে লড়াই করে যাচ্ছে। মুখ বুঁজে সব অন্যায়, নির্যাতন মেনে নিচ্ছে। শহুরে নারীদের লড়াই করছে চাকরি টিকিয়ে রাখতে, সম্মান টিকিয়ে রাখতে, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। তাইতো নারীকে পদে পদে মাথা ঠুকে মরতে হচ্ছে পুরুষের সাথে বৈষম্য ও ব্যবধান ঘুচবার জন্য। যে পুরুষের সাথে নারীকে সংসার করতে হয়, যে পুরুষকে সে জন্ম দেয়, যে পুরুষের পিতৃত্ব তাকে নিরাপত্তা দেবার কথা, সেই পুরুষের কাছ থেকে জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আঘাত, নির্মম যন্ত্রণা ও পীড়ন পেতে পেতে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তিও সে হারিয়ে বসে। কিন্তু সামাজিক বিবর্তন থেকে জানা যায়, অচলায়তন শক্তির মতো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর জীবনে পীড়ন সৃষ্টি করছে, বৈষম্য বজায় রাখছে, শৃঙ্খল পরিয়ে রাখছে। নারীকে ন্যায্য অধিকার থেকে সরিয়ে রেখে, সমস্ত ধরনের নির্যাতন চালিয়ে মূক ও বধির করে রাখার মধ্য দিয়েই তাকে শৃঙ্খলিত করার চেষ্টা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী।

আমাদের গ্রামীণ নারীদের কাছে নারীবাদ বলে কোনো শব্দ নেই। সারাদিন সংসারে কলুর বলদের মতো খেটে যাচ্ছে তারা। গ্রামীণ চলতি সমাজব্যবস্থায় বিবাহিত মেয়েদের জীবন দাসত্ব নামান্তর মতো। তাদের ভাবনার জগতে ধাক্কা দেওয়ার মতো তাদের পাশে কেউ নেই। তাদের মস্তিষ্ক পুরুষতন্ত্রের বীজ বপন করা আছে। তাদের নেই সমঅধিকার, নেই তাদের সমপরিমাণ সম্মান, নেই মতামত সুযোগের অধিকার। স্বামীর মেজাজ- মর্জির ওপর তাদের দিনাতিপাত করতে হয়। তারা দাসত্বের শৃঙ্খলকে স্বাভাবিক বলে মনে করে। আবার দেখা যায় যেসব নারীর স্বামী প্রবাসী, সেসব নারীরা কোনো না কোনো পুরুষের অভভাবকত্বে দিন যাপন করে যাচ্ছে। স্বামীর শাসনকে তারা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক বলে মনে করে। দিনশেষে তারা সেই গৃহকোণে থাকতে পেরেই খুশি থাকে। ভালোবাসায়, মমতায় পরিচর্যা করে সেই গৃহকোণকে। তাদের কোনো অধিকার খর্ব হলেও তারা খুব সহজে তা মেনে নেয়।

সোভিয়েত বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন নারীমুক্তির বিষয়ে মার্কসবাদী তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়িত করার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, “সমস্ত মুক্তিদায়ী আইন সত্ত্বেও মেয়েরা সাংসারিক বাঁদীই থেকে যাচ্ছে। করণ তাকে দাবিয়ে রাখছে, শ্বাসরুদ্ধ করছে, বিমূঢ় করছে, হীন করে রাখছে সাংসারিক গৃহস্থালি, বেঁধে রাখছে তাকে রন্ধনশালায় আর শিশুপালন-ঘরে, অমানুষিক রকমের অনুৎপাদক, তুচ্ছ, পিত্তি-জ্বালানো মন -ভোঁতা করা হাড়-গুঁড়ানো কাজে অপচয়িত হচ্ছে তার শ্রম। সত্যিকারের নারীমুক্তি শুরু হবে তখনই, যখন শুরু হবে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিরূপে সে-গেরস্থালির ব্যাপক পুননির্মাণ।”

গেরস্থালির পুননির্মাণ ঠিকই হয়েছে আধুনিক কিছু যন্ত্র দ্বারা। সে যন্ত্রগুলোও পরিচালনা করছেন নারী। দ্রুত রান্নায় ব্যবহার করছে প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, গ্যাসের চুলা। ব্লেন্ডারে মশলা ব্লেন্ড, দ্রুত নাশতা বানানোর জন্য স্যান্ডউইচ মেকার, কফি মেকার, সহজে খাবার গরম করার জন্য ওভেন, মাইক্রোওভেন, ফ্রিজ, ডিপ ফ্রিজ, পেষন-মিশ্রণ মেশিন, ডিশ ওয়াশার মেশিন, পানি গরমকারী বৈদ্যুতিক হিটার, কাপড় ধোয়ার জন্য ওয়াশিং মেশিন । দৈনন্দিন জীবনে এসব যন্ত্রের ব্যবহার খুবই অল্প সংখ্যক নারীর কাজ লাঘব করলেও বেশিরাগ নারীর প্রতিদিন অনেকটা সময় ব্যয় হয় এই গেরস্থালির কাজে। পুরুষতন্ত্র ঠিক করে দিয়েছে এ কাজগুলো নারীর। নারীও বছরের পর বছর সে ঘানি টেনে যাচ্ছে।

সমাজের ওপরের আবরণ খুবই ধোপদুরস্ত কাপড় দিয়ে ঢাকা। কিন্তু ভেতরটা একেবারে পচে ধ্বসে যাবার মতো অবস্থা হয়েছে। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শোষন, বঞ্চনা, তালাক, বধূ হত্যার মতো ঘটনা এই সমাজে ঘটছে প্রতিনিয়ত। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, আওয়াজ তুলছেন, তারাও পুরুষতন্ত্রের মোড়কে ঢাকা। তারা নিজেরাই নারীর মর্যাদাহানী, নারীর অধিকার লঙ্ঘন, নারীকে অবমাননা ও অবহেলিত করার দোষে দুষ্ট। শুভ লক্ষণ যে, এই সব ঘটনার প্রতিবাদে নারী সমাজের পক্ষ থেকেও আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠছে। কিছু নারীবাদী সংগঠন এসব ইস্যুতে সোচ্চার হচ্ছেন।

ধর্ষণ, নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা ও নারীর মর্যাদার প্রশ্ন বাংলাদেশে যে নারী আন্দোলন গড়ে উঠেছে, সেই আন্দোলনের মধ্য থেকে এই অভিজ্ঞতা লাভ করা গেছে যে, বাংলাদেশের চলতি সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে নারীসমাজের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা আশা করা যায় না। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাই সমাজে বহু নারীর জীবনে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছে, বঞ্চনার সৃষ্টি করছে। সেই সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়ার মধ্যেই রয়েছে নারীর অগ্রযাত্রা, নারীমুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়নের চাবিকাঠি।

লেখক:
উন্নয়নকর্মী

শেয়ার করুন: