পাকিস্তান জামায়াতের ‘হুংকার’

pakistani jamatউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির।

তিনি এই রায়কে ‘অসাংবিধানিক, আংশিক ও পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।

পাকিস্তান জামায়াতের আমির সৈয়দ মুনাওয়ার হাসান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ আক্রান্ত হচ্ছে। নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে এবং তাদেরকে যাবজ্জীবন সাজা, এমনকি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে।” পাকিস্তানের দি নিউজ লিখেছে, বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ‘ভারতপন্থী হাসিনা ওয়াজেদ সরকারের’ প্রতিহিংসা রোধে বিশ্বের সব দেশ, গণতান্ত্রিক শক্তি ও মুসলিম রাষ্ট্রসমূহকে ভূমিকা রাখার আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তান জামায়াতের আমির।

মুনওয়ার তার বিবৃতিতে বলেন, “এতোদিন তথাকথিত ট্রাইব্যুনাল এ কাজ করলেও এখন একই কাজে নেমেছে হাইকোর্ট। নির্বাচন থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে দূরে রাখতেই নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

ট্রাইব্যুনালের এই বিচারকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকার নীরব থাকায় খোদ সরকারেরও সমালোচনা করেছেন মি. মুনাওয়ার। তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকারের এই অবস্থান ‘ভীষণ অন্যায়’ ও ‘পুরোপুরি অনাকাঙ্ক্ষিত’। তিনি দাবি করেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জামায়াতের পক্ষে দাঁড়ালেও মূলত ভারতের আদেশে দলটিকে জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখতে এবং ধ্বংস করতে চায় শেখ হাসিনা সরকার’।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- তারা বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধিতা করেছেন এবং একাত্তরে পূর্ব পাকিস্তানে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন’ বানচাল করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন করেছেন। পাকিস্তানকে ‘ঐক্যবদ্ধ রাখার সংগ্রামের জন্যই’ বাংলাদেশে জামায়াত নেতাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

পাকিস্তানের দুনিয়ানিউজ ডট টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “সাবেক জামায়াত আমির গোলম আযম ও তার সহযোগীদের ওপর হাসিনা সরকারের আক্রমণের বিরুদ্ধে শুধু মৌখিক প্রতিবাদ নয়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবল থেকে তাদের মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববাসী, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান জামায়াতের আমির। মুনাওয়ার দাবি করেছেন, গত চার দশক ধরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ দেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে, যার কারণে দলটি ভাল জনসমর্থনও পেয়েছে। “জামায়াত বাংলাদেশের ক্ষমতায়ও ছিল। তাই দলটিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে এবং এর নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে দেয়া ঢাকা হাই কোর্টের রায় গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারকে হত্যার সামিল।”

শেয়ার করুন: