অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই

অজন্তা দেবরায়:

‘সেক্যুলার’ – ‘অসাম্প্রদায়িক’
‘সেক্যুলারিজম’ – ‘অসাম্প্রদায়িকতা’, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’

-এই শব্দগুলোর প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে সামষ্টিক ঘৃণা তৈরির মিশনে নেমেছে একটি ‘ঘৃণাজীবী’ গোষ্ঠী।

যেখানে ‘অসাম্প্রদায়িকতা’/‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’র প্রকৃত অর্থ হচ্ছে সকল ধর্ম-মত-বিশ্বাসের মানুষের সম অধিকার নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান, সেখানে সেই ‘ঘৃণাজীবী’রা বোঝাতে চায় ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ বা ‘সেক্যুলারিজম‘ মানেই ‘ধর্মহীনতা’ বা ‘ধর্ম বিদ্বেষ’।

তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু ধর্মভীরু ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে’র চেতনার বিরোধী করে তোলা। তারা চায়, সাধারণ সহজ সরল মানুষের ধর্মানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তাদের নিজেদের ‘অসৎ‘ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে।

দেশের মানুষ ‘ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক’ হয়ে গেলে তো আর ‘ধর্মের‘ দোহাই তুলে ওরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে না। তাই তারা চায় না সব ধর্ম/মত-বিশ্বাসের মানুষের মাঝে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় থাকুক। তারা চায় না মানুষ ‘মানবিক হোক।

এই জঘন্য ঘৃণাজীবী অমানুষদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলতে হবে। এদেরকে রুখতে হবে।

আর তাই এদের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে Humane First Movement থেকে আমরা আবারো শুরু করতে যাচ্ছি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে নেয়া আমাদের অনলাইন ক্যাম্পেইন #BeHumaneFirst। এবারে আমরা পুরো বছরব্যাপী বিভিন্ন পর্বে এই ক্যাম্পেইন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম পর্বের ক্যাম্পেইন চলবে ১৫ই জানুয়ারি থেকে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত।

‘হবে না’, ‘সম্ভব না’, ‘সব শেষ’ – বলে হাত-পা গুটিয়ে চূড়ান্ত পতন দেখার অপেক্ষায় বসে থাকলে হবে না। প্রত্যেকেরই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা অন্তত করা উচিত যাতে বর্তমানের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক আবহাওয়া বদলে আমরা আশার সূর্যটাকে আবারো ফিরিয়ে আনতে পারি।

সবকিছু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব আর আমরাই পারি পরিবর্তনের শুরুটা করতে।

চলুন, সবাই মিলে সেই চেষ্টাটা করি।

অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি নিপাত যাক।
অসাম্প্রদায়িকতার জয় হোক।

শেয়ার করুন: