নারীমুক্তি আন্দোলনে বাংলাদেশকে পাশে চান মালালা

Malala Yousafzaiউইমেন চ্যাপ্টার (১৪ জুলাই): বাংলাদেশে নারী শিক্ষা প্রসারের প্রশংসা করে পাকিস্তানেও তা বিস্তৃত করতে সহযোগিতা চেয়েছেন তালেবান হামলায় বেঁচে যাওয়া কিশোরী মালালা ইউসুফজাই।

শনিবার নিউইয়র্কে এক ইফতার অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেনের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন মালালা।
একটি অনলাইন পত্রিকা এ খবর জানিয়ে বলে, মালালার সম্মানেই পাকিস্তান মিশনে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

পাকিস্তানে নারীমুক্তির চেষ্টায় নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভূট্টোর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও স্মরণ করেন মালালা। পাকিস্তানে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় উচ্চকণ্ঠ হওয়ায় ‘সচেতন বিশ্বের’ প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

মি. মোমেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় মালালা বলেন, জঙ্গিরা ‘বই আর কলম’কে ভয় পায়। তাই বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে তাকে পাকিস্তানেও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চান তিনি। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও প্রশংসা করেন মালালা।

১২ জুলাই মালালার ১৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতিসংঘ ঘোষিত মালালা দিবসে জাতিসংঘে বক্তৃতা করেন মালালা ইউসুফজাই। একই কথা তিনি শনিবারের ইফতার অনুষ্ঠানেও বলেন। তিনি বলেন, “তালেবান জঙ্গিরা আমাকে মেরে সবকিছু স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। দুর্বলতা, ভয় আর আশাভঙ্গের দিন শেষ। নারীদের মধ্যে শক্তি আর সাহস ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বই আর কলম বদলে দিতে পারে এ পৃথিবীকে’।

গত অক্টোবরে পাকিস্তনের সোয়াত উপত্যকায় তালেবান বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হন কিশোরী মালালা। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি সেখানেই পরিবারসহ অবস্থান করছেন।

সব শিশুর জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ দপ্তরে তাকে বক্তৃতা করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনলাইন পত্রিকাটি আরও জানায়, মালালার বক্তৃতার প্রশংসা করে ড. মোমেন বলেন, তার বক্তব্য গোটা বিশ্বকে অপসংস্কৃতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠার সাহস যোগাবে। রাষ্ট্রদূত মোমেনকে এ সময় জানানো হয়, বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষা কেন্দ্র ছড়িয়ে দিতে মালালা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওই তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মালালা ফাউন্ডেশন স্কুল প্রতিষ্ঠার আগ্রহের কথা বলেন ড. মোমেন।

শেয়ার করুন: