ঘুরে এলাম দেশের উত্তর সীমানায়

শাহানা হুদা রঞ্জনা: দেশের উত্তর সীমান্তের শেষ উপজেলাটির নাম তেঁতুলিয়া। ভাবা যায়, এখানে বসেই শীত মৌসুমে আকাশ পরিস্কার থাকলে দেখে ফেলতে পারেন কাঞ্চনজঙ্গা !! কারণ ভারতের হিমালয় কন্যা দার্জলিং এর অবস্থান ঠিক এর পাশেই।এখানে বয়ে চলেছে তিস্তা, করতোয়া নদী। শীতে পানি কম থাকলেও আছে বিস্তীর্ণ চর এলাকা। আর বর্ষা মৌসুমে সমতল চা বাগানের মাঝে বয়ে যেতে থাকে এসব নদীর শাখা প্রশাখা ।

Ranjana apaতেঁতুলিয়া ডাকবাংলোটি খুব পুরাতন কিন্তু চমৎকার।
চারিদিকে বাড়াবাড়ি রকমের সবুজের ছড়াছড়ি, চা বাগান, আনারস, কাঠাঁল, তরমুজ, পেঁপে, কমলার বাগান, আম গাছের সারি, ধান, গম, কাউন আর রশুনের ক্ষেত। রয়েছে প্রাচীন গাছের সারি। কেমন যেন পুরো এলাকাটাই ছায়া ঢাকা, সবুজে ঘেরা।
প্রশস্ত পাকা রাস্তা থাকায় যাতায়াতটাও খুব আরামের । চারপাশে সীমান্ত তাই রাতের বেলাতেও আলোর অভাব থাকেনা — জ্বলতে থাকে অসংখ্য সার্চ লাইট ।

রাস্তায় থেমে অনায়াসেই খেয়ে নেয়া যায় গরম গরম সিঙ্গারা, দারুণ লোভনীয় জিলাপি, গুড়ের মিষ্টি, সন্দেশ, কচুরি, মহিষের দুধের চা আর সুন্দর সুবাস ছড়ানো লিকার চা । সেইসাথে রয়েছে প্রচুর ভাতের হোটেল । খুব ঘনবসতি না থাকায় এলাকাটা দারুণ নিরিবিলি ।

সবচেয়ে ভাললাগলো এখনকার মানুষের প্রগতিশীল আচার আচরণ । নারীরা অবাধ ও স্বাধীনভাবে ঘোরাফিরা করছে । পর্দা প্রথার বাড়াবাড়ি নেই । এইযে আমরা এতগুলো মানুষ যেভাবে খুশি আনন্দ করছি, সেদিকেও কেউ ফিরে তাকাচ্ছেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা অসাধারণ বলে যেকোনভাবেই চলে যাওয়া যায় উত্তরের এই সীমান্তে।

শেয়ার করুন: