নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ‘সমুদ্র সন্ধ্যা’

‘সময় এসেছে বন্ধু এই পথে আলো জ্বালার
সময় এসেছে বন্ধু সমুদ্রের প্রতিধ্বনি শোনার’

মাজার, মন্দির, মসজিদ ও সকল রকম ধর্মীয় প্রার্থনালয় কিংবা পাহাড় থেকে শুরু করে সমুদ্র সৈকতের মতো বিনোদনমূলক সমস্ত স্থানগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দেশকে অনিরাপদ রেখে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা অসম্ভব।
সত্যিকার অর্থে সামাজিক রূপান্তর তখনই সম্ভব— যখন দেশের প্রত্যেক নাগরিক-ব্যক্তি যেখানেই থাকুক না কেন, তারা সেখানে সুরক্ষিত এবং ক্ষতি থেকে মুক্ত বোধ করবে। যা একটি সমাজ ও দেশের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

সম্প্রতি নারীর প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘটে যাওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সমুদ্র সন্ধ্যা’ শিরোনামে আয়োজন করতে যাচ্ছি, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধ্যা পয়েন্টে। আমাদের এই আয়োজন— দেশের সকল নাগরিকের ঐক্যের মুহুর্তে, ধর্ম-চিন্তা নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানাই।
একটি নিরাপদ এবং সৌহার্দপূর্ণ দেশ গড়ার দিকে যাত্রা এখনও চলমান। কিন্তু রাষ্ট্রের গভীরে প্রোথিত কুসংস্কার ও ঘৃণা ক্রমাগত অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একটি নতুন আরও সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে আমাদের সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে এক হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের এখন মানসিক বিকাশ, সহানুভূতি, বোঝাপড়া এবং সম্মানের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে করতে হবে।

প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত তৈরির ভিত্তি তৈরি করার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। সুতরাং নারীর জন্য একটি উন্নত সমাজ ও দেশ গড়তে হলে সর্বাবস্থায় নারীর নিরাপত্তা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে — কেননা সম্প্রতি ও পূর্ববর্তী সময়ে একের পর এক সহিংসতা নারীদের স্রোতের বিপরীতে দাঁড় করাচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং এর সমাধানের উপায় বের না করলে উন্নত সমাজের স্বপ্ন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।

লড়াই আমাদের অনেক বাকি, সেই লড়াইয়ে সর্বস্তরের মানুষের একত্রিত হওয়াটা জরুরি।

উইমেন চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিতে সংহতি জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন: