আমরা যখন এগিয়ে চলেছি…….

Facebook_Selfiউইমেন চ্যাপ্টার: কিছুদিন আগেই একজন পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে মারা গিয়েছিল। সেই খবর আমরা পেয়েছিলাম ফেসবুকের কল্যাণেই। সৌদি আরবেও গত বছর এক কিশোর তার মৃত দাদার সাথে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী সেই কিশোর নাক-মুখ বাঁকিয়ে জিহ্বা বের করে তোলা সেলফিটির ক্যাপশন দিয়েছিল ‘বিদায়, দাদা’ (গুডবাই, গ্র্যান্ডফাদার), ‘ফিলিং’ জানানো হয়েছিল, ‘স্যাড’।(তথ্য প্রিয় টেক)

আর এবার খোদ বাংলাদেশেই মৃত নানার সাথে সেলফি তুলে তা প্রকাশ করেছে তিনটি কিশোর।

ছবিতে দেখা যায় তিনজন কিশোর তাঁদের মৃত নানার সাথে সেলফি তুলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে ফেসবুক, যেখানে তারা লিখেছে অসংখ্য ভুল বাংলা বানানে লিখেছে, “যাকে নিয়ে এত মজা করতাম, যাকে গিরে (ঘিরে) ছিল আমাদের হাসি কুশি (খুশি), যার সাথে কথা না বলে থাকতাম না; সে হল আমার নানা। তিনি আর নেই, চলে গেছেন (গেছেন) না পেরা (ফেরার) দেশে। আমরা তুমায় (তোমায়) ভুলবো না। Miss u so much Nana bhai”.

বাহ্ প্রজন্ম বাহ্। এই না হলে তোমরা আমাদের ভবিষ্যত? যেমন তোমাদের আচরণ, তেমনি তোমাদের ভাষা। মহান ফেব্রুয়ারির প্রথম তারিখে তোমাদেরকে আবিষ্কার করতে পেরে আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত। ওদের বাংলা দেখেও প্রমাণ হয় কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে ওরা।

এর আগে একদল কিশোর একটি আবক্ষ নারী মূর্তির স্তনে ঠোঁট লাগিয়ে ছবি আপলোড করেছিল এই ফেসবুকেই। একবারও তাদের মনে এটার পিছনে কোনোরকম অপরাধবোধ জাগেনি, একবারও মনে হয়নি, এই কাজটা অন্যায় হচ্ছে, গর্হিত হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার মান আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, এইসব কাজেও তার প্রমাণ মেলে।

এটি শেয়ার করার পিছনে আসলে গূঢ় কোনো কারণ নেই, শুধু নিজের বিবেকের দংশন থেকেই তা তুলে ধরা। সামাজিক অবক্ষয় সম্পূর্ণ হতে আর কত দেরি!

শেয়ার করুন: