আফগানিস্তানে ধর্ষণের অভিযোগে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

Afgan Rapeউইমেন চ্যাপ্টার: আফগানিস্তানে নারী নির্যাতন কোনো নতুন ঘটনা নয়। যে দেশে নারী অধিকার বলতেই নেই, সেখানে চারজন নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন অনেকেই।

গত মাসে কাবুলের বাইরে গণধর্ষণের এই ঘটনায় পাঁচজন দোষীসাব্যস্ত হলেও, একই সময়ে সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগে সাতজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। রোববার প্রায় আড়াই ঘন্টা শুনানির পর মৃত্যুদণ্ডের এই রায় ঘোষণা করা হয়।

গতমাসে রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় ওই নারীদের প্রথমে অপহরণ করা হয় এবং পরে তাদের নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে দেশটিতে। জনসমক্ষে অভিযুক্তদের ফাঁসি কার্যকরের দাবি উঠে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে।

প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি এমনও বলেছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে জনসমক্ষে এই সাতজনের ফাঁসি কার্যকরে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। বরং এজন্য প্রয়োজনে তিনি ডিক্রিও জারি করবেন।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আফগানিস্তানে নারীর প্রতি সহিংসতা মামুলি বিষয় হলেও গণধর্ষণের এই ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে এবং সেইসাথে বিক্ষোভেরও জন্ম দেয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, আফগানিস্তানে বহু নারী পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করলেও শেষপর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যাভিচারের অভিযোগ আনা হয়।

পুলিশ বলছে, গত ২৩ আগস্ট সংঘটিত এই ঘটনায় অভিযুক্তরা পুলিশের পোশাক পরা ছিল। তারা ওই নারীদের বহনকারি গাড়ি থামিয়ে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে এবং তাদের ওপর হামলা চালায়।

নির্যাতিতদের মধ্যে একজনকে প্রায় এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হয়, অন্য একজন অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন। হামলার সময় ১০ জন থাকলেও সাতজনকে গত বুধবার গ্রেপ্তা্র করা হয়, বাকি তিনজন পালিয়ে যায়।

এদিকে আদালতে যখন এই মামলার শুনানি চলছিল, তখন আদালতে বাইরে বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করে। তবে কিছু কিছু মানবাধিকার সংগঠন এতো দ্রুত রায় ঘোষণার ঘটনায় আইনের শাসন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

 

 

 

 

শেয়ার করুন: