কানিজ করিম: জাকির নায়েক এর কথা বা আলোচনা সম্পর্কে যদি কেউ শুনতে বা জানতে চায় তা সে যেকোনো উপায়েই পারবে। আজকাল ইন্টারনেট এ কীনা পাওয়া যায়! তাই পিস টিভি বন্ধ হলে ভালো, না খোলা থাকলে ভালো, তা নিয়ে আসলেই মাথায় একবারও ভাবনা আসে নাই, কারণ মাথা ভর্তি হয়ে আছে বাংলাদেশের আনাচে- কানাচে কোথায় কোথায় জঙ্গি লুকিয়ে আছে তা নিয়ে!
ইদানিং সবাই দেখছি পিস টিভি আর জাকির নায়েককে নিয়েই আলোচনায় আছে, কিন্তু এত্তোগুলা জোয়ান, শরীর মেধায় দুই জায়গাতেই শক্তি সামর্থ্যওয়ালা যুবক থেকে মধ্যবয়স্ক কোনো মানুষকে দেখলাম না একটা ডাক দিতে যে, সরকারের কাজ সরকার করুক, আসো আমরা নিজেদের এলাকা একটু ঘুরে দেখি কোথাও কিছু লুকিয়ে আছে কীনা! সবাই আসো… কেন এমন কিছু শুনিনি! অথচ শুনতে চেয়েছিলাম।
আমার এই কথায় কেউ খেপে গিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়তেই পারেন যে, আপনি কি কেল্লা ফতে করতেছেন? তো আমি জবাব দেই… এলাকা ঘুরতে নামো, খুঁজে দেখো সন্দেহজনক কিছু বের করতে পারো কিনা। কথা দিচ্ছি খুঁজে পাও আর না পাও, খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে গেলে কিংবা গলা শুকিয়ে আসলে শুধু আমি কেন, আমার মতোন অনেকেই এক গ্লাস পানি সামনে এগিয়ে দেবে।
এভাবে পিস টিভি বা মরে যাওয়া জঙ্গি অথবা অমুক-তমুক এসব নিয়ে এটা-সেটা বলে সময় নষ্ট না করে নিজ নিজ এলাকা নিজ দায়িত্বে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে খোঁজো। দশ দিন পাহারা দিয়ে যদি এগারো দিনের দিন কোন শয়তান পেয়ে যাও!
এমন হতেও তো পারে! খুঁজে দেখতে তো সমস্যা নাই।
আরেকটা কথা, যারা দেশের কথা বা সবার কথা না ভেবে এখনও শুধু ‘মুসলমানরা’ ‘মুসলমানরা’ করছে বা ইত্যাদি উস্কানি দিয়ে লিখছে, তাদের একটু থামাও! এখনও কি শেষ হয়নি ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ থেকে ওলট-পালট বলে আরও বেশি করে নিজেদের দুর্বলতা অন্যকে দেখানোর?
এসব উস্কানিদাতাগুলোদের সবাই থামান। এদের কিছু কথা পড়লে আমার নিজেরই বমি আসে, অথচ দেখি এদেরকে অবলীলায় সমর্থন করছে অনেকেই! এরা দেখে না জঙ্গিরা শুধু বিধর্মী নয়, মুসলিমদেরকেও জবাই করছে!
আর কী বলবো! আর কিছু বলার নাই … হয়তো এই বলাটাও কারও কাছে বেহুদাই মনে হবে। কারো কাছে খুব বেশি বেশি মনে হবে।
আবার হয়তো বা কোনো না কোনো মানুষের মনে ধরবে আর সে হুট করে কোনো এক বিকেলে দু’চার বন্ধু নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখতে বের হয়ে যাবে। আশা করি আমার শেষ ভাবনাটাই সত্যি হোক। আশা করতে তো দোষ নাই।