নিজেই যখন ‘পরিত্যক্ত’

Nariউইমেন চ্যাপ্টার: “হাঁটুর ব্যথায় রাতে আমি ঘুমাতে পারি না। প্রতিদিন আমাকে এক হাজার ইট বহন করতে হয়, যেসব ইটের একেকটার ওজন আড়াই কিলোগ্রাম। আর এর বিনিময়ে আমি পাই ১০০ টাকা। এই মূহূর্তে ঠাণ্ডা-জ্বরে ভুগছি আমি, তারপরও বিশ্রাম নেয়ার কোনো উপায় নেই। আমার নিজের এবং মুনিয়ার জন্য আমাকে কাজ করতেই হয়। আমার ছেলের বয়স যখন এক বছর, তখন আমার স্বামী দ্বিতীয় বউ ঘরে আনে। আপনি বুঝতেও পারবেন না একই ঘরে স্বামীকে অন্য নারীর সাথে বাস করতে দেখলে কেমন লাগে। ওই মেয়েটাকে আমি প্রচণ্ড ঘৃণা করতাম। ১০ বছর আগে বাস দুর্ঘটনায় আমার স্বামী মারা যায়, আর মুনিয়া তার পা হারায়। তারপর থেকেই আমি মুনিয়ার সেবাযত্ন করে যাচ্ছি। যা উপার্জন করি, তার সবই আমাদের দুজনের জন্য খরচ করি। আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে বহুবার মুনিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কথা বলেছে, কিন্তু আমি পারি না। আমার মতোই ওরও কেউ নেই, কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আমার একমাত্র ছেলেও আমাকে কখনও দেখতে আসে না। আমি খুব ভালো করেই জানি, নিজেকে ‘পরিত্যক্ত’ ভাবতে কেমন লাগে……”।

কথাগুলো বলছিলেন ৫০ বছরের লিজিয়া। ফেসবুক থেকে পাওয়া এই গল্পটি কি আমাদের পরিচিত গল্প না?

শেয়ার করুন: