উ্রইমেন চ্যাপ্টার: সাবাশ মেয়ে। রীতিমতো কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে মঙ্গলবার বিয়ে হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরের মেয়েটির। কিন্তু বিয়ের আসরে পাত্রপক্ষ সোনার গয়না নিয়ে কটূক্তি করায় এবং যৌতুকের দাবি তোলায় বিয়ের পরদিন নিজেই বিয়েটি ভেঙে দিয়েছে সে। শুধু তাই নয়, পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে এখন মামলাও হতে চলেছে।
পাত্র বিদেশে চাকরি করে, সুশিক্ষিত, এসব দেখেই মেয়ের অভিভাবক বিয়েতে রাজী হয়েছিল। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। যৌতুক্ও চায়নি কিছু।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বিয়ের রাতেই বিপত্তি ঘটে। কনের গয়নার ওজন কম। বিয়ের পিঁড়িতে বসে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের নানা গুঞ্জন কানে আসছিল কনের। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি তাঁর পরিবারকেও নানা কটূক্তি করতে থাকে বরপক্ষ। শেষে সহ্য করতে না পেরে বুধবার ভোরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় মেয়েটি। অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে কিছুই নেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পাত্রপক্ষ। এর পর রেজিস্ট্রিও হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে বরপক্ষ তাঁদের কাছ থেকে দেড় ভরি সোনার আংটি, তিন ভরি সোনার হার এবং সেগুন কাঠের খাট যৌতুক হিসেবে দাবি করে। কিন্তু পাত্রীপক্ষের তা দেওয়ার সামর্থ নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্রপক্ষ গয়না নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ। এ দিন মেয়েটি পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে পরিবার বিয়ের দিনই এই রকম আচরণ করে তারা বিয়ের পরে কী করবে? আমি বিয়ে ভেঙে দিতে চাই।”
এই ঘটনায় মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। বিয়ে হয়ে গেলেও খালি হাতে বাড়ি ফেরে পাত্রপক্ষ। এ দিনই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে।