
উইমেন চ্যাপ্টার: ছবিটি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামের। বিধবা পল্লী হিসেবেই গ্রামটিকে একনামে চেনে সবাই ।
একাত্তরের ২৫ জুলাই জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে স্থানীয় রাজাকারদের সাহায্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নির্বিচারে গ্রামের পুরুষদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং ঘরে ঘরে নারীদের ধর্ষণ করে। গুলি করে হত্যা করে ১৮৭ জন নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে । সেদিন বিধবা হন ৫৭ জন নারী। গ্রামটির সব পুরুষকে হত্যা করার পর গ্রামটি বিধবা পল্লীতে পরিণত হয়। ক্রমেই সেটি এই নামেই পরিচিতি পায়।
কালের সাক্ষী হিসেবে ওই গ্রামের ৫৭ জন বিধবার মধ্যে ৩৪ জন এখনও বেঁচে আছেন। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের মেরে ফেলায় পরিবারের নারীরা ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করেছেন। তাদের মধ্য থেকে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।
পৃথিবীর কোন শাস্তি-ই কি যথেষ্ট এই অপরাধে নেতৃত্বদানকারী অপরাধী্র জন্য? এই কামারুজ্জামান, যে কিনা নি:স্ব করে দিয়েছে এই নারীদের, তাকে একবার নয়, দুবার নয়, কয়েকবার ফাঁসিতে ঝুলালেও এই মানুষগুলোর মনের আগুন কী নিভবে?