উইমেন চ্যাপ্টার: উত্তর পূর্ব নাইজেরিয়ায় আবারও নারী ও মেয়েশিশু অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গ্রুপ বোকো হারামের সদস্যরা দুটি গ্রামে হামলা চালিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং এলাকার বহুসংখ্যক নারী ও মেয়েশিশুকে ধরে নিয়ে যায়।
বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে নাইজেরিয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল যে বোকো হারামের সাথে একটা যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এবং তার শর্ত অনুযায়ী তারা ছয় মাস আগে অপহৃত দুইশরও বেশি স্কুলছাত্রীকে মুক্তি দেবে। কিন্তু তার কিছুদিন পরই এই নতুন অপহরণের ঘটনা ঘটলো।
নাইজেরিয়ার আদামাওয়া রাজ্যের ওই দুটো গ্রামের অধিবাসীরা বলছেন, বোকো হারামের যোদ্ধাদের বিশাল একটি দল তাদের গ্রামে হামলা চালায়।
তারপর সেখানে নারীদের এক জায়গায় জড়ো করে সেখান থেকে বহু নারী ও অল্প বয়সী মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এই দুটো গ্রাম মাদাগালি ও মিচিকা শহরের কাছে, যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসলামপন্থী জঙ্গি গ্রুপটির দখলে।
গ্রামবাসীরা বলছেন, নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ও বোকো হারামের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সমঝোতার একদিন পরেই গত শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সমঝোতার অংশ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে গত এপ্রিল মাসে চিবুকের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ২১৯ জন ছাত্রীকে খুব শিগগরিই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
কিন্ত বোকো হারামের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির এই সমঝোতার বিষয়ে গত কয়েকদিনেও কিছু বলা হয়নি।
নাইজেরিয়া থেকে বিবিসির সংবাদদাতা উইল রস বলছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর থেকেও সেখানে সহিংসতা অব্যাহত। চিবুকের মেয়েদেরকে বোকো হারামের জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত করতে কতোটুকু কি আলোচনা হয়েছে, বা আদৌ কোনো কথা হয়েছে কীনা, সেবিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
সরকারের বক্তব্য অনুসারে, প্রতিবেশী চাদে এ সপ্তাহেই এই দুটো পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। নাইজেরিয়ায় ২০১৩ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকেই বোকো হারাম বহু নারী ও শিশুকে অপহরণ করেছে, যাদেরকে বন্দী বিনিময়ের কাজে ব্যবহার করা হয়।