উইমেন চ্যাপ্টার: যেকোনো কাজের জন্য বয়স কোনো ‘ফ্যাক্টর’ নয়, এটাই প্রমাণ করে দিয়েছে পাকিস্তানের কিশোরী মানবাধিকার কর্মী, নারীশিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম বলিষ্ঠ কণ্ঠ মালালা ইউসুফজাই। তালেবানের মতো শক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর মোকাবিলায় যখন সারাবিশ্ব নাজুক, ঠিক তখনই তার আবির্ভাব। না, অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র নয়, কলম তুলে নেয় সে তালেবানের অপশাসনের বিরুদ্ধে। নিজের জীবন বিপন্ন করে সে লাখ লাখ মেয়েশিশুর শিক্ষার দাবিতে অনড় থাকে। তার জন্য তাকে বার বার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। মাথায় গুলি খেয়ে মরণাপন্ন অবস্থা থেকে সে ফেরত এসেই আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছে তার আন্দোলনে।
এই আন্দোলনের পুরস্কার হিসেবে এরই মধ্যে তার ঝুলিতে জমা পড়েছে শাখারভসহ নানা পুরস্কার। সর্বশেষ যোগ হলো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে সে সর্বকনিষ্ঠ নোবেল পুরস্কারজয়ীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
মালালা তার আন্দোলনের মাধ্যমে আরও প্রমাণ করেছে যে শিশু এবং মেয়েশিশুরা ইচ্ছে করলেই তাদের দাবির প্রতি সোচ্চার হতে পারে। সে বিশ্বের কোটি কোটি শিশুর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। বিশ্বজুড়ে তার ভূমিকা আজ সমাদৃত, তার বলিষ্ঠ কণ্ঠ আশার খোরাক জোগায়। স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে বঞ্চিত-নিপীড়িত মেয়েশিশুদের। মালালা পেরেছে, আমিও পারবো-এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠছে ক্রমশই সারাবিশ্বে।
মালালা যখন বলে যে, আমাকে অস্ত্রের বদলে কলম দাও, বই দাও, তখন এমনিতেই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। নারীর প্রকৃত শিক্ষাই নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পাথেয়। মালালা সেইপথেই হাঁটছে। তার এই পথচলা দীর্ঘ হোক, কোনভাবে, কোন কারণেই যেন থেমে না যায় তার এই চলা, সেই শুভকামনা রইল মালালা ইউসুফজাইয়ের প্রতি।
স্যালুট ইউ, মালালা।