যুদ্ধে নারী ধর্ষণ বন্ধে একমত বিশ্বনেতারা

war crimesউইমেন চ্যাপ্টার: যুদ্ধকালীন নারীদের উপর যৌন নির্যাতন অবসানের আহ্বানের মধ্য দিয়ে লন্ডনে শেষ হলো গ্লোবাল সামিট-২০১৪। বিভিন্ন দেশের একশরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন এই সম্মেলনে। কম্বোডিয়া, কঙ্গো, রুয়ান্ডা, ইরান,কেনিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্যাতিত নারীরা তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, যুদ্ধের সময় ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অবসান ঘটানো খুবই সম্ভব। এ ধরনের সহিংসতা মানবতার ওপর আঘাত, এর অবসান হওয়া উচিত। আর এর জন্য দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর এটাই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি বলছিলেন, হাজার বছর ধরে যুদ্ধের সময় ধর্ষণের কথা লেখা হয়ে আসছে। এখন সময় এসেছে এর অবসান ঘটিয়ে একে অন্ধকার যুগে, ইতিহাসের পাতায় ফেরত পাঠানো।

সম্মেলনের সহ-আয়োজক হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, সংঘাতকালে যৌন সহিংসতার অবসান ঘটাতে পারলে শুধুমাত্র যুদ্ধের সময়ই নয়, সবক্ষেত্রেই নারীর নিরাপত্তা বাড়বে। তিনি আরও বলেন, নারী ধর্ষণের বিষয়টির অবসানে বিশ্ব নেতাদের এক হতে দেখে তাঁর ভাল লাগছে। ইস্যুটি এখন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক টেবিলে স্থান পেয়েছে, এটাও বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেন মিস জোলি।

সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের স্টলে নারীদের নির্যাতনের মর্মন্তুদ কাহিনী তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের একাত্তরে নির্যাতিত নারীদের জন্য আলাদা করে স্টল না থাকলেও গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। জেনোসাইড আর্কাইভ অনুসারে ১৯৭১ সালে প্রায় দুই লাখ মা-বোনের ওপর নির্যাতন চালায় পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসরেরা। পরবর্তী জীবনে এদের অনেকেই আত্মহত্যা করেন, অথবা সামাজিক লাঞ্ছণার শিকার হন।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.