অনার কিলিং: বেঁচে গেল মেয়েটি

stoning pixউইমেন চ্যাপ্টার: আদালত ভবনে কয়েকশ চোখের সামনে পাথর ছুঁড়ে এক অন্ত:সত্ত্বা মেয়েকের হত্যার এক সপ্তাহের মধ্যেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটলো। তবে এ যাত্রায় মেয়েটি প্রাণে বেঁচে গেলেও পুরো শরীর তার থ্যাঁতলে গেছে।

১৮ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েটিকে শুধু গুলিই করেনি নিকটজনেরা, ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল একটি খালে। অপরাধ সেই চির জানা। পরিবারের অপছন্দে সে বিয়ে করেছিল ভালবেসে। পুলিশ একথা জানায়।

এর আগের সপ্তাহে ফারজানা পারভিনের মৃত্যু বিশ্বজুড়ে তোলপাড় তোলে।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আলি আকবর বলছিলেন, সাবা মাকসুদের ওপর তার নিজের বাবা, চাচা, ভাই এবং খালা সবাই মিলে প্রথমে হামলা চালায় ও পরে গুলি করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে সবাই তাকে ধরে খালে ফেলে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশের হাফিজাবাদ এলাকায়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, এটি পরিবারের সম্মান-সম্পর্কিত হত্যাকাণ্ড।

সাবা মাত্র পাঁচ দিন আগেই তার প্রতিবেশি মুহাম্মদ কায়সারকে ভালবেসে বিয়ে করে। এতে তার পরিবারের সম্মতি ছিল না। পরিবারের লোকজন তাকে হাফিজাবাদে নিয়ে যায়, দুবার গুলি করে তার ওপর এবং মৃত ভেবে খালে ফেলে দিয়ে আসে।

আকবর জানান, সাবা মারাত্মক রকমের আহত হয়। তার গালে এবং ডান হাতে ভয়াবহ ক্ষত তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পর সাবার আত্মীয়স্বজনেরা পালিয়ে গেছে। খালের পানিতে ফেলে দেয়ার কিছুক্ষণ পর সাবার জ্ঞান ফিরে আসে এবং কষ্ট করে তীরে উঠে আসে। তাকে দেখে দুজন উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পুলিশ আরও জানায়, সাবা সত্যিই সাহসী মেয়ে। সে খাল থেকে উঠে একটি তেলের ডিপোর কাছে চলে আসে, সেখান থেকে লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

অধিকাংশ রক্ষণশীল পাকিস্তানি পরিবারের মতে, ভালবাসা এবং নিজেই নিজের স্বামী পছন্দ করা গর্হিত অন্যায়। পরিবারের মতে বিয়ে না করলে তাকে ‘সম্মানজনক হত্যা’ বা ‘অনার কিলিং’ এর শিকার হতে হয়।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.