উইমেন চ্যাপ্টার: কাতার সরকার সে দেশে নারী পর্যটকদের লেগিংস পরতে নিষেধ করেছে। পাশাপাশি রীতি অনুযায়ী সে দেশের সংযত ড্রেস কোডের (modest dress code) প্রতি সম্মান দেখিয়ে সে অনুযায়ী পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে।
এ ডিক্রি জারি করে দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছেন, লেগিংস কোনভাবেই প্যান্ট হিসেবে বিবেচিত হবে না, এবং এটা জনসমেক্ষ পরার মতোন শালীন/ভদ্র পোশাকও নয়। পর্যটক মেয়েদের লেগিংস পরা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ পোশাক বলে অভিহিত করা হয়েছে নতুন এই প্রচারণায়।
‘লেগিংস আর নট প্যান্টস’ – এরকম একটি স্লোগান নিয়ে কাতারে শুরু হয়েছে এই প্রচারণা। এতে স্পষ্টই বলে দেয়া হয়েছে, কাতার ভ্রমণকারী নারী পর্যটকরা কি পরবেন, আর কি পরবেন না।
কাতার ইসলামিক কালচারাল সেন্টার এর এই প্রচারণায় আগামী ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রস্তুতি হিসেবে পর্যটকদের শালীনতা রেখে পোশাক পরার জন্য কিছু উপদেশ এবং টিপস দেয়া হয়েছে।
প্রচারণা পত্রে কাতারের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ রক্ষায় ভ্রমণকারীদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি আপনি কাতারে এসে থাকেন, তবে আপনি আমাদেরই একজন। জনসমক্ষে শালীন পোশাক পরুন। শুধু যে নারীদেরই বলা হয়েছে শালীন পোশাক পরতে তাই নয়, পুরুষদেরও জনসমক্ষে শর্টস পরা বা খালি গায়ে থাকতে মানা করা হয়েছে। নারী পর্যটকদের মিনি স্কার্টস বা হাতা কাটা পোশাক জাতীয় ছোট বা খুব আঁটোসাটো পোশাক পরাও এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রচারণাটি দেশজুড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছড়িয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সহায়তা নেয়া হচ্ছে। কাতার ভ্রমণকারীদের কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, কি কি মনে রাখতে হবে সে বিষয়ে প্রচারণায় আরও কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে।
কাতারে জনসমক্ষে অন্তরঙ্গ আচরণ জোরালোভাবে নিষিদ্ধ। এই প্রচারণায় মিশ্র দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
একজন কমেন্ট করেছেন: ”কিন্তু (তোমরা) যুক্তরাজ্যে আস এবং যেমন ইচ্ছা পোশাক পর (পুরো মুখ ঢাকা বুরকা) এবং সেটা পুরোপুরি আমাদের সংস্কৃতি ও নৈতিক নীতিমালা বিরোধী! কি তামাশা!”
এই কমেন্টের পক্ষে প্রায় ১৫ হাজার ভোট পড়েছে।
একজন বলেছেন, এই প্রচারণা যদি যুক্তরাজ্যে চালানো হতো তবে একে বর্ণবাদী বলে সমালোচনার মুখে পড়তো।