উইমেন চ্যাপ্টার: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সংবাদে এখনো নারী ও গ্রাম উপেক্ষিত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বক্তারা। মঙ্গলবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের এক মতবিনিময় সভায় এই মত উঠে আসে।
সভায় ‘সংবাদে নারী ও গ্রাম: যথাযথ উপস্থাপনা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন। এবিষয়ে গণমাধ্যম পরীবিক্ষণের ফলাফল উপস্থাপন করে তিনি বলেন, পাঁচটি জাতীয় ও পাঁচটি আঞ্চলিক সংবাদপত্র, সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং একটি বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বাছাই করা হয়।
গীতি আরা বলেন, বাংলাদেশের মোট আয়তনের মাত্র আট শতাংশ নগর। কিন্তু পরীবিক্ষণে দেখা যায়, বিপরীতভাবে সংবাদপত্রে আট দশমিক ৮৩ শতাংশ, টেলিভিশনের আট দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং রেডিওর মাত্র এক দশমিক ৯২ শতাংশ সংবাদ গ্রাম বিষয়ে।
“সার্বিক বিবেচনায় নারীও সমানভাবে উপেক্ষিত। সংবাদপত্রে মাত্র ১৬ শতাংশ, টেলিভিশনে ১৪ শতাংশ ও রেডিওতে ২২ শতাংশ নারী সংবাদের বিষয় হয়েছেন।”
গীতি আরা বলেন, পরিমাণবাচক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংবাদে নারীকে উদ্ধৃত করার হার পুরুষের তুলনায় কম হলেও ছবি ব্যবহারের হার পুরুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। “নারী প্রধান প্রতিবেদন তৈরির হার যেমন কম, ঠিক তেমনি গণমাধ্যমে কর্মরত নারীদের মধ্যে মাত্র তিন দশমিক ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিবেদক। বাকিরা শুধুই সংবাদ পাঠক।“ তিনি বলেন, নারীর প্রতি এ অবহেলা একটি বৈষম্যমূলক সমাজের কাঠামোগত সমস্যা। গণমাধ্যম মুষ্টিমেয় ক্ষমতাশালী অংশেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। গণমাধ্যমকে সত্যিকার অর্থেই জনগণের মাধ্যম হিসেবে করে তুলতে সমন্বিত চেষ্টা প্রয়োজন।
কবি কামরুল হাসান বাদলের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বিএনপিএসের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শরীফ চৌহান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপিকা রীতা দত্ত, অধ্যাপিকা লতিফা কবির, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, অধ্যাপিকা সাদাফ নূর এ ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাবুদ্দিন নিপু, প্রত্যয় ৭১‘র লুবনা হারুন ও আইনজীবী মিলি চৌধুরী।